বিজ্ঞাপন

পান বিক্রেতা সেজে আসামি ধরল পুলিশ

February 2, 2022 | 2:12 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: ভোগ্যপণ্য ব্যবসায়ীদের কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে থাকা এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তিন বছর ধরে বিভিন্ন কৌশলে নজর এড়িয়ে আত্মগোপনে থাকা এই ব্যক্তিকে ধরতে পুলিশ সদস্যদের কখনো চা, কখনো পান বিক্রেতার ছদ্মবেশ নিতে হয়েছিল।

বিজ্ঞাপন

অবশেষে নগরীর চন্দনপুরা এলাকায় নিজ বাসা থেকে গতকাল মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে কোতোয়ালী থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে।

গ্রেফতার শাহ জামাল (৫৫) দেশের বৃহত্তম ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। মেসার্স শাহ জামাল নামে তার একটি পাইকারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও আড়ত ছিল।

পুলিশ জানায়, ‘বিশ্বাসনির্ভর লেনদেনের বাজার’ খাতুনগঞ্জের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে শাহ জামালের কোটি কোটি টাকা লেনদেন ছিল। ২০১৬ সালের পর থেকে লেনদেন অনিয়মিত হয়ে পড়েন। বছর দু’য়েক পর ব্যবসা গুটিয়ে শাহ জামাল গা ঢাকা দেন। পাওনা টাকার দাবিতে ১৬ জন ব্যবসায়ী তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন। ২০২০ সালে ১৬টি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর কোতোয়ালী থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। কিন্তু মাসখানেকের মধ্যে জামিনে বেরিয়ে আসেন।

বিজ্ঞাপন

সর্বশেষ তার বিরুদ্ধে চারটি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা আছে। এছাড়া একটি মামলায় এক বছরের কারাদণ্ড দিয়ে আদালত সাজা পরোয়ানা জারি করেছেন।

শাহ জামালকে ধরতে পান বিক্রেতার বেশ ধারণ করেন পুলিশ সদস্য, ছবি: সারাবাংলা

শাহ জামালকে ধরতে পান বিক্রেতার বেশ ধারণ করেন পুলিশ সদস্য, ছবি: সারাবাংলা

কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দীন সারাবাংলাকে বলেন, ‘শাহ জামালের এক ছেলে অস্ট্রেলিয়া ও এক ছেলে কানাডায় থাকে। তিন বছর আগে শাহ জামাল বিদেশে পাড়ি দিয়েছেন বলে গুজব ছড়িয়ে দেন। কিন্তু সম্প্রতি আমরা তথ্য পাই যে, শাহ জামাল চট্টগ্রামেই অবস্থান করছে। তবে এই ব্যক্তি এতটাই ধূর্ত যে, আমরা এক বছর ধরে বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেও তাকে ধরতে পারিনি।’

‘শেষপর্যন্ত আমাদের দু’জন সদস্য কখনো চা বিক্রেতা, কখনো পান বিক্রেতা সেজে আবার কখনো সেলসম্যান সেজে খাতুনগঞ্জ, আসাদগঞ্জ, চাক্তাই, চন্দনপুরা, আন্দরকিল্লা, চকবাজার এলাকায় ঘোরাফেরা শুরু করে। গতকাল (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় বাসার নিচে তাকে দেখা যায়। কিছুক্ষণ পর তিনি বাসায় ওঠেন। পান বিক্রেতার ছদ্মবেশে এএসআই সাইফুল ও রণেশ বাসার নিচে অবস্থান নেয়। রাত সাড়ে ৮টার দিকে পুলিশ টিম তার বাসায় তল্লাশি চালায়। কিন্তু সেখানে তাকে প্রথমে পাওয়া যায়নি। পুলিশ সদস্যরা হতবাক হয়ে যান।’

বিজ্ঞাপন

আরও তল্লাশির একপর্যায়ে বাসার কার্নিশের সঙ্গে থাকা কাঠের বক্সের ভেতর পেয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানান ওসি নেজাম উদ্দীন।

সারাবাংলা/আরডি/এনএস

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন