বিজ্ঞাপন

করোনায় আর্থিক অনটন, স্ত্রীকে খুন করে পালানো স্বামী গ্রেফতার

December 17, 2020 | 7:28 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে নিজ বাসা থেকে খুন হওয়া এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এরপর কুমিল্লায় অভিযান চালিয়ে তার স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, করোনা মহামারি শুরুর পর আর্থিক অনটনের মধ্যে পড়েন তারা। এ নিয়ে সংসারে অশান্তি শুরু হয়। একপর্যায়ে স্বামী তাকে খুন করে পালিয়ে যায়।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) কুমিল্লা জেলায় নিজ বাড়ি থেকে স্বামী মো. সোহেলকে (৩৭) গ্রেফতার করে খুলশী থানা পুলিশ।

সোহেল কুমিল্লা জেলার চান্দিনা উপজেলার শৈলপুর ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামের মৃত শাহ আলমের ছেলে। সোহেল ও তার স্ত্রী আমেনা নগরীর খুলশী থানার আমবাগান এলাকার রেললাইনের পাশে ভাড়া ঘরে থাকতেন। ওই বাসা থেকে বুধবার দুপুরে আমেনার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

খুলশী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আফতাব হোসেন সারাবাংলাকে জানান, মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকালের মধ্যে কোনো একসময়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে আমেনাকে খুন করে সোহেল। পরে বাসার পেছনে টিন ফাঁক করে পালিয়ে যায়। স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়। আমেনার ভাই সিএনজি অটোরিকশা চালক মো. নুরুদ্দিন তার ভগ্নীপতি সোহেলকে আসামি করে থানায় মামলা করেন।

বিজ্ঞাপন

সোহেলের অবস্থান শনাক্ত করে বুধবার রাতে কুমিল্লাার নুরপুরের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরওয়ার জাহানের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেছে সোহেল।

মামলার এজাহারে বাদী নুরুদ্দিন অভিযোগ করেছেন, এক যুগ আগে সোহেলের সঙ্গে আমেনার বিয়ে হয়। তাদের তিন সন্তান আছে। সোহেলের একাধিক বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। আমেনা প্রতিবাদ করায় তাকে একবার কীটনাশক খাইয়ে হত্যার চেষ্টা করেছিল সোহেল। এই প্রতিবাদের কারণেই আমেনাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়।

গ্রেফতারের পর সোহেলকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহীনুজ্জামান সারাবাংলাকে বলেন, ‘সোহেল ও আমেনা পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। করোনা পরিস্থিতি শুরুর পর তাদের কারখানায় বেতন অনিয়মিত হয়ে পড়ে। পরে আমেনার চাকরি চলে যায়। এতে আর্থিক অনটনে পড়েন তারা। দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে কুমিল্লায় দাদীর কাছে পাঠিয়ে দেন। আমেনাকেও একাধিকবার বাড়িতে চলে যাওয়ার জন্য চাপ দেয় সোহেল। এ নিয়ে প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো। মঙ্গলবার রাতেও ঘুমাতে গিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এসময় সোহেল ওড়না গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে তাকে।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আরডি/টিআর

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন