December 9, 2021 | 5:54 pm
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: রাজধানীর আমিনবাজারের বড়দেশী গ্রামে ছয় ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) হাইকোর্টে পৌঁছেছে।
বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা জেলার দ্বিতীয় অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত থেকে এসব নথি হাইকোর্টে এসে পৌঁছেছে।
এর আগে, গত ২ ডিসেম্বর এই মামলায় ১৩ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। এ ছাড়াও ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২৫ জনকে খালাসের রায় দেন ঢাকা জেলার দ্বিতীয় অতিরিক্ত দায়রা জজ ইসমত জাহান।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিরা হচ্ছে— আবদুল মালেক, সাইদ মেম্বার, আবদুর রশীদ, ইসমাইল হোসেন, জমশের আলী, মীর হোসেন, মজিবর রহমান, আনোয়ার হোসেন, রজ্জব আলী সোহাগ, আলম, রানা, আবদুল হামিদ ও আসলাম মিয়া।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া আসামিরা হচ্ছে—শাহীন আহম্মেদ, ফরিদ খান, রাজীব হোসেন, ওয়াসিম, সাত্তার, সেলিম, মনির হোসেন, আলমগীর, মোবারক হোসেন, অখিল খন্দকার, বশির, রুবেল, নুর ইসলাম, শাহাদাত হোসেন, টুটুল, মাসুদ, মোখলেছ, তোতন ও সাইফুল।
এ মামলার মোট আসামি ছিল ৬০ জন। তাদের মধ্যে তিন জন মারা গেছেন, পলাতক ১২ জন।
২০১১ সালের ১৭ জুলাই পবিত্র শবে বরাতের রাতে সাত বন্ধু ঘুরতে গিয়েছিলেন আমিনবাজারের বড়দেশী গ্রামে। রাত সোয়া একটার দিকে স্থানীয় কিছু দুর্বৃত্ত তাদেরকে ডাকাত বলে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে। এ ঘটনায় ছয় জন মারা যান, একজন প্রাণে বেঁচে যান।
হামলায় নিহত ছয় ছাত্র হলেন— শামস রহিম, তৌহিদুর রহমান, ইব্রাহিম খলিল, কামরুজ্জামান, টিপু সুলতান ও সিতাব জাবির। হামলায় প্রাণে বেঁচে যাওয়া ছাত্রের নাম আল-আমিন।
ওই হামলার ঘটনার পরদিন স্থানীয় বালু ব্যবসায়ী আবদুল মালেক বাদী হয়ে সাত ছাত্রের বিরুদ্ধে সাভার থানায় একটি ডাকাতি মামলা করেন। তদন্তে ডাকাতির মামলাটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়।
ছয় ছাত্রকে হত্যার অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে সাভার থানায় একটি মামলা করে। পরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে মামলাটি র্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ১৩ জানুয়ারি র্যাব ৬০ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।
এরপর ২০১৩ সালের ৮ জুলাই ৬০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ থেকে ৫৫ জন সাক্ষীকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছিল ২০১৩ সালের ৩০ ডিসেম্বর।
দীর্ঘ সাক্ষ্য গ্রহণ এবং যুক্তিতর্ক শেষে গত ২ ডিসেম্বর এই মামলায় ১৩ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। এ ছাড়াও ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২৫ জনকে খালাসের রায় দেন ঢাকা জেলার দ্বিতীয় অতিরিক্ত দায়রা জজ ইসমত জাহান।
আরও পড়ুন
শবে বরাতের রাতে ৬ ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা: ১৩ জনের ফাঁসি
সারাবাংলা/কেআইএফ/একে