বিজ্ঞাপন

ঈদের জামাতে মানতে হবে যেসব বিষয়

July 13, 2021 | 6:37 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: পবিত্র ঈদুল আজহার জামায়াত কোথায়, কীভাবে হবে— তার দিক নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা নির্দেশনার আলোকে এ সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ কুদ্দুছ আলী সরকারের সই করা এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে কোভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জারি করা স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে ঈদুল আজহার জামাত আদায়ের জন্য নির্দেশনাগুলো তুলে ধরা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে মসজিদ, ঈদগাহ বা খোলা ময়দানে ঈদ জামাত আয়োজনে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। সেক্ষেত্রে মুসল্লিদের বাসা থেকে ওজু করে নামাজ আদায় করতে যেতে বলা হয়েছে। মসজিদ বা ঈদগাহের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে বলা হয়েছে। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জারি করা এ সংক্রান্ত নির্দেশনাগুলো হলো—

ক. করোনা সংক্রমণের স্থানীয় পরিস্থিতি ও মুসল্লিদের জীবনের ঝুঁকি বিবেচনা করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে সমন্বয় করে স্থানীয় প্রশাসনকে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জারি করা স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে যেকোনো স্থানে ঈদের জামাত আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিতে হবে;

বিজ্ঞাপন

খ. মসজিদে ঈদের নামাজ আয়োজনের ক্ষেত্রে কার্পেট বিছানো যাবে না। নামাজের আগে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। মুসল্লিরা প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসবেন;

গ. প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে ওজু করে মসজিদ/ঈদগাহে আসতে হবে এবং ওজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান-পানি দিয়ে হাত ধুতে হবে;

ঘ. করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধ নিশ্চিত করতে মসজিদ/ঈদগাহে ওজুর স্থানে সাবান, পানি ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে;

বিজ্ঞাপন

ঙ. মসজিদ/ঈদগাহ মাঠের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার/হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান ও পানি রাখতে হবে;

চ. ঈদের জামাতে আগত মুসল্লিদের অবশ্যই মাস্ক পরে আসতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না;

ছ. ঈদের নামাজ আদায়ের সময় কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে। এক কাতার সমপরিমাণ জায়গা ফাঁকা রেখে নতুন কাতার করতে হবে;

জ. শিশু, বয়োবৃদ্ধ, অসুস্থ ব্যক্তি ও অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের ঈদের নামাজের জামায়াতে অংশগ্রহণ নিরুৎসাহিত করা হলো;

বিজ্ঞাপন

ঝ. সর্বসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে;

ঞ. ঈদের জামায়াত শেষে কোলাকুলি ও পরস্পর হাত মেলানো পরিহার করতে হবে;

ট. করোনা মহামারির এ বৈশ্বিক মহাবিপদ হতে রক্ষা পেতে বেশি বেশি তওবা, ইস্তেগফার ও কুরআন তিলাওয়াত করতে হবে। আমাদের কৃত অন্যায়-অপরাধের জন্য ঈদের নামাজ শেষে আল্লাহর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করতে হবে; এবং

ঠ. খতিব, ইমাম, মসজিদ/ঈদগাহ পরিচালনা কমিটি ও স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশনাগুলোর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সংশ্লিষ্ট মসজিদের পরিচালনা কমিটিকে এসব উল্লিখিত নির্দেশনা বাস্তবায়নের অনুরোধ জানিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। নির্দেশনা লঙ্ঘন করলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে পারবে বলেও জানানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ১১ জুলাই দেশের আগে পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ায় ১২ জুলাই থেকে জিলহজ মাস শুরু হয়েছে। সে হিসাবে আগামী ১০ জিলহজ মোতাবেক ২১ জুলাই দেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করা হবে। দেশের করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যেও ঈদুল আজহা উপলক্ষে ৮ দিনের জন্য বিধিনিষেধ শিথিল করেছে সরকার। ১৫ জুলাই থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত শিথিল থাকবে এসব বিধিনিষেধ। ২৩ জুলাই থেকে ফের তা বলবৎ হবে।

ফাইল ছবি

সারাবাংলা/জেআর/টিআর

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন