বিজ্ঞাপন

মাদকের ছোবলে অনেক পরিবার ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে: রাষ্ট্রপতি

December 10, 2021 | 3:26 pm

সারাবাংলা ডেস্ক

কোমলমতি শিক্ষার্থীরা যাতে কিশোর গ্যাংয়ের মতো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থেকে দূরে থাকে, সে ব্যাপারে অভিভাবকদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, সতর্ক থাকতে হবে যাতে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা টিকটক, লাইকির লোভনীয় ফাঁদে পা দিয়ে মানবপাচারের শিকারে পরিণত না হয়।

বিজ্ঞাপন

‘জাতীয় মানবাধিকার কমিশন’ আয়োজিত ‘মানবাধিকার দিবস- ২০২১’ উপলক্ষে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ-অডিটোরিয়ামে এক আলোচনায় বঙ্গভবন থেকে পূর্বে ধারণকৃত রাষ্ট্রপতির বক্তৃতা সম্প্রচার করা হয়।

আবদুল হামিদ বলেন, মানবপাচার ও মাদকের ভয়াবহতা সমাজে নানা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। মাদকের ছোবলে অনেক পরিবার ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। আমাদের তরুণ প্রজন্মকে এসব থেকে দূরে রাখতে হবে।

তিনি সমাজে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর পাশাপাশি সকলকে এগিয়ে আসার ও আহ্বান জানান। রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘মাদক, মানবপাচার ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণে আরও ব্যাপক জনসচেতনতা দরকার। সচেতনতা, দৃঢ় পারিবারিক বন্ধন, সামাজিক প্রতিরোধ ও প্রশাসনের কঠোর নজরদারি এই অপরাধ প্রবণতা ঠেকাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।’

বিজ্ঞাপন

দেশে নারী উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃত। নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে নারীর পাশাপাশি পুরুষেরও সমান ভূমিকা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।

তিনি শিক্ষার সঙ্গে মানবিক মূল্যবোধকে গুরুত্ব দিয়ে বলেন, পরিবার, সমাজ ও প্রাতিষ্ঠানিক সকল ক্ষেত্রে মানবিক মূল্যবোধ বিকাশে আমরা যেন বিশেষভাবে সচেতন থাকি।

রাষ্ট্রপতি বলেন, মিয়ানমার, আফগানিস্তান, ফিলিস্তিন ও সিরিয়াসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মানবিক সংকট চলছে। এ সকল সংকট বা মানবাধিকার লঙ্ঘন ঠেকাতে বিশ্বের সকল দেশকে একযোগে কাজ করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

মানবাধিকার কর্মীদের দায়িত্ব পালনকালে যাতে মানবাধিকার লঙ্ঘিত না হয় সেদিকেও বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করার তাগিদ দেন তিনি।

বক্তব্যের শুরুতে রাষ্ট্রপতি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন- স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহিদদের, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক-সমর্থক, বিদেশি বন্ধু, যুদ্ধাহত ও শহিদ পরিবারের সদস্যসহ সর্বস্তরের জনগণকে, যাঁদের অসীম সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে আজকের এই স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাসিমা বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মো. মইনুল কবীর, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জী এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বক্তব্য রাখেন।

সারাবাংলা/এএম

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন