বিজ্ঞাপন

জনগণের অর্থ সাবধানে খরচ করতে হবে: পরিকল্পনামন্ত্রী

February 15, 2022 | 3:31 pm

স্টাফ করেসপনডেন্ট

ঢাকা: পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, প্রকল্পে অর্থ খরচ নিয়ে কিন্তু জনগণ খুবই সচেতন। জনগণের অর্থ সাবধানে খরচ করতে হবে। কোনোভাবেই যেন অপচয় না হয়।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) নগরীরর এনইসি সম্মেলন কক্ষে বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) মাধ্যমে নির্বাচিত চলমান প্রকল্পের নিবিড় পরিবীক্ষণ ও সমাপ্ত প্রকল্পের প্রভাব মূল্যায়ন সংক্রান্ত ওরিয়েন্টশন কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এম এ মান্নান বলেন, ‘পাবলিক খরচের বিষয়ে অনেক আগ্রহী। প্রকল্পে কে টাকা দিল, কত সুদে দিল, কেন দিল- এসব বিষয়ে সাধারণ মানুষ অনেক খবর রাখেন। আমাদের অহেতুক খরচ পরিহার করতে হবে। অপচয়ের বিষয়ে আমরা পরিবার থেকেও কিন্তু শিক্ষা নিয়ে থাকি। খাবার খাওয়ার সময় যেন খাবার অপচয় না হয়, টাকা যেন হিসাব করে করি খরচ করি- এসব শিক্ষা পরিবার থেকে নিয়ে থাকি। এসব বিষয় আমাদের বর্তমান কর্মক্ষেত্রেও কাজে লাগানো যাবে।’

আইএমইডি ও পরিসংখ্যান বিভাগের বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আইএমইডি’র বিষয়েও মানুষের আগ্রহ আছে। কোনো প্রকল্প কীভাবে মূল্যায়ন হলো তা মানুষ জানতে চায়। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান বিভাগ জনশুমারিসহ নানা শুমারি ও জরিপ করে থাকে। এসব জরিপের বিষয়ে মানুষ জানতে চায়। তাই কাজগুলো খুব মন দিয়ে সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

আইএমইডি’র উদ্দেশে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, ‘প্রকল্প পরিদর্শনের সময় স্বাধীন মতামত দিতে হবে, যেন বস্তুনিষ্ঠ ফলাফল আসে। কারও চাপের কাছে নতি স্বীকার করা যাবে না। সরকার উন্নয়ন কাজগুলোর প্রতি আন্তরিক। সেজন্য সরকার তদারক করতে চায়। যা দেশের মানুষের জন্য কল্যাণকর। সরকার আসলে উপলব্ধি করতে চায় উন্নয়ন কাজগুলো মানুষের কতটুকু কাজে লাগছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘রিচার্সের মূল উপাদান হচ্ছে ডাটা। এখানে আলোচনায় ডাটা নিয়ে খেলার কথা এসেছে। আসলে আমাদের ডাটা নিয়ে খেলা করা যাবে না। যেটা বস্তুনিষ্ঠ সেটাই প্রকাশ করতে হবে।’

পরিকল্পনা বিভাগের সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী, আইএমইডি সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামানসহ সংশ্লিষ্টরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

নিবিড় পরিবীক্ষণের জন্য নির্বাচিত প্রকল্পগুলো

সৌরবিদ্যুৎ চালিত পাম্পের মাধ্যমে কৃষি সেচ। ন্যাচারাল গ্যাস ইফিসিয়েন্সি প্রজেক্ট এবং নরসিংদী ফিল্ডে ওয়েলহেড গ্যাস কম্প্রেসর স্থাপন। সরকারি কর্মচারী হাসপাতালকে ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে উন্নীতকরণ। বাংলাদেশের ৬৪টি জেলায় চিফ জুডিশয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন নির্মাণ দ্বিতীয় সংশোধিত। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিদ্যমান চত্বরে একটি বহুতল অফিস ভবন নির্মাণ। মুজিব কিল্লা নির্মাণ সংস্কার ও উন্নয় প্রকল্প। মুক্তিযুদ্ধকালে শহিদ মিত্র বাহিনীর সদস্যদের স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ। সাসেক সড়ক সংযোগ প্রকল্প ২: এলেঙ্গা-হাটিকামরুল-রংপুর মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ প্রথম সংশোধিত প্রকল্প। আশুগঞ্জ নদীবন্দর-সরাইল-ধরখার-আখাউড়াস্থলবন্দর মহাসড়কে চারলেন জাতীয় মহাসড়কে উন্নীতকরণ প্রকল্প। কুমিল্লা (টমছম ব্রিজ) নোয়াখালী (বেগমগঞ্জ) আঞ্চলিক মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ প্রথম সংশোধিত প্রকল্প।

প্রভাব মূল্যায়নের জন্য নির্বাচিত প্রকল্পগুলো

ইন্সটলেশন অব ৭ দশমিক ৪ মেগাওয়াট সোলার ফটো ভোল্টাইক গ্রিড কানেকটেড পাওয়ার প্ল্যান্ট ইন কাপ্তাই। গ্রামীণ মাটির রাস্তাগুলো টেকসইকরণের জন্য হেরিং বোন বন্ড (এইচবিবি) করণ। ঢাকা-সিলেট জাতীয় মহাসড়কের ভুলতায় চারলেন ফ্লাইওভার নির্মাণ দ্বিতীয় সংশোধিত। বাংলাদেশ রেলওয়ের অ্যাপ্রোচসহ দ্বিতীয় ভৈরব এবং দ্বিতীয় তিতাস সেতু নির্মাণ। পল্লী কর্মসংস্থান ও রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচি-২। দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প। হাওর এলাকায় আগাম বন্যা প্রতিরোধ ও নিষ্কাশন উন্নয়ন প্রকল্প (দ্বিতীয় সংশোধিত)। সমন্বিত খামার ব্যবস্থাপনা অঙ্গ, কৃষি উৎপাদন ও কর্মসংস্থান কর্মসূচি (প্রথম সংশোধিত)। শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান স্থাপন (দ্বিতীয় সংশোধিত)। মুন্সিগঞ্জ, ফরিদপুর, চাঁদপুর, সিরাজগঞ্জ ও বাগেরহাট জেলায় ৫টি ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি স্থাপন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেজে/পিটিএম

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন