বিজ্ঞাপন

গ্রাম পুলিশের চাকরি জাতীয়করণের চূড়ান্ত শুনানি ১৩ জুলাই

January 28, 2021 | 9:02 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: সারাদেশের গ্রাম পুলিশের চাকরি জাতীয়করণ করতে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল গ্রহণ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে এ বিষয়ে চূড়ান্ত শুনানির জন্য আগামী ১৩ জুলাই দিন ধার্য করেছেন সর্বোচ্চ আদালত।

বিজ্ঞাপন

মামলার চূড়ান্ত শুনানি শেষ না হওয়া পর্যন্ত হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত থাকবে বলে জানিয়েছে আপিল বিভাগ। এছাড়া আগামী ৮ সপ্তাহের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষকে এই মামলার সারসংক্ষেপও জমা দেওয়ার নির্দেশে দেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির ভার্চুয়াল আপিল বিভাগ বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে গ্রাম পুলিশের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন- সাবেক আইনমন্ত্রী আব্দুল মতিন খসরু ও আইনজীবী হুমায়ুন কবির পল্লব। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস।

বিজ্ঞাপন

আইনজীবী হুমায়ুন কবির পল্লব সারাবাংলাকে বলেন, ‘গ্রাম পুলিশদের চাকরি সংক্রান্ত মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আপিল গ্রহণ করেছেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ। এ মামলায় আজ আংশিক শুনানি হয়েছে। এ বিষয়ে আগামী ১৩ জুলাই চূড়ান্ত শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষকে মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণী দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।’

এর আগে, ২০১৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গ্রাম পুলিশদের চাকরি জাতীয় বেতন স্কেলের ১৯তম এবং ২০তম গ্রেডে বেতন দেওয়ার রায় দেন। পরে ওই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করে। রাষ্টপক্ষের আপিল গ্রহণ করে ২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত হাইকোর্টের রায় আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেন। একইসঙ্গে রাষ্টপক্ষকে লিভ টু আপিল দায়ের করার জন্য নির্দেশ দেন।

পরে ২০২০ সালের জুন মাসে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে রাষ্ট্রপক্ষ ১৫ অক্টোবর
লিভ টু আপিল দায়ের করেন। পরে চেম্বার জজ আদালত মামলাটি আজ (২৮ জানুয়ারি) আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন। আজ এ বিষয়ে সংক্ষিপ্ত শুনানি শেষে চূড়ান্ত শুনানির জন্য আগামী ১৩ জুলাই দিন ঠিক করেন সর্বোচ্চ আদালত।

বিজ্ঞাপন

জানা যায়, ২০০৮ সালের ৯ জুলাই গ্রাম পুলিশের একটি অংশের সঙ্গে সমঝোতা করে তাদের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর মর্যাদা দিতে রাজি হয় তৎকালীন সরকার। ওই বছরই গ্রাম পুলিশ তাদের বেতন-ভাতার জন্য প্রস্তাব পাঠায় মন্ত্রণালয়ে। তিন-চারবার এই প্রস্তাব পাঠানো হলেও তা নাকচ করে অর্থ মন্ত্রণালয়। পরে ২০১২ সালে মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, দফাদার ও মহল্লাদারদের চাকরি বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার আগে থেকেই একই নিয়মে চলে আসছে। নতুন করে তাদের চতুর্থ শ্রেণির চাকরির মর্যাদা দেওয়ার প্রয়োজন নেই।

এরপর ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর ঢাকার ধামরাই উপজেলার দফাদার মো. লাল মিয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের ৩৫৫ জন গ্রাম পুলিশ সদস্য হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করেন। একই বছরের ৩ ডিসেম্বর ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেন। এতে ২০০৮ সালের সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গ্রাম পুলিশ সদস্যদের চতুর্থ শ্রেণির চাকরিতে অন্তর্ভুক্তির নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। ওই রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল যথাযথ ঘোষণা করে তাদেরকে জাতীয় বেতন স্কেলের ১৯তম এবং ২০তম গ্রেডে বেতন দিতে রায় দেন।

চূড়ান্ত রায়ে ২০১১ সালের জুন মাস থেকে দফাদারদের ১৯তম এবং মহল্লাদারদের ২০তম বেতন গ্রেডের কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে ওই রায়ে তাদের চাকরিতে যোগদানের তারিখ থেকে সময়কাল গণনা করে অবসর ভাতা প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/কেআইএফ/এমও

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন