বিজ্ঞাপন

‘চাঁদা দেইনি বলে জেলে ঢুকায় রাখছে’

October 17, 2021 | 5:43 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: অনলাইন ক্যাসিনো ব্যবসায়ী সেলিম প্রধান আদালতে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেছেন, চাঁদা চেয়েছিল; দেইনি বলে আমাকে জেলে ঢুকায় রাখছে। তিলে তিলে মারতেছে আর কি।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১৭ আগস্ট) বিকেলে ঢাকার বিশেষ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালতে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানিলন্ডারিং আইনের মামলায় চার্জশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে আদালত চার্জগঠনের বিষয়ে আদেশের জন্য ৩১ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।

শুনানি শেষে সেলিম প্রধানকে ফের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। কারাগারে নিয়ে যাওয়ার সময় সেলিম প্রধান সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আর কত ভুয়া চালাবে। ভুয়া ভুয়া। সব ভুয়া। ভুয়া মামলা নিয়ে আসছে।’ এভাবে নিজের আক্ষেপ প্রকাশ করতে থাকেন সেলিম প্রধান। তখন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সেলিম প্রধান বলেন, ‘এটা আমার আক্ষেপের কথা না, বাস্তবের কথা। চাঁদা চেয়েছিল; দেইনি বলে জেলে ঢুকায় রাখছে।’

কোন চাঁদার কথা বলছেন? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এক বাহিনী। আপনারা দেখেননি, টিভিতে দেখেন নাই। দেখাইছে না। বলছে, সেলিম তুই আমার প্রতিবেশি, মোহাম্মপুরের পোলা। তোরে আমি মারি নাই, জেলে পাঠায় দিলাম। জেলে পাঠায়ে তোরে আমি তিলে তিলে মারুম। তিলে তিলে মারতেছে আর কি।’

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ, ২০১৯ সালের ২৭ অক্টোবর সেলিম প্রধানের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান। মামলায় তার বিরুদ্ধে ১২ কোটি ২৭ লাখ ৯৫ হাজার ৭৫৪ টাকা অবৈধভাবে অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।

চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি মামলাটি তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে দুদকের উপ-পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান। কিন্তু চার্জশিটে ৫৭ কোটি ৭৯ লাখ ২৮৮ টাকার জ্ঞাতআয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জন এবং ২১ কোটি ৯৯ লাখ ৫১ হাজার ১৪৫ হাজার টাকা থাইল্যান্ড ও ইউএসএতে পাচারের অভিযোগ আনা হয়।

সেলিম প্রধানকে ২০১৯ সালেল ৩০ সেপ্টেম্বর দুপুরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আটক করে র‌্যাব-১। এরপর তার গুলশান ও বনানীর বাসা এবং অফিসে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে নগদ ২৯ লাখ টাকা, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ ও বিভিন্ন দেশের মুদ্রা জব্দ করা হয়। সেইসঙ্গে হরিণের চামড়া পাওয়া যাওয়ায় ওইদিনই সেলিম প্রধানকে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে ভ্রাম্যমাণ আদালত ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠান।

বিজ্ঞাপন

ওই ঘটনায় গুলশান থানায় তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও মানিলন্ডারিং আইনে দু’টি মামলা করে র‌্যাব। ওই মামলাগুলোয় তাকে কয়েক দফা রিমান্ডে নেওয়া হয়। এরপর তার বিরুদ্ধে দুদক মামলা করে।

সারাবাংলা/এআই/পিটিএম

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন