বিজ্ঞাপন

‘গণতন্ত্রের লড়াইয়ে সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক মওলানা ভাসানী’

November 17, 2020 | 8:58 pm

সারাবাংলা ডেস্ক

মানুষের অধিকার ও জীবনের নিরাপত্তাসহ সব ধরনের সংকটের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ‘মজলুম জননেতা’খ্যাত মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীকে সবচেয়ে প্রাসঙ্গিত নেতৃত্ব বলে অভিহিত করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে সরকারের পতন ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নির্মাণের আন্দোলনে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোকে মরিয়া লড়াই করতে হবে। এই লড়াইয়ে সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক নেতৃত্ব মাওলানা ভাসানী।

মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) মওলানা ভাসানীর ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণে টাঙ্গাইলের সন্তোষে তার সমাধিতে গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানোর পর তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

গণমাধ্যমে পাঠানো গণসংহতি আন্দোলনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এদিন সকাল ১০টায় সন্তোষে মওলানা ভাসানীর সমাধিতে জোনায়েদ সাকির নেতৃত্বে শ্রদ্ধা জানায় গণসংহতি আন্দোলন। এসময় উপস্থিত ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য ফিরোজ আহমেদ, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূইয়া, মনিরউদ্দীন পাপ্পু, কেন্দ্রীয় সদস্য দীপক রায়সহ ঢাকা ও টাঙ্গাইল জেলার নেতাকর্মীরা।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে জোনায়েদ সাকি বলেন, আমাদের দেশে প্রাণ-প্রকৃতি, মানুষের অধিকার, জীবনের নিরাপত্তা থেকে শুরু করে আজ যত ধরনের সংকট ও উদ্বেগ রয়েছে, তা থেকে বাঁচার লড়াইয়ের দিশা ও নেতৃত্ব হতে পারেন মাওলানা ভাসানী। এই সময়ে সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক নেতৃত্ব মাওলানা হামিদ খান ভাসানী। তিনি অত্যাচার, লুটপাট, দুর্নীতির বিরুদ্ধে ভুখা মিছিল করেছিলেন। বাংলাদেশের মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য জীবনের শেষ পর্যন্ত লড়াই করে গেছেন।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান ও ভবিষ্যত এবং জনগণের নিরাপত্তা বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকারের অধীনে ভয়ংকর বিপদের মুখে। আন্তর্জাতিকভাবেও আমাদের দেশ স্বার্থ রক্ষা করতে পারবে কি না, তা জাতীয় সংহতি বজায় রাখার ওপর নির্ভর করছে। কিন্তু এই সরকার জনগণের ভোটাধিকার, বাকস্বাধীনতা, লুটপাটসহ জীবনের নিরাপত্তা হরণের মাধ্যমে দেশের জনগণকে বিভক্ত করে রেখেছে। তাই এই সরকারের পতন ও দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নির্মাণ এখন জনগণের ন্যূনতম দাবিতে পরিণত হয়েছে। এই লক্ষ্যে দেশের সব গণতান্ত্রিক শক্তি ও জনগণের বৃহত্তর ঐক্য গড়ে মরিয়া লড়াই করতে হবে। এই লড়াইয়ে সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক নেতৃত্ব মাওলানা হামিদ খান ভাসানী।

বিজ্ঞাপন

নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল বলেন, কেবল মানুষেরই অধিকারই নয়, পশু-পাখিসহ সব প্রাণের অধিকার নিয়ে সোচ্চার ছিলেন মওলানা ভাসানী। প্রাণ-প্রকৃতি সবকিছু যে একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কিত, তা রাজনীতিবিদ হিসেবে প্রথম ভেবেছিলেন মাওলানা ভাসানী। মজলুমের কণ্ঠস্বর মওলানা ভাসানীই বর্তমানের জনগণের যাবতীয় নিপীড়ণের বিরুদ্ধে দিশা দেখাবে।

এদিকে, মওলানা ভাসানীর ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আগামী ২০ নভেম্বর রাজধানীর শাহাবাগে জোনায়েদ সাকির সভাপতিত্বে জনসভা অনুষ্ঠিত হবে। বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা জনসভায় চলমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে করণীয় সম্পর্কে বক্তব্য রাখবেন।

সারাবাংলা/টিআর

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন