বিজ্ঞাপন

‘স্বাধীনতার ঘোষণা কোনো মেজর প্রথম পাঠ করেননি’

March 25, 2022 | 6:43 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, ‘কোনো মেজর নয়, বঙ্গবন্ধুর পক্ষে প্রথম স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা এম এ হান্নান। ইতিহাসের সত্য কেউ গোপন করতে পারে না। ইতিহাস তার সঠিক নিয়মেই চলে। যারা ইতিহাস বিকৃত করে একজন মেজরকে স্বাধীনতার প্রথম ঘোষক দাবি করে, নতুন প্রজন্মের সামনে তাদের চিহ্নিত করতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (২৫ মার্চ) সকালে নগরীর স্টেশন রোডের চৈতন্য গলি নগর বাইশ মহল্লা কমিটির কবরস্থানে এম এ হান্নানের সমাধিতে ফলক উম্মোচন ও শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় মেয়র এসব কথা বলেন।

এ সময় চসিকের প্যানেল মেয়র আবদুস সবুর লিটন, গিয়াস উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহফুজুর রহমান, মহানগর কমান্ডার মোজাফফর আহমদ, ভারপ্রাপ্ত জেলা কমান্ডার এ কে এম সরোয়ার কামাল, ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুস সালাম মাসুম, মো. ইসমাইল, নিছার উদ্দিন আহমদ মঞ্জু, ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী, হাসান মুরাদ বিপ্লব ও আবদুল মান্নান, চসিকের সচিব খালেদ মাহমুদ, উপ-সচিব আশেক রসুল চৌধুরী টিপু ছিলেন।

এরপর মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী নগরীর পাহাড়তলী বধ্যভূমিতে একাত্তরের ২৫ মার্চের রাতে গণহত্যার শিকার শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

বিজ্ঞাপন

এ সময় মেয়র বলেন, ‘নিরস্ত্র বাঙালি জাতির ওপর পাকিস্তানিরা যে গণহত্যা চালিয়েছিল তা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। এরপর এদেশের কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র-যুবক, মা-বোনেরাসহ আমজনতা গণযুদ্ধের মধ্য দিয়ে মাত্র নয় মাসে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিল। বাঙালির স্বাধীনতার জন্য তিতুমীর, হাবিলদার রজব আলী, সূর্য সেন, নেতাজী সুভাষ বসুর মতো নেতার প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন। কেউ স্বাধীনতা অর্জনে সফল হতে পারেননি। একমাত্র বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা এনে দিতে সক্ষম হয়েছেন।’

এর আগে, বৃহস্পতিবার রাতে ‘সোয়াত জাহাজ অবরোধ দিবস’ উপলক্ষে নগরীর বন্দর ফকিরহাট এলাকায় শ্রমিক লীগ আয়োজিত এক সমাবেশে মেয়র বলেন, ‘বাঙালির স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রস্তুতি দমন করতে পাক হানাদার বাহিনী সোয়াত জাহাজে অস্ত্র নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের ১৭ নম্বর জেটিতে আসে। ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চ সোয়াত জাহাজ থেকে অস্ত্র খালাস করতে চাইলে ডক বন্দর শ্রমিক কর্মচারিরা খালাসে অস্বীকার করেন। পরে শ্রমিক-কর্মচারী ও জনতার প্রবল প্রতিবাদ এবং অবরোধের কারণে পাকবাহিনী অস্ত্র খালাসে ব্যর্থ হয়। সেদিন বারিক বিল্ডিং থেকে নিউমুরিং পর্যন্ত রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। অসংখ্য শ্রমিক-জনতা পাক বাহিনীর গুলিতে শহিদ হন।’

সোয়াত জাহাজ থেকে অস্ত্র খালাস প্রতিরোধকারী ডক বন্দর শ্রমিক লীগের সভাপতি আবদুল খালেক চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বন্দর উন্নয়ন ও গবেষণা পরিষদের সভাপতি জোবায়ের আহমদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমান খান।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আরডি/একে

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন