বিজ্ঞাপন

বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের ফিরিয়ে এনে ফাঁসি কার্যকরের দাবি

August 26, 2021 | 12:13 am

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডে জড়িত পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির রায় কার্যকরের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) নেতারা।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (২৫ আগস্ট) সকালে রাজধানীর তোপখানা রোডে বিএমএ’র শহিদ ডা. শামসুল আলম খান মিলন সভাকক্ষে ‘জাতীয় শোক দিবস-২০২১ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাতবার্ষিকী’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ দাবি জানান তারা।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে খুনিচক্র কেবল ব্যক্তি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকেই হত্যা করেনি, তারা হত্যা করেছিল এ দেশের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে। খুনি মুশতাক-জিয়া চক্র দেশকে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল পাকিস্তানি ধ্যান-ধারণায়, সংবিধান থেকে মুছে ফেলেছিল বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্য।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে প্রথম স্বাধীন দেশ উপহার দিয়েছিলেন। এর আগে বাঙালি জাতি কোনোদিনই স্বাধীন ছিল না। আল্লাহর অশেষ রহমতে বেঁচে যাওয়া বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা অসীম ধৈর্য, সংগ্রাম ও ত্যাগের বিনিময়ে এ জাতি বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার করতে পেরেছে। আজ সময় এসেছে একটি কমিশনের মাধ্যমে হত্যার নেপথ্যের কুশীলবদের মুখোশ জাতির সামনে উম্মোচন করে তাদেরও বিচার করার।

বিজ্ঞাপন

সভাপতির বক্তব্যে বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন আবেগতাড়িত কণ্ঠে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিচারণ করে বলেন, পঁচাত্তরেরর ১৫ আগস্ট কালরাতে ঘাতকেরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি, বরং বাঙালির মানসপট থেকে চিরতরে মুছে দিতে নানা হীন ষড়যন্ত্র করেছিল। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ খুনিচক্রের সেই ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করে দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে বাঙালি জাতির পিতার আসনে অধিষ্ঠিত করেছে।

তিনি বলেন, অনেক দেরি হলেও আমরা বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের বিচার করে রায় কার্যকর করতে পেরেছি। এখন নেপথ্যের ষড়যন্ত্রকারীদের বিচার করার পালা।

বিএমএ মহাসচিব ডা. মো. ইহতেশামুল হক চৌধুরী বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতার হত্যাকারীদের বিচার হয়েছে। কিন্তু এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের কারিগর সামরিক, বেসামরিক আমলা ও রাজনীতিকদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে ও তাদের যেসব উত্তরসূরী এখনো ষড়যন্ত্রের জাল বুনছেন এবং বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকারকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলছেন, তাদেরও খুঁজে বের করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ ও সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া।

অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক ডা. শাহলা খাতুন, বিএমএ সহসভাপতি ডা. শেখ শফিউল আজম, বিএমএ সাংস্কৃতিক সম্পাদক ডা. পূরবী রাণী দেবনাথ।

সারাবাংলা/এসবি/টিআর

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন