বিজ্ঞাপন

‘করোনার তথ্য নিয়ে লুকোচুরির কিছুই নেই’

June 28, 2021 | 11:12 pm

স্টাফ করেসপনডেন্ট

ঢাকা: করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) তথ্য নিয়ে লুকোচুরির কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তবে অনেক সময় কিছু তথ্য রাষ্ট্রীয় স্বার্থে ধরে রাখা হয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (২৮ জুন) ‘রিপোর্ট অন বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্টাটিসটিকস-২০২০’র প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এসব কথা বলেন। রাজধানীর আগারগাঁও-এ অবস্থিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ভবন অডিটরিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মহাপরিচালক মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

এ বিষয়ে এম এ মান্নান বলেন, কে জানত করোনাআসবে পৃথিবী জুড়ে। তাই এটা নিয়ে লুকোচুরির কিছু নেই। গতকালের করোনায় মৃত্যুর হার যতই বেদনাদায়ক হোক না কেন, আমাদের বলতেই হবে। পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যও লুকোচুরির কিছু নেই। মাঝে মধ্যে রাষ্ট্রীয় কিছু বিষয় থাকে, যেগুলো কিছু সময় ধরে রাখা হয়। সেটি দেশের স্বার্থেই করা হয়।

তিনি বলেন, আমরা কোথায় যাচ্ছি? উন্নতির দিকে যাচ্ছি। ভাল জীবনের পথে যাচ্ছি। খেয়ে, স্কুলে পড়ে, স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে এবং বিদ্যুৎ জ্বালিয়ে ভাল থাকাটাই জীবন। সেটিই চেষ্টা করছে সরকার।

বিজ্ঞাপন

পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, বিবিএস’র কাজ নিয়ে আমি খুবই আশান্বিত। কারণ তারা চিত্র তুলে ধরে। তাদের তথ্য নিয়েই আমরা মানুষের সামনে হাজির হই। মানুষ বিশ্বাস করলেই আমরা খুশি। এখানে কিছু প্রশ্ন থাকবে— আমরা প্রশ্ন পছন্দ করি। কিন্তু দোষী সাব্যস্ত না হওয়া পর্যন্ত কাউকে দোষারোপ করাটা ঠিক নয়।

অনুষ্ঠানে প্রতিবেদনের মূল বিষয়বস্তু উপস্থাপন করেন মনিটরিং দ্য সিচুয়েশন অব ভাইটাল স্টাটিসকিটকস অব বাংলাদেশ (এমএসভিএসবি) তৃতীয় পর্যায় প্রকল্পের পরিচালক একেএম আশরাফুল হক। তিনি বলেন, ২০২১ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯১ লাখ ১০ হাজার। এর মধ্যে পুরুষ ৮ কোটি ৪৬ লাখ ৪০ হাজার এবং মহিলার সংখ্যা ৮ কোটি ৪৪ লাখ ৭০ হাজার জন। দেশের মোট জনসংখ্যার ৮৮ দশমিক ৪ শতাংশ মুসলমান এবং হিন্দুসহ অন্যান্য হচ্ছে ১১ দশমিক ৬ শতাংশ। জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির ব্যবহার বেড়ে ৬৩ দশমিক ৯ শতাংশ, যা ২০১৯ সালের প্রতিবেদনে ছিল ৬৩ দশমিক ৪ শতাংশ। এইচআইভি বা এইডস সম্পর্কে জানে দেশের ৭১ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ, যা আগের বছর ছিল ৭০ দশমিক ১ শতাংশ। এছাড়া দেখা যায় পুরুষের বিবাহের গড় বয়স কমে দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ১ বছর, যা ২০১৯ সালে ছিল ২৬ দশমিক ৩ বছর। এদিকে মহিলাদের বিবাহের গড় বয়স বেড়েছে হয়েছে ২০ দশমিক ৮ বছর, যা  আগের বছর ছিল ২০ দশমিক ৫ বছর।

প্রত্যাশিত গড় আয়ু বৃদ্ধির বিষয়ে তিনি জানান, ভারত ও পাকিস্তানসহ প্রতিবেশী অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশে প্রত্যাশিত গড় আয়ু বেশি।

বিজ্ঞাপন

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, স্থুল মৃত্যু হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রতি হাজারে ৫ দশমিক ১ জন, যা ২০১৯ সালের হিসেবে ছিল ৪ দশমিক ৯ জন। এক বছরের নিচে ও এক মাসের নিচে শিশু মৃত্যুও হার গত বছরের মতোই আছে।

পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী বলেন, বিবিএস ১৯৮০ সাল থেকে জনতাত্ত্বিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। বর্তমানে এই প্রতিবেদনের নমুনা এলাকার সংখ্যা হচ্ছে ২ হাজার ১২টি। যেখানে ৩ লাখ ১ হাজার ১৩১টি পরিবার থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এসব পরিবারের জনসংখ্যা হচ্ছে ১২ লাখ ৮৫ হাজার ১৩ জন।

সভাপতির বক্তব্যে মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, এ জরিপের উদ্দেশ্য হলো— প্রতি ১০ বছর অন্তর অনুষ্ঠিত আদম শুমারির মাঝের বছরগুলোতে নিয়মিত তথ্য পেতে এটি নিয়মিত পরিচালনা করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে জন্ম, মৃত্যু, বিবাহ, আগমন, বর্হিগমন, আর্থ-সামাজিক তথ্য সংগ্রহ, প্রক্রিয়াকরণ এবং নিয়মিতভাবে জনমিতি সম্পর্কিত সূচকসমুহ প্রকাশ করা হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেজে/এনএস

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন