বিজ্ঞাপন

চসিকে রেজাউলের প্রথম বাজেট ২৫০০ কোটি টাকার

June 27, 2021 | 6:55 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য মোট ২ হাজার ৪৬৩ কোটি ৯৬ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। বাজেটে আয়ের মূল খাত দেখানো হয়েছে উন্নয়ন অনুদান ও গৃহকর। আর বড় অংশই যাবে বকেয়া দেনা শোধে। মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর এটা রেজাউল করিম চৌধুরীর প্রথম বাজেট।

বিজ্ঞাপন

রোববার (২৭ জুন) দুপুরে নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বাজেট ঘোষণা করেন সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। ২০২১-২০২২ নতুন অর্থবছরের বাজেটের পাশাপাশি ২০২০-২১ অর্থবছরের ১০০১ কোটি ৩৬ লাখ ৪৫ হাজার টাকার সংশোধিত বাজেটও উপস্থাপন করা হয়। ওই অর্থবছরে মোট ২ হাজার ৪৩৬ কোটি ৩০ লাখ ৪২ হাজার টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছিল। বাজেট বাস্তবায়ন হয়েছে ৪১ শতাংশ। নতুন অর্থবছরের বাজেটেও আয়ব্যয়ের পরিকল্পনায় নতুন তেমন কিছুই নেই।

বাজেট বক্তব্যে করপোরেশনের নিজস্ব আয়ের ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার কথা উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ‘নগর উন্নয়নে সরকারের মুখাপেক্ষী না হয়ে নিজস্ব আয়বর্ধক প্রকল্প গ্রহণ করার ওপর জোর দিচ্ছি। ইতোমধ্যে অনেকগুলো আয়বর্ধক প্রকল্পের ডিজাইন আহ্বান করা হয়েছে। যেসব আয়বর্ধক প্রকল্প স্থবির হয়ে পড়েছে, সেগুলো সচল করা হবে।’

অযৌক্তিক করারোপ না করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মেয়র নগরবাসীকে অনুরোধ করেছেন যথাসময়ে কর পরিশোধের জন্য। এজন্য রাজস্ব আদায় প্রক্রিয়া সহজ করার কথাও বলেছেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

প্রস্তাবিত বাজেটে তিন ধরনের করকে ভিত্তি ধরা হয়েছে। এই ভিত্তিগুলো থেকে মোট আয় ধরা হয়েছে ৫৩৩ কোটি ৯৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এর মধ্যে বকেয়া কর ও অভিকর খাতে সর্বোচ্চ ২১৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা আয় ধরা হয়েছে। হাল কর ও অভিকর খাতে ১৮৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকাএবং অন্যান্য কর বাবদ ১৩২ কোটি ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা আয় ধরা হয়েছে।

আগের অর্থবছরেও তিন ধরণের করকে ভিত্তি ধরে মোট আয় ধরা হয়েছিল ৪৭৯ কোটি ৪২ লাখ ৯২ হাজার টাকা। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট অনুসারে ওই তিন ধরণের আয়কর বাবদ চসিকের আয় হয়েছে ২৪০ কোটি ৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা। নতুন অর্থবছরের বাজেটে উন্নয়ন অনুদান খাতে ১৫৭০ কোটি টাকা আয় প্রত্যাশা করা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য উৎস থেকে ৩৭ কোটি ৯৫ লাখ টাকা আয় ধরা হয়।

বিজ্ঞাপন

ঘোষিত বাজেটে নগরের উন্নয়ন খাতে সর্বোচ্চ ৮৮২ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। বাজেটের বড় অংশ ব্যয় হবে বকেয়া দেনা পরিশোধে। এ জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৮৩৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা। ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে উন্নয়ন খাতে ৯৪৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হলেও খরচ হয়েছে ৪৬৫ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এবারের বাজেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যয় ধরা হয়েছে বেতন, ভাতা ও পারিশ্রমিক খাতে ২৯৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।

বাজেট অধিবেশনে দেওয়া বক্তব্যে মেয়র আধুনিক নগর ভবন, স্মার্ট সিটি প্রকল্প, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আবাসিক ভবন, নতুন সড়ক, টার্মিনাল নির্মাণসহ বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘সরকারের কাছ থেকে সবকিছু নিয়ে নগর উন্নয়ন সম্ভব নয়। সবার সহযোগিতা, চিন্তা-চেতনা, মেধা ও সঠিক পরামর্শ বাস্তবায়নে সচেষ্ট থাকব। রাজস্ব আদায়ের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য সিটি করপোরেশন নিয়মিত পত্র ও ব্যক্তিগত যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে। সরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে পাওনা গৃহকর আদায়ের জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে।’

সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলমের সভাপতিত্বে বাজেট অধিবেশনে বাজেট বিবরণী উপস্থাপন করেন অর্থ ও সংস্থাপনবিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইসমাইল। উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র আবদুস সবুর লিটন, মো. গিয়াস উদ্দিন ও আফরোজা কালাম, সিটি করপোরেশনের সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, অতিরিক্ত প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির। এছাড়া ওয়ার্ড কাউন্সিলররাও উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন