বিজ্ঞাপন

২৫ জেলায় হবে ৩০টি আধুনিক সাইলো— একনেকে অনুমোদন

June 8, 2021 | 5:45 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: দেশের বিভিন্ন স্থানে ধান শুকানো সংরক্ষণ ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক সুবিধাদিসহ আধুনিক ধানের সাইলো নির্মাণের পাইলট প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পে প্রথমে ৩০টি সাইলো নির্মাণ করা হবে। দেশব্যাপী কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান কেনার লক্ষ্যকে সামনে রেখে এই প্রকল্পটি নিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। এক হাজার ৪০০ কোটি ২২ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি ২০২১ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে বাস্তবায়ন করা হবে।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (৮ জুন) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সম্মেলনকক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।

জানা গেছে, কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান কেনার মাধ্যমে উৎপাদিত ধানের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করাই এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য। সরকারি খাদ্য ব্যবস্থাপনায় দেড় লাখ মেট্রিক টন ধারণক্ষমতা বাড়ানো, সরকারি খাদ্য ব্যবস্থাপনায় আধুনিক প্রযুক্তির অভিযোজন এবং কীটনাশকবিহীন মজুদ ব্যবস্থার মাধ্যমে দুই থেকে তিন বছর শস্যের পুষ্টিমান বজায় রাখা হবে। আর্দ্রতা ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে মজুদ শস্যের মান নিয়ন্ত্রণ করা এবং নিরাপদ ও পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাদ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা প্রকল্পটির অন্যতম উদ্দেশ্য।

প্রকল্পের এলাকাগুলো হলো— কিশোরগঞ্জের কটিয়াদি, টাঙ্গাইলের মির্জাপুর, টাঙ্গাইল সদর, ফরিদপুর সদর, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট, জামালপুরের মেলান্দহ, শেরপুরের শ্রীবর্দী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, নোয়াখালী সদর,  কুমিল্লা সদর, দিনাজপুর সদর ও বিরল, ঠাকুরগাঁও সদর, পঞ্চগড়ের বোদা, লালমনিরহাটের হাতিবান্দা, নওগাঁর শিবপুর, রানীনগর, পাবনার ঈশ্বরদী, বগুড়ার শেরপুর ও নন্দীগ্রাম, জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল, সিলেটের কানাইঘাট, হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ, সুনামগঞ্জ সদর, নড়াইল সদর, কুষ্টিয়ার কুমারখালী, পটুয়াখালী সদর ও কলাপাড়া এবং ভোলার চরফ্যাশন।

বিজ্ঞাপন

ধানঝাড়াই, বাছাই, শুকানো, আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ও আনুষঙ্গিক সুবিধাদিসহ প্রতিটি এলাকায় ৫ হাজার মেট্রিক টন ধারণক্ষমতার ৩০টি ধানের সাইলো নির্মাণ করা হবে। এসব সাইলোতে ট্রাক ও বাল্ক ওজন যন্ত্র, কনভেয়িং ও বাকেট এলিভেটর সিস্টেম সংযোজন থাকবে। সাইলোর সিভিল ফাউন্ডেশন, মাল্টিপারপাস ভবন নির্মাণ, বৈদ্যুতিক সাব-স্টেশন স্থাপনসহ ৩০টি কেন্দ্রে সীমানা প্রাচীরও নির্মাণ করা হবে।

প্রকল্পটি সঠিকভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের কৃষকরা ধানের ন্যায্যমূল্য পাবেন। এছাড়াও যে কোনো দুর্যোগকালে খাদ্য নিরাপত্তাও নিশ্চিত হবে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেআর/এনএস

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন