বিজ্ঞাপন

দাম বেড়েছে মাংসের, সবজির বাজারে স্বস্তি

December 17, 2021 | 8:00 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: মুরগির বাজার সেপ্টেম্বর থেকেই বেশ অস্থির থাকলেও নভেম্বরের শেষ দিকে এসে দাম কিছুটা কমেছিল। তবে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি ফের মুরগির মাংসের দাম আবারও বেড়েছে। একইসঙ্গে গরু-খাসির মাংসের দামও চড়া। তবে সবজির বাজারে গিয়ে ক্রেতারা কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছেন।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরের পর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগি ১৬৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহে এই জাতের মুরগির দাম বেড়েছে ১৫ টাকা। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকা কেজিতে। এখানেও ১৫ টাকা দাম বেড়েছে। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়।

এছাড়াও দেশি মুরগি আকার ভেদে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাংসের মধ্যে গরুর মাংসের দাম আবারও বাড়ানোর চেষ্টা করছে কসাইরা। ৫৫০ টাকার কেজি থেকে একলাফে ৬০০ টাকা দাম বাড়ানো হয়েছে মাংসের। দামাদামি করারও খুব একটা সুযোগ থাকছে না। খাসির মাংসও চাওয়া হচ্ছে ৯০০ টাকা।

বিজ্ঞাপন

ডিমের মধ্যে লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা। কক মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। এছাড়াও ‘ওমেগা ৩’ এবং ভিটামিন ই সমৃদ্ধ প্যাকেট ডিম বিক্রি হচ্ছে ২২০ এবং ১৬০ টাকা ডজন।

এদিকে বাজারে শীতের সবজি ওঠায় ক্রেতারা রয়েছেন স্বস্তিতে। প্রায় সবজির দামই এখন বেশ কম। তারপরও টমেটোর দাম এখনও ঊর্ধ্বে। ১২০ টাকা দরের টমেটো এখন দোকান ভেদে ৫০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া বরবটি ৮০ টাকা, সিম বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, বেগুন জাত ভেদে ৪০ থেকে ৬০ টাকা, ফুলকপি আকার ভেদে প্রতি পিস ৩০ থেকে ৫০ টাকা, পাতা কপি ২৫ থেকে ৩০ টাকা, করলা ৫০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ৮০ টাকা, চালকুমড়া পিস ৪০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পটল ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কচুর লতি ৪০ থেকে ৬০ টাকা, মুলা ২০ থেকে ৪০ টাকা, পেঁপের কেজি ২৫ থেকে ৪০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

বাজারে আলুর দামও বেশ কমেছে। গত মাসে হাতের নাগালের বাইরে চলে যাওয়া এই সবজি এখন ২০ টাকা দরেও বিক্রি হচ্ছে। দোকানিরা বলছেন, বাজারে সবজির চালান এখন বেশ ভালো। এই সপ্তাহ থেকেই সবজির দাম আরও কমবে। সবজির দাম কমলে মাছ-মাংসের দামও কমবে বলে আশা করছেন ক্রেতারা।

সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দামও কমেছে। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ৭৫-৭০ টাকা। কমেছে রসুনের দামও। চায়না থেকে আনা বড় রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৫০ টাকায়। গত সপ্তাহে এসব বাজারে চায়না রসুন বিক্রি হয়েছিল ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা। দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি। দেশি আদার কেজি ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। চায়না আদা বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা।

সালাদের জন্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মধ্যে শসা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকায়। কাঁচামরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়।

এছাড়া শুকনা মরিচ প্রতিকেজি ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা, হলুদের কেজি ১৬০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি ডাল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা। ভারতীয় ডাল কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়।

বিজ্ঞাপন

বাজারে ভোজ্যতেলের মধ্যে সয়াবিন প্রতি লিটার খুচরা বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। সরিষার তেল বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা দরে। প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। এছাড়া প্যাকেট চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়। আটা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়।

সারাবাংলা/টিএস/এমও

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন