বয়স্কদের জন্য কেন্দ্রে স্পট রেজিস্ট্রেশনের কথা ভাবছে সরকার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: দেশে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হচ্ছে জাতীয় পর্যায়ে। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে কেন্দ্রে গিয়ে ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য নিবন্ধনের সুযোগ থাকলেও বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) থেকে সেটি বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়ে জানায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। তবে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আবদুল মান্নান জানিয়েছেন, যাদের বয়স বেশি এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তি তাদের জন্য ভ্যাকসিন প্রয়োগ কেন্দ্রে স্পট রেজিস্ট্রেশনের কথা ভাবছে সরকার। জাতীয় পরিচয় পত্র সঙ্গে নিয়ে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কেন্দ্রে গেলে তাদের নিবন্ধন করে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হতে পারে।

শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ভ্যাকসিন প্রয়োগ পরিদর্শন করতে গিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন আবদুল মান্নান।

স্বাস্থ্যসচিব বলেন, ‘গ্রামের মানুষের আগ্রহ বাড়াতে প্রয়োজনে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। যাদের বয়স বেশি বা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষ আছে আছেন, তারা ভোটার আইডি কার্ড সঙ্গে নিয়ে গেলে তাদের নিবন্ধন করা হবে। এরকম একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে আমরা চিন্তা করছি।’

তিনি বলেন, ‘দেশে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের জন্য ১৪ লাখ মানুষ নিবন্ধন করেছেন। ৩৫ লাখ ভ্যাকসিন দেওয়ার পর আমরা পরিসংখ্যান যাচাই করবো। যদি দেখা যায় গ্রামের মানুষের মধ্যে ভ্যাকসিন নেওয়ার প্রবণতা কম তাহলে উদ্বুদ্ধ করতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সারাদেশে সাড়ে পাঁচ লাখ মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। শনিবার এই সংখ্যা ছয় লাখ ছাড়িয়ে যাবে। এটা সম্ভব হয়েছে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রমে বাংলাদেশের ভালো অভিজ্ঞতার কারণে।’

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রে গিয়ে নিবন্ধনের সুযোগ আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, ভ্যাকসিন কার্যক্রম ঠিকভাবে চালাতেই আপাতত ওই সুবিধা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। নিবন্ধন না করে অনেকে ভ্যাকসিন নিতে আসছেন। এতে বিভিন্ন কেন্দ্রে অতিরিক্ত ভিড় তৈরি হচ্ছে। এখন থেকে যারা নিবন্ধন করে আসবেন, শুধু তাদেরই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। ভবিষ্যতে যদি ভ্যাকসিন প্রয়োগ কেন্দ্রে নিবন্ধনের প্রয়োজন পড়ে তখন আবারও জানানো হবে।

সারাবাংলা/এসবি/এমও