বিজ্ঞাপন

‘গুণগত মানসম্পন্ন ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করতে হবে’

September 12, 2020 | 8:36 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: গুণগত মানসম্পন্ন ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করতে গ্রাহকদের উদ্বুদ্ধ করার তাগিদ দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। সংশ্লিষ্ট বিতরণ কোম্পানির কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, অনুমোদিত লোডের অতিরিক্ত বিদ্যুৎ ব্যবহার পরিহারের পাশাপাশি বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং দুর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনে বিদ্যুৎ অফিসগুলোর সহায়তা নেওয়া যেতে পারে।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) নড়াইলে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির এলাকায় স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটার স্থাপনে ভার্চুয়াল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

নড়াইলে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের আওতায় ৯ হাজার ৯৯৮টি স্মার্ট প্রি-পেইড মিটার স্থাপন করা হবে। পর্যায়ক্রমে বাকিদেরও করা হবে বলে জানান নসরুল হামিদ। তিনি স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটারের সুবিধাগুলো গ্রাহকদের কাছে তুলে ধরতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের তাগিদ দেন।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটার ব্যবহারকারী পরিবারের বাজেট অনুযায়ী বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুবিধা নিতে পারবেন। এবং মাসিক বিল পরিশোধ খুবই সহজসাধ্য। সরকার নির্ধারিত সময়েই নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিবে। পর্যায়ক্রমে সারাদেশেই বিদ্যুতের তার ভূ-গর্ভস্থ করা হবে।’

বিজ্ঞাপন

নড়াইলে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের বিদ্যুৎগ্রাহক ১৫ হাজার ৮০০। প্রাথমিকভাবে স্মার্ট প্রি-পেইড মিটার স্থাপন করা হবে ৯ হাজার ৯৯৮টি । প্রি-পেমেন্ট মিটারিং পদ্ধতিতে মিটার ব্যাল্যান্স শেষ হয়ে গেলেও তাৎক্ষণিকভাবে মিটার হতে ১০০ টাকা পর্যন্ত ইমারজেন্সি ব্যাল্যান্স নেওয়ার ব্যবস্থা থাকায় বিদ্যুৎ বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। সাপ্তাহিক ছুটি শুক্র ও শনিবার, সরকারি ছুটির দিন এবং অফিস সময়ের পর বিকাল ৪টা থেকে পরদিন সকাল ১০টা পর্যন্ত মিটারের ব্যালেন্স শেষ হলেও মিটার বন্ধ হবে না। গ্রাহকরা নিট বিদ্যুৎ বিলের ওপর ১ শতাংশ হারে রিবেট সুবিধা প্রাপ্ত হবেন।

বিদ্যুৎ বিল বকেয়া হবে না। ফলে লাইন কাটার টেনশন থাকবে না এবং অতিরিক্ত ডিসি/আরসি ফি ও ৫ শতাংশ বিলম্ব মাসুল প্রযোজ্য হবে না। প্রি-পেমেন্ট মিটারের মাধ্যমে নতুন সংযোগ প্রদানের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা জামানত নেওয়া হবে না। গ্রাহক তার মিটারের বিদ্যুৎ ব্যবহার ও অবশিষ্ট ব্যলেন্স যেকোনো সময় দেখতে পারবেন। প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের সময় গ্রাহকের কাছ থেকে কোনো অর্থ নেওয়া করা হবে না। সকল বিদ্যুৎ বিতরণী সংস্থা/কোম্পানিতে সিঙ্গেল ফেজ মিটারের মাসিক ভাড়া ৪০ টাকা টাকা হিসেবে বিদ্যুৎ বিলের সঙ্গে সমন্বয় করা হবে।

নড়াইলের জেলা প্রশাসক আনজুমান আরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা, বিদ্যুৎ সচিব ড. সুলতান আহমেদ ও ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শফিক উদ্দিন সংযুক্ত থেকে বক্তৃতা করেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেআর/পিটিএম

Tags: , , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন