বিজ্ঞাপন

রেলের পশ্চিমাঞ্চলে যোগ হচ্ছে ১০০ বগি

September 26, 2021 | 8:44 am

জোসনা জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলীয় বহরে যুক্ত হচ্ছে ১০০টি যাত্রীবাহী বগি। এটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩৮ কোটি ৪৬ লাখ ৯১ হাজার টাকা।

বিজ্ঞাপন

এজন্য ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের জন্য ৫০টি বিজি (ব্রড গেজ) এবং ৫০টি এমজি (মিটারগেজ) যাত্রীবাহী পুনর্বাসন’ শীর্ষক একটি প্রকল্প হাতে নিচ্ছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে যাত্রী সেবার মান উন্নয়ন হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা সারাবাংলাকে জানান, রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাব পাওয়ার পর চলতি বছরের ৩ মার্চ অনুষ্ঠিত হয় পিইসি (প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি) সভা। ওই সভায় দেওয়া সুপারিশগুলো প্রতিপালন করায় প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়েছে। অনুমোদন পেলে ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

প্রকল্প প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের বহরে ৪৬৭টি বিজি ও ২৫৩টি এমজি যাত্রীবাহী বগি চলাচল করে। বাংলাদেশ রেলওয়ের রাজস্ব খাতে পর্যাপ্ত বাজেট না থাকা, অত্যধিক জনবল স্বল্পতা এবং মেয়াদোত্তীর্ণ প্ল্যান্টস এন্ড মেশিনারিজের কারণে বগিগুলোর শিডিউল যথাসময়ে সম্পন্ন করা সম্ভব হচ্ছে না। যার ফলে যাত্রীবাহী ক্যারেজের প্রাপ্যতায় বিরূপ প্রভাব পড়ছে। দীর্ঘদিন শিডিউল জেনারেল ওভারহলিং (জিওএইচ) না হওয়ায় বর্তমানে বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিম অঞ্চলের বহরে ১২০টি বিজি ও ১২৫টি এমজিসহ সর্বমোট ২৪৫টি ক্যারেজ জিওএইচ ওভারডিউ অবস্থায় ডিভিশন চলাচল করছে। এরমধ্যে ৫০টি বিজি এবং ৫০টি এমজি ক্যারেজ পুনর্বাসনের জন্য মনোনীত করা হয়েছে এবং ৩ বছর মেয়াদে বাস্তবায়ন করা হবে। পশ্চিমাঞ্চলের মিটারগেজ লাইনগুলোকে ক্রমান্বয়ে ব্রডগেজে রূপান্তর পরিকল্পনা রয়েছে যা আগামী ২০৪০ সাল হতে ২০৪৫ সালের মধ্যে সম্পন্ন করা হতে পারে বলে আশা করা যায়। এই সময়কালের জন্য ৫০টি এমজি কোচ পুনর্বাসন করা প্রয়োজন।

বিজ্ঞাপন

যাত্রী চাহিদার কারণে ওভারডিউ কোচগুলো একদিকে যেমন বহর থেকে বাদ দেওয়া যাচ্ছে না অন্যদিকে নিরাপদ ট্রেন পরিচালনার ক্ষেত্রে কোচগুলো অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। সে কারণে ওভারডিউ কোচগুলো থেকে ৫০টি বিজি ও ৫০টি এমজি যাত্রীবাহী ক্যারেজ পুনর্বাসনের জন্য প্রকল্পটি প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রকল্পটি অনুমোদিত হলে ৫০টি বিজি ও ৫০টি এমজি যাত্রীবাহী ক্যারেজ তিন বছরে পুনর্বাসন শেষে বিভিন্ন ট্রেনে সংযোজন করা যাবে এবং এর ফলে নিরাপদ যাত্রীসেবা নিশ্চিতসহ প্রচুর রাজস্ব আদায় করা সম্ভব হবে। এর আগে একই রকম দুটি প্রকল্পের মাধ্যমে ১৬০টি যাত্রীবাহী ক্যারেজ পুনর্বাসন করা হয়েছে।

প্রকল্পের মূল কার্যক্রম হচ্ছে, প্রকল্পের আওতায় ৫০টি বিজি এবং ৫০টি এমজি ওভারডিউ ব্রডগেজ ও মিটারগেজ যাত্রীবাহী গাড়ী সৈয়দপুর কারখানায় কর্মরত কর্মচারীদের মাধ্যমে পুনর্বাসন এবং পুনর্বাসনের জন্য প্রয়োজনীয় বৈদেশিক ও স্থানীয় মালামাল সংগ্রহ করা হবে। ৫০টি টুলস এন্ড প্রান্ট ও মেশিনারি ক্রয় ও স্থাপন, ৪৭টি টুরস এন্ড প্লান্ট ও মেশিনারি (ইলেকট্রিক্যাল) ক্রয় ও স্থাপন, ৩৬৬টি স্পেয়ার পার্টস ( মেকানিক্যাল) ৫০টি বিজি কোচের জন্য, ৩২১টি স্পেয়ার পার্টস (মেকনিক্যাল ৫০টি এমজি কোচ, ৯৮টি স্পেয়ার পার্টস, ৯৮টি স্পেয়ার পার্টস (ইলেকট্রিক্যাল) ৫০টি এমজি কোচের জন্য, ৫০টি বিজি কোচের শ্রমিক বাবদ ব্যয়ের সংস্থান, ৫০টি এমজি কোচের শ্রমিক বাবদ ব্যয়ের সংস্থান এবং অফিস স্টেশনারি ক্রয় ও বিজ্ঞাপনসহ আনুষঙ্গিক কাজ করা হবে।

এ বিষয়ে প্রকল্পটির দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য মামুন-আল -রশীদ সারাবাংলাকে বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চল মিটারগেজ ও ব্রডগেজ সেকশনে যাত্রীবাহী ক্যারেজের প্রাপ্যতা বৃদ্ধি পাবে। এতে অধিক সংখ্যক যাত্রী পরিবহন করা সম্ভব হবে এবং যাত্রীসেবার মান উন্নত হবে। তাই প্রকল্পটি অনুমোদনযোগ্য।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেজে/এএম

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন