বিজ্ঞাপন

‘যত ক্ষমতাবানেরই হোক ১৫ তারিখ থেকে সকল বিলবোর্ড ভেঙে ফেলা হবে’

September 12, 2020 | 7:22 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: অনুমোদনহীন বিলবোর্ড-সাইনবোর্ড অপসারণে ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) গুলশানে বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমদ পার্ক উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

মেয়র বলেন, ‘আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে যত ধরনের অনুমোদনহীন সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড আছে সেগুলো অপসারণ করা হবে। আগামীকাল এবং পরশুর মধ্যে অনুমোদনহীন সাইনবোর্ড, বিলবোর্ডের অনুমোদন নিয়ে নিন। যারা অনুমোদন নেবেন তাদের সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড ইত্যাদি ভাঙা হবে না। যতই ক্ষমতাবান, মাসল ম্যান হন না কেন ১৫ তারিখ থেকে সকল বিলবোর্ড-সাইনবোর্ড ভেঙ্গে দেওয়া হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এই শহরে সুন্দরভাবে থাকতে চাই, কিন্তু কেউ কেউ নিজের স্বার্থে, সকলের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিচ্ছেন। অনেকে বড় বড় হাউজিং করছেন, প্রজেক্ট সাইন, ব্যানার, সাইনবোর্ড ইত্যাদি দিয়ে লিখে রেখেছেন, ব্যবসা করছেন। ব্যবসা করেন ভালো কথা, কিন্তু সেটারও ট্যাক্স দিতে হবে। ঢাকা শহরকে আমরা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করছি। আমরা ডেঙ্গু থেকে নগরবাসীকে রক্ষা করার জন্য কাজ করছি, বর্জ্য অপসারণের কাজ করছি, কিন্তু ট্যাক্স দেব না, এটা হতে পারে না। এটি হতে দেওয়া যাবে না।’

বিজ্ঞাপন

প্রয়াত মেয়র আনিসুল হককে স্মরণ করে মেয়র বলেন, ‘ঢাকার পার্ক, খেলার মাঠ উন্নয়ন আনিস ভাইয়ের একটি স্বপ্ন ছিল। তার প্রতিটি স্বপ্নকে আমরা একে একে সফল করব। এই পার্কে ১৭ শ গাছ আছে। কোনো গাছ কাটা হয়নি। জনগণকে স্থানীয় কমিউনিটি সঙ্গে সম্পৃক্ত করে এই পার্কের ডিজাইন করা হয়েছে। এই পার্কে ইনডোর জিমনেশিয়াম আছে। আউটডোরেও জিমনেশিয়াম আছে। এই পার্কের ভেতরে একটি কফিশপও আছে। এই পার্কে আসলে যে কারো মন ভালো হয়ে যাবে।’

আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘বাকি ২৭ পার্ক ও খেলার মাঠ দ্রুত উদ্বোধন করার জন্য আমি আমার টিমকে প্রেশার দিয়ে যাচ্ছি। দখল করে থাকা পার্ক, খেলার মাঠ উদ্ধারে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কারণ পার্ক, খেলার মাঠ কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয় বরং সিটি করপোরেশনের সম্পত্তি। কেউ এগুলো দখল করে রাখতে পারবে না। পাঁচটি পার্ক করতে গিয়ে দেখা গেল যে, দখলদাররা কন্ট্রাক্টরকে কাজ করতে দিচ্ছে না। আমি দখলদারদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আপনারা দ্রুত এসব ছেড়ে দিন। পার্কগুলোর ডিজাইন যখন করেছি, অর্থ বরাদ্দ যখন দিয়েছি, এইবার কিন্তু হবেই হবে।‘

ঝুলন্ত তার উচ্ছেদ প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, ‘১ অক্টোবর থেকে গুলশান থেকে ঝুলন্ত তার উচ্ছেদ অভিযান শুরু হবে। সার্ভিস প্রোভাইডারগণ অতি মুনাফা লাভের জন্য এগুলো ঝুলন্ত অবস্থায় রেখে দেয়। এই শহরকে নোংরা করে।’

বিজ্ঞাপন

১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার, ভারতের রাষ্ট্রদূত রীভা গাঙ্গুলী দাস, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য নাহিদ এজাহার, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রকল্প পরিচালক ড. তারিক বিন ইউসুফ ও স্থপতি ইকবাল হাবিব।

অনুষ্ঠান শেষে মেয়র আতিকুল ইসলাম, রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার ও রাষ্ট্রদূত রীভা গাঙ্গুলী দাস একটি করে গাছের চারা রোপন করেন এবং পরে উপস্থিত সবাইকে নিয়ে পার্কটি ঘুরে দেখান।

সারাবাংলা/এসএইচ/এমআই

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন