বিজ্ঞাপন

৩৯ বিলিয়ন ডলারের নতুন উচ্চতায় বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ

September 1, 2020 | 7:51 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ছেই। এর আগের আড়াই মাসে এই রিজার্ভে যুক্ত হয়েছে চার বিলিয়ন ডলার। এবার গত দুই সপ্তাহে আরও এক বিলিয়ন ডলার যুক্ত হয়েছে রিজার্ভে। তাতে করে প্রথমবারের মতো দেশের রিজার্ভ অতিক্রম করেছে ৩৯ বিলিয়ন ডলারের সীমা। মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) দিন শেষে এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৯ দশমিক ৪০ বিলিয়ন বা তিন হাজার ৯৪০ কোটি মার্কিন ডলারে। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ধরে) এর পরিমাণ তিন লাখ ৩৪ হাজার ৯০০ কোটি টাকা।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র রিজার্ভের এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এ নিয়ে গত তিন মাসের ব্যবধানে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছয় ছয়বার নতুন রেকর্ড তৈরি করলো। আর এই তিন মাসে রিজার্ভে যোগ হয়েছে পাঁচ বিলিয়ন বা পাঁচশ কোটি মার্কিন ডলার।

আরও পড়ুন-

আড়াই মাসে যোগ ৪ বিলিয়ন ডলার, রিজার্ভ পেরলো ৩৮ বিলিয়ন

এর আগে গত ১৭ আগস্ট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৮ বিলিয়ন ডলার এবং পরদিন ১৮ আগস্ট তা ৩৮ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলারের নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছিল। এরপরের দুই সপ্তাহে যোগ হলো ১ দশমিক ২৫ বিলিয়ন বা ১২৫ কোটি মার্কিন ডলার। তাকে এখনকার রিজার্ভ ৩৯ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার। প্রতি মাসে চার বিলিয়ন ডলার আমদানি ব্যয় ধরে মজুত এই বৈদেশিক মুদ্রা দিয়ে বাংলাদেশ প্রায় সাড়ে ৯ মাসের আমদানি ব্যয় মেটাতে পারবে।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, মূলত প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ওপর ভর করেই একের পর এক নতুন রেকর্ড ছাড়াচ্ছে রিজার্ভ। গত মে মাস থেকে প্রবাসীরা রেকর্ড ভাঙা রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন প্রতিমাসেই। আর তারই প্রভাবে নতুন নতুন রেকর্ড গড়ছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, সরকারের নানা উদ্যোগের কারণে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। বিশেষ করে বাজেটে রেমিট্যান্সের ওপর সরকারের ২ শতাংশ প্রণোদনা ঘোষণা এবং হুন্ডি বন্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন পদক্ষেপ এক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে। আর এর প্রভাবেই বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভও দিন দিন বাড়ছে।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জুনের আগে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রেকর্ড ছিল ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে ৩৩ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন ডলার। গত ৪ জুন প্রথমবারের মতো রিজার্ভের পরিমাণ অতিক্রম করে ৩৪ বিলিয়নের গণ্ডি। সে রেকর্ড অবশ্য স্থায়ী হয় মাত্র ২০ দিন। ২৪ জুন বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ পৌঁছে যায় ৩৫ বিলিয়ন ডলারে।

এর ছয় দিন পর ৩০ জুন ৩৬ বিলিয়ন ডলার ও গত ২৮ জুলাই ৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের নতুন উচ্চতায় পৌঁছে যায় রিজার্ভ। ৩ আগস্ট তা আরও একটু বেড়ে ৩৭ দশমিক ২৮ বিলিয়ন ডলারের রেকর্ড গড়ে। ১৮ আগস্ট ৩৮ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে যায় রিজার্ভ। এবারে আজ ১ সেপ্টেম্বর তা আরও বেড়ে ৩৯ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হলো। অর্থাৎ তিন মাসে রিজার্ভের পরিমাণ ছয় বার নতুন উচ্চতায় উন্নীত হলো।

এদিকে, যে রেমিট্যান্সের ওপর ভর করে নতুন নতুন রেকর্ড গড়ছে রিজার্ভ, সেই রেমিট্যান্সও গত মে মাস থেকেই রেকর্ড ভাঙছেই। এর শুরুটা মে মাসে। ওই মাসে ১৭৪ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা, যা ছিল তখনকার নতুন রেকর্ড। জুনে আরও প্রায় ৯ কোটি ডলার বেশি পাঠান তারা। সে মাসে রেমিট্যান্স আসে ১৮৩ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার। এর পরের মাস অর্থাৎ নতুন অর্থবছরের (২০২০-২১) প্রথম মাসে সেই রেকর্ড ভেঙে যায় বড় ব্যবধানে। জুলাইয়ে দেশে রেমিট্যান্স আসে ২৬০ কোটি মার্কিন ডলার। আর সদ্য বিদায়ী গত আগস্ট মাসের ২৭ দিনের হিসাব বলছে, এই ২৭ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১৭২ কোটি ৫৮ লাখ ডলার।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জিএস/টিআর

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন