বিজ্ঞাপন

ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের ৩টি ধারা নিয়ে উদ্বেগ

March 25, 2018 | 2:47 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা : ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের ২১, ২৫ ও ২৮ ধারা নিয়ে উদ্বেগ ও আপত্তি জানিয়েছে ১০ দেশ ও এক সংস্থার প্রতিনিধিরা। রোববার (২৫ মার্চ) আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে সচিবালয়ে বৈঠককালে তারা এ উদ্বেগের কথা জানান।

এদিন আইনমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন জার্মান অ্যাম্বাসেডর টমাস প্রিন্সজ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন অ্যাম্বাসেডর রেন্স ট্রেরিংন। এছাড়া সুইডেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, কানাডা, যুক্তরাজ্য, স্পেন, নরওয়ে ও সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে জার্মান রাষ্ট্রদূত টমাস প্রিন্সজ বলেন, আমরা ২১, ২৫, ২৮ ধারা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছি।

বিজ্ঞাপন

ডিজিটাল আইনের ২১ ধারা অনুযায়ী মুক্তিযুদ্ধ বা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বা জাতির পিতার নামে প্রোপাগান্ডা বা প্রচারণা চালালে বা মদদ দিলে অনধিক ১৪ বছরের কারাদণ্ড বা এক কোটি টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড হতে পারে।

২৫ ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনও ব্যক্তি ওয়েবসাইট বা অন্য কোনও ইলেকট্রনিক বিন্যাসে ইচ্ছাকৃতভাবে আক্রমণাত্মক বা ভীতি প্রদর্শনমূলক তথ্য দেন, ব্যক্তিকে নীতিভ্রষ্ট বা অসৎ করতে পারে এমন তথ্য প্রকাশ করেন, মিথ্যা জানা থাকার পর কোনো ব্যক্তিকে বিরক্ত, অপমান, অপদস্থ বা হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য তথ্য প্রকাশ বা সম্প্রচার করেন, তাহলে এটা অপরাধ হবে।

ধারায় বলা হয়েছে, প্রথম দফায় এ অপরাধের শাস্তি হবে তিন বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক তিন লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড দান। এসব অপরাধ দ্বিতীয় বার বা বার বার করলে অনধিক পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে।

বিজ্ঞাপন

এছাড়া ধারা ২৮-এ বলা হয়েছে, যদি কোনও ব্যক্তি বা গোষ্ঠী ইচ্ছাকৃতভাবে ধর্মীয় অনুভূতি বা মূল্যবোধে আঘাত করার জন্য ইলেকট্রনিক বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ করে, তাহলে সাত বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে।

একই অপরাধ দ্বিতীয়বার বা বার বার করলে ১০ বছরের কারাদণ্ড, ২০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড একসঙ্গে দেওয়া হবে।

বৈঠক শেষে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে খালেদা জিয়ার আইনি পরামর্শক হিসেবে লর্ড কার্লাইলকে নিয়োগের বিষয়টিকে দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘ওনারা বাইরের কোনো আইনজীবীর পরামর্শ নিতেই পারেন। কিন্তু আমরা যা শুনেছি, আমাদের কাছে যা তথ্য আছে লর্ড কার্লাইল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি জামায়াত নেতাদের সহায়তা করেছেন। তাকে যদি নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে তাহলে সেটা দুঃখজনক।’

সারাবাংলা/এইচএ/একে

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন