বিজ্ঞাপন

ট্রেন-গাড়ি সংঘর্ষ : আরও একজনের মৃত্যু

December 4, 2021 | 2:28 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রাম নগরীতে ডেমু ট্রেন ও গাড়ির সংঘর্ষে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে তিনজনে।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে নগরীর খুলশী থানার ঝাউতলা রেলক্রসিং এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনাস্থলে একজন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর একজন এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

নিহতদের মধ্যে দু’জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এরা হলেন- মো. মনিরুল ইসলাম (৫৮) এবং বাহা উদ্দিন সোহাগ। এদের মধ্যে মনিরুল ইসলাম নগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের উত্তর জোনে কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল। বাড়ি নোয়াখালী জেলায়।

বাহা উদ্দিনের বাড়ি চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায়। পেশায় একজন প্রকৌশলী। তিনি ডালি কনস্ট্রাকশন নামে একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। নিহত আরেকজন দুর্ঘটনাকবলিত ম্যাক্সিমা হিউম্যান হলারের চালক হিসেবে পুলিশ শনাক্ত করলেও তার নাম জানাতে পারেনি।

বিজ্ঞাপন

এদিকে দুঘটনায় আহত ছয়জন চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এরা হলেন- জমির উদ্দিন (৪০), শহীদুল ইসলাম (৪০), জয়নাল (২৬), জোবায়দা (২০), আদনান (৭) এবং মোহাম্মদ (১০)।

আরও পড়ুন: ট্রেনের সঙ্গে দুই গাড়ির ধাক্কা, পুলিশ সদস্যসহ নিহত ২

স্থানীয় পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাদেকুর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, ‘দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ বাহা উদ্দিন নামে একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আহত ছয়জন চিকিৎসাধীন আছেন।’

বিজ্ঞাপন

সিএমপি ও রেল পুলিশের কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, ডেমু ট্রেনটি নাজিরহাট থেকে চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে যাচ্ছিলেন। ঝাউতলা রেলক্রসিংয়ে গেইট লাগান ছিল না। রেললাইন সংলগ্ন হয়ে একটি অটোরিকশা, একটি ম্যাক্সিমা হিউম্যান হলার ট্রেন যাবার পর রেললাইন পার হওয়ার অপেক্ষায় ছিল। এসময় পেছন থেকে এসটি বাস এসে অটোরিকশাকে ধাক্কা দিলে সেটি রেললাইনের ওপর উঠে যায়। ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশাটি ছিটকে পড়ে দুমড়েমুচড়ে যায়। ম্যাক্সিমা হিউম্যান হলারেও ধাক্কা লাগে।

ট্রাফিক কনস্টেবল মনিরুল ওই এলাকায় দায়িত্ব পালন করছিলেন। অটোরিকশাটি ছিটকে গিয়ে তার ওপর পড়ে। তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ম্যাক্সিমা চালক ঘটনাস্থলেই মারা যান। পুলিশ অটোরিকশাকে ধাক্কা দেওয়া বাসটি আটক করেছে।

এদিকে দুর্ঘটনার পর মনিরুলের স্বজনরা হাসপাতালে জড়ো হন। তার এক ছেলে ও দুই মেয়ে। মেয়ে ফাতেমা বাবাকে হারিয়ে অঝোরে কাঁদছিলেন।

দুর্ঘটনার কারণ ও দায়ীদের বিষয়ে তদন্তের জন্য রেলওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে রেলওয়ে পুলিশের চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল গফুরকে। এছাড়া রেলওয়ে পুলিশের সহকারি পুলিশ সুপার (সদর) ও চট্টগ্রামের রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কমকর্তাকে (ওসি) তদন্ত কমিটির সদস্য করা হয়েছে। রেলওয়ে পুলিশের চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার (এসপি) হাসান চৌধুরী কমিটি গঠন করে তদন্তের নির্দেশনা দেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আরডি/এনএস

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন