বিজ্ঞাপন

ইউনিয়নের বাসিন্দারাও পাবেন বিশুদ্ধ পানি: প্রধানমন্ত্রী

March 16, 2022 | 6:23 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: শহরের বাইরে ইউনিয়ন পর্যায়েও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (১৬ মার্চ) সকালে চট্টগ্রাম ওয়াসার বাস্তবায়িত ‘শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার-২’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ কথা জানান। নগরীর হোটেল র‌্যাডিসনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘সরকার একেবারে তৃণমূলে, ইউনিয়ন পর্যায়ের মানুষের জন্যও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ব্যবস্থা নিচ্ছে। আমরা শুধু ঢাকা ও চট্টগ্রামে নয়, বরং ইউনিয়ন পর্যায়ের ৯০ শতাংশ মানুষ যেন বিশুদ্ধ পানি পায়, সেই ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

ভূগর্ভস্থ পানির ওপর চাপ কমানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার অনুরোধ থাকবে, বৃষ্টির পানি যেন সংরক্ষণ করা হয়। যখনই প্রতিষ্ঠান তৈরি করবেন, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানেই যেন বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়। শুধুমাত্র পানি শোধন করে দেবো, সেটাই ব্যবহার করবেন— এমন যেন না হয়। বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করা এবং সেটা ব্যবহার করা একান্তভাবে দরকার।’

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পর থেকেই আমরা চট্টগ্রামের পানি সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিই। পানিশোধন এবং পাইপলাইনে সরবরাহের বিশেষ প্রকল্প নেওয়া হয়। ১৯৯৯ সালে জাইকা কর্ণফুলী নদী থেকে পানি শোধন করে চট্টগ্রাম শহরে সরবরাহের প্রকল্প গ্রহণ করে। ২০২১ সালে আমরা ক্ষমতায় আসতে না পারায় সেই প্রকল্প আর হয়নি। ২০১১ সালে কর্ণফুলী পানি সরবরাহ প্রকল্প ফেজ ওয়ানের কাজ শুরু হয়। ২০২০ সালে মদুনাঘাটে দৈনিক ৯ কোটি লিটার উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন শেখ রাসেল পানি শোধনাগার উদ্বোধন করা হয়।’

কর্ণফুলী নদীর পশ্চিম তীরে কাফকো, সিইউএফএল, কোরিয়ান ইপিজেড, আনোয়ারায় চায়না ইকোনমিক জোন এবং বিভিন্ন আবাসিক এলাকার পানির চাহিদা মেটাতে দৈনিক ৬ কোটি লিটার সরবরাহ ক্ষমতাসম্পন্ন প্রকল্পের কাজ চলছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

বিজ্ঞাপন

কর্ণফুলী, হালদা, সাঙ্গু নদী দূষণমুক্ত রাখার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রাম মহানগরীতে পাঁচটি পয়ঃশোধনাগার নির্মাণেরও ঘোষণা দেন।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র প্রয়াত এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটি টানেল নির্মাণ হোক, এটি তিনি চেয়েছিলেন। এটা উনার দাবিও ছিল। এ টানেলের কাজ এখন সমাপ্তির পথে। দুর্ভাগ্য, তিনি আর আমাদের মাঝে নেই। বাংলাদেশে যতগুলো সিটি করপোরেশন করা হয়েছে, এর মধ্যে একমাত্র চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন মহিউদ্দিন চৌধুরীর আমলে ছিল অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী।’

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী এবং চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এম ফজলুল্লাহ।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আরডি/টিআর

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন