বিজ্ঞাপন

কৃষকের টাকায় পাকা হচ্ছে সড়ক

March 6, 2021 | 9:12 am

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

সুনামগঞ্জ: জেলার জগন্নাথপুরে কৃষকের টাকায় হাওরের ফসল ওঠার যাতায়াত সড়ক পাকাকরণের কাজ চলছে। দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর সরকারি সহায়তা না পেয়ে অবশেষে কৃষকদের টাকায় সড়ক নির্মাণের কাজ চলছে। গত বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) থেকে কাজ শুরু হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয় কৃষকরা জানান, জগন্নাথপুর পৌরসভার শেরপুর এলাকা থেকে নলুয়ার হাওরের হরতাজপুর (ত্রিশ নামের) সড়কটি পাকা করার জন্য কৃষকরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছিল। তবে সড়কটি নির্মাণে কেউ কোনো উদ্যোগ নেননি। পরে বাধ্য হয়ে কৃষকরা নিজেদের অর্থ সাড়ে সাত লাখ টাকা ব্যয়ে ৬০০ ফুট রাস্তা পাকা করার কাজ শুরু করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জগন্নাথপুর পৌরসভার ইকড়ছই, ছিলিমপুর, বলবল, ভবানীপুর, শেরপুর-যাত্রাপাশা, খালিকনগরসহ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের প্রায় দুই হাজার কৃষক পরিবার শেরপুর- হরতাজপুর ফসল দিয়ে নলুয়া হাওরের বোরো ফসল ওঠান। বোরো মৌসুমকালে মাঠের পাকা ফসল তোলার সময় সড়কটি কাদাযুক্ত হয়ে পড়ে। এতে করে যাতায়াতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন কৃষকরা। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে স্থানীয়রা সরকারি সহায়তার দাবি জানিয়ে আসলেও কোনো সুফল না মেলায় গত বৃহস্পতিবার জগন্নাথপুর সড়কের ত্রিশনামক এলাকায় রাস্তা পাকা করণের কাজ শুরু করেন কৃষকরা।

পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর লুৎফুর রহমান জানান, এ সড়ক দিয়ে নলুয়ার হাওরের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বোরো জমির ধান উত্তোলন হয়। সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়কটি কাদাযুক্ত হয়ে সব ধরনের যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, এলাকার কৃষকরা দীর্ঘদিন ধরে সড়ক পাকাকরণ কাজের জন্য দাবি জানিয়ে আসছেন। কিন্তু তা বাস্তবায়ন হয়নি।

কৃষক বকুল গোপ বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি পাকা না থাকায় প্রতি বছর বৈশাখ মাসে ধান তুলতে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়। যে কারণে অনেক কৃষক জমি অনাবাদি রেখেছেন। প্রতি বছর ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধের জন্য কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দিলেও ধান উত্তোলনের সড়ক নির্মাণে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া দুঃখজনক। তাই আমাদের টাকায় আমরা সড়ক নির্মাণ করছি।

কৃষক লাল মিয়া বলেন, পাকা ধান বর্ষা মৌসুমে আমাদের বাসায় নিয়ে যেতে খুবই কষ্ট হয়। তাই আমরা সকল কৃষক একত্রিত হয়ে রাস্তাটি পাকা করার জন্য জগন্নাথপুর উপজেলা এলজিইডি ও জগন্নাথপুর পৌরসভায় আবেদন করেছিলাম। কিন্তু দিন পর দিন চলে গেছে, আমাদের সড়ক পাকা করা হয়নি। তাই আমরা নিজস্ব টাকায়, সড়কটি পাকা করছি।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয় সরকার জগন্নাথপুর উপজেলা কার্যালয়ের প্রকৌশলী গোলাম সারোয়ার বলেন, সড়কটি পৌরসভার অংশে রয়েছে। এটি এলজিইডির আইডিবিহীন সড়ক। তবে সড়কটি গেজেট হলে আমরা নির্মাণ করতে পারব।

জগন্নাথপুর পৌরসভার মেয়র মেয়র আক্তার হোসেন বলেন, সড়কটি পৌরসভার আওতাধীন কিনা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখব। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে উদ্যোগ নেব আমরা।

সারাবাংলা/এনএস

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন