বিজ্ঞাপন

ধর্ষণের মামলায় তিন আসামির মৃত্যুদণ্ড, রায়ে খুশি নারী চিকিৎসক

September 3, 2020 | 8:16 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

রাজবাড়ী: রাজবাড়ীতে নারী চিকিৎসককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলার রায়ে তিন আসামির মৃত্যুদণ্ডের আদেশে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী ভুক্তভোগী নারী চিকিৎসক। বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে সারাবাংলার প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় ওই নারী চিকিৎসকের।

বিজ্ঞাপন

ন্যায়বিচার পেয়েছেন দাবি করে তিনি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ ইন্সপেক্টর মো. শহীদুল ইসলামের প্রতি। তিনি বলেন, ‘মামলায় রায়ে আমি সন্তুষ্ট। আমি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা খানখানাপুর পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ (বর্তমানে পাংশার বাহাদুরপুর পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত) ইন্সপেক্টর মো. শহীদুল ইসলামের প্রতি। তিনি সুষ্ঠু তদন্ত করে সঠিক চার্জশিট না দিলে হয়তো আমি আজ এই ন্যায়বিচার পেতাম না। আমি মনে করি তার সঠিক চার্জশিটেই এগিয়ে গিয়েছে আমার ন্যায়বিচার।’ একইসঙ্গে তিনি রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীসহ যারা ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় কাজ করেছেন তাদের সবার প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।

গতকাল বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) বাদীসহ ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে রানা, হান্নান ও মামুনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন রাজবাড়ীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক শারমিন নিগার। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বাকি তিনজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘এই মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই আমার একটিই লক্ষ্য ছিলো যাতে ভিকটিমের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে পারি। যে কারণে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আমি নিরপেক্ষ চার্জশিট দাখিল করি। এজন্য রাজবাড়ীর তৎকালীন পুলিশ সুপার আসমা সিদ্দিকা মিলি স্যার আমাকে আনুষ্ঠানিকভাবে নগদ অর্থ পুরস্কৃত করেছিলেন। মামলার রায়ে ভিকটিম ন্যায়বিচার পেয়েছেন, এটি জেনে আমার কাছে খুব ভালো লাগছে।’

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে ওই নারী চিকিৎসক ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জ যাওয়ার উদ্দেশ্যে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ মোড় এলাকায় এসে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। এসময় রাজবাড়ী সদর উপজেলার বসন্তপুর ইউনিয়নের মজলিশপুর গ্রামের মৃত আবুল মোল্লার ছেলে রানা মোল্লা (২৭), একই গ্রামের মৃত মুন্নাফ সরদারের ছেলে হান্নান সরদার (৩২) ও খানখানাপুর ইউনিয়নের দত্তপাড়া গ্রামের আরশাদ মোল্লার ছেলে মামুন মোল্লা (২২) ওই নারীকে গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় উঠিয়ে বসন্তপুর ইউনিয়নের মজলিশপুর নিহাজ জুট মিল এলাকায় নিয়ে ধর্ষণ করে রাস্তার পাশে ফেলে চলে যায়।

সারাবাংলা/এমও

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন