বিজ্ঞাপন

‘দুদক এখন শক্তিশালী বাঘ, তার হুঙ্কারে অনেক মানুষ ভীত’

November 21, 2020 | 3:46 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এখন আর দন্তহীন বাঘ নয়। দুদক অনেক শক্তিশালী এবং বাঘের এই হুঙ্কারে অনেক মানুষের জন্য ভীতিকর বলে জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার ড মো. মোজাম্মেল হক খান।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (২১ নভেম্বর) সকালে এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে দুর্নীতি প্রতিরোধে সরকারের সদিচ্ছা নিয়ে ছায়া সংসদে তিনি একথা বলেন।

দুদক কমিশনার ড মো . মোজাম্মেল হক খান বলেন, ‘দুদক এখন আর দন্তহীন বাঘ নয়। এখন অনেক শক্তিশালী এবং এই বায়ের হুংকার অনেক মানুষের জন্য ভীতিকর। দুদক এখন কোনো কিছুর কাছে মাথা নত করে না। একসময় আমাদের দেশ দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এখন কমিশনের সক্ষমতা, আন্তরিকতা ও সরকারের সদিচ্ছার কারণে দুদক ৪০টি দেশকে পেছনে ফেলে তাদের অবস্থান জানান দিয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দুদকের ওপর কমিশনের যে অপি‍র্ত দায়িত্ব সে দায়িত্ব পালনের ব্যাপারে সরকার সবা‍র্ত্মক আন্তরিক। আমাদের কিছু কিছু প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তি কেন্দ্রিক দুর্বলতা থাকে সেই কারণে দুদকের প্রাতিষ্ঠানের সক্ষমতার দরকার। আমি খুব তৃপ্তির সঙ্গে একটা কথা উল্লেখ করতে চাই, কমিশন গবেষণা বা প্রশিক্ষণের প্রয়োজনে সরকারের কাছে কোনো বাজেটের প্রস্তাব করে সেটা সরকার পাস করে দেয়। আমাদের কোনো বাজেট সংকট নেই। সরকারের আমাদের প্রতি সদিচ্ছার প্রতিফলন ঘটেছে। তাই সরকারের যদি দুর্নীতি দমনে সদিচ্ছা না থাকত তাহলে কমিশন যে মযা‍র্দায় এসেছে সেটি সম্ভব হতো না।’

বিজ্ঞাপন

বেগমপাড়ার বিষয়ে মোজাম্মেল বলেন, ‘আমাদের কাছে এ ধরনের অভিযোগ আছে এবং আমাদের বক্তব্য যারা দুর্নীতিবাজ তারা সাধারণ জনগণ নাকি না রাজনীতিবীদ সেটা বিবেচ্য বিষয় নয়। যখন অনুসন্ধান বা তদন্ত হবে এবং উদঘাটন হবে। তখন আমরা এ সংখ্যা নিয়ে কথা বলতে পারব। আর কথা বলার সেই সময়টি এখনো আসেনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘পি কে হালদার ছাড়াও আরও অনেকে আছেন যারা দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ার আগে হয়তো এতো বিখ্যাত ছিলেন না। সকলের বিরুদ্ধে দুদক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আমাদের এমএলএআর রয়েছে। সেগুলোর মাধ্যমে যারা বিদেশে আছে তাদের সম্পদ দেশে ফিরিয়ে আনা এবং তাদেরকে ফিরিয়ে আনার কাজ চলমান রয়েছে।’

হাজী সেলিমের ছেলের বিষয়ে কমিশনার আরও বলেন, ‘কোনো নামের বিষয়ে আমি বলব না। সকল দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান একই রকম। আমরা কাউকে ছাড় দিচ্ছি না। আর এটি যেহেতু এখনও অনুসন্ধান পযা‍র্য়ে সেহেতু এখন এটা নিয়ে কথা বললে আমাদের অনুসন্ধান এবং তদন্ত কাজে সমস্যা হবে।’

বিজ্ঞাপন

দুদক কর্মকর্তাদের দুর্নীতির বিষয়ে জানতে চাইলে কমিশনার মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আমাদের কাজ চলমান রয়েছে। আজকের আলোচনায় এনামুল বাছিরের বক্তব্য এসেছে। প্রতিদিনই আমরা এমন বিষয় নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করি। তাদেরকে কৈফিয়ত তলব করি। কেউ কেউ সাসপেন্ড আছে। এমনকি অনেককে আমরা বিভাগীয় মামলায় শাস্তি প্রদান করেছি। অনেকে চাকরি থেকে বিদায়ও নিয়েছে। আমি আশ্বস্ত করতে চাই, দুর্নীতির সঙ্গে দুদকের কোনো পর্যায়ের কোনো কর্মকর্তা যদি জড়িত থাকে এবং সেটি যদি তদন্তে প্রমাণিত হয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ কিরণের সভাপতিত্বে ছায়া সংসদে বিচারক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন শেকৃবির কৃষি রসায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. তাজুল ইসলাম চৌধুরী তুহিন, লেখক ও নাট্যকর অধ্যাপক আবু মোহাম্মদ রইস, উন্নয়নকর্মী ড এস এম মোর্শেদ, সাংবাদিক জেমসন মাহবুব ও রোকসানা আমিন।

ছায়া সংসদে অংশ নেয় ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসজে/একে

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন