বিজ্ঞাপন

ধর্ষণের সময় আঙুলে কামড় দেওয়ায় কেড়ে নিল প্রাণ: র‌্যাব

March 16, 2022 | 5:29 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী এক কিশোরীকে ধর্ষণের পর খুন করে রাজবাড়িতে আশ্রয় নেওয়া এক ব্যক্তিকে র‌্যাব গ্রেফতার করেছে। র‌্যাব জানিয়েছে, ধর্ষণের সময় হাতের আঙুলে কামড় দেওয়ায় এবং মা-বাবাকে ঘটনা জানিয়ে দেবে বলায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওই কিশোরীকে হত্যা করা হয়।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (১৬ মার্চ) ভোরে অভিযুক্ত ধর্ষককে রাজবাড়ী জেলা সদরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে গ্রেফতার করে র‌্যাব সদর দফতরের গোয়েন্দা শাখা ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের যৌথ টিম।

গ্রেফতার আলমগীর মিয়া (৪৯) নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলার সাতগ্রামের রফিক মিয়ার ছেলে। চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহর থানার আলী শাহ মাজার সংলগ্ন আব্বাসপাড়া এলাকায় একটি কলোনিতে পোশাককর্মী স্ত্রী নিয়ে থাকতেন।

গত ১৩ মার্চ রাতে আলমগীরের বাসা থেকে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরীর লাশ উদ্ধার করা হয়। তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে সন্দেহ করে পুলিশ জানিয়েছিল, নিহতের শরীরের কামড়ের দাগ আছে। স্থানীয় স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ত কিশোরী। তার বাবা রিকশাচালক। মা আলমগীরের স্ত্রী মৌসুমির সঙ্গে একই পোশাক কারখানায় কর্মরত ছিলেন। ছোট দুই ভাইয়ের মধ্যে একজন বুদ্ধি প্রতিবন্ধী।

বিজ্ঞাপন

গ্রেফতার ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-৭-এর হাটহাজারী ক্যাম্প কমান্ডার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, ‘আলমগীর সারাদিন বাসায় থাকত। ঘটনার দিন সকালে কোচিং শেষে বাসায় ফেরার পর আলমগীর মেয়েটিকে বাসায় ডাকে। ধর্ষণের উদ্দেশে ধ্বস্তাধ্বস্তির সময় মেয়েটি বারবার তাকে ছেড়ে দেওয়ার আকুতি জানায়, কান্নাও করে। কিন্তু এতে আলমগীরের মন গলেনি। তাকে ধর্ষণ করে। ১৫ মিনিট ধরে পাশবিক আচরণের একপর্যায়ে মেয়েটি সুযোগ পেয়ে নিজেকে বাঁচাতে আলমগীরের আঙুলে মরণকামড় দেয়। ব্যাথা পেয়ে আলমগীর ক্ষুব্ধ হয়। মেয়েটিকে ছেড়ে দেওয়ার পর সে কাঁদতে কাঁদতে ঘটনা তার মা-বাবাকে জানাবে বলে। তখন আলমগীর ক্রোধান্বিত হয়ে তাকে ধরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে খুন করে।’

খুনের পর কিশোরীর হাত-পা বেঁধে লাশ খাটের তলায় রাখে জানিয়ে র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আলমগীর তার স্ত্রীর অফিসে গিয়ে জানায়, এলাকায় তার সঙ্গে একজনের মারামারি হয়েছে। তাকে দ্রুত চট্টগ্রাম ছেড়ে যেতে হবে। স্ত্রী তাকে বিশ্বাস করে পালিয়ে যায়। প্রথমে তারা মানিকগঞ্জ যায়। সেখানে এক আত্মীয়ের হেফাজতে স্ত্রীকে রেখে আলমগীর চলে যায় রাজবাড়ি শহরে।’

আলমগীরের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব কর্মকর্তা মাহফুজুর আরও বলেন, ‘আলমগীর দুই বিয়ে করেছে। মৌসুমি তার দ্বিতীয় স্ত্রী। তিন মাস আগে সাভার থেকে এসে হালিশহরে তারা বাসা নেয়। দুই বছর আগেও তার বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জে একজনকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ ওঠে। তখন সেখান থেকে পালিয়ে আলমগীর ধামরাই, মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ি এবং সবশেষ সাভারে আত্মগোপন করেছিল। ঢাকার মীরপুর, আশুলিয়া ও সাভারে সে বিভিন্ন পোশাক কারখানায় চাকরি করেছে।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আরডি/টিআর

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন