বিজ্ঞাপন

বিএনপির সমাবেশে ছিলেন ‘১৬ পকেটমার’

May 29, 2022 | 7:56 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

ঝিনাইদহ: আন্তঃজেলা পকেটমার চক্রের ১৬ সদস্যকে আটক করেছে ঝিনাইদহ গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। চক্রটি দেশের বিভিন্ন স্থানে সভা-সমাবেশ টার্গেট করে সাধারণ মানুষের পকেট মারত বলে পুলিশ জানিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

রোববার (২৯ মে) এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার সাঈদ।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার সাঈদ জানান, গতকাল শনিবার (২৮ মে) সকালে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ডাকবাংলা আব্দুর রউফ ডিগ্রি কলেজ মাঠে জেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনে পকেট মারতে দুইটি মাইক্রোবাসে সমাবেশস্থলে আসেন চক্রের সদস্যরা। সমাবেশ চলাকালে তারা বেশ কিছু মোবাইল ফোন ও টাকা চুরি করে।

পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, সম্মেলন চলাকালে মোবাইল ফোন চুরির সময় মুরাদ শেখ নামের এক আন্তঃজেলা পকেটমার দলের সদস্যকে স্থানীয়রা আটক করে পুলিশে দেয়।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও জানান, এ খবর ছড়িয়ে পড়লে দলের অন্য সদস্যরা দুটি মাইক্রোবাসে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ওই সময় ডিবি পুলিশের একটি দল ঝিনাইদহ শহরের জজ কোর্টের সামনে চেকপোস্ট বসিয়ে ১৬ জনকে আটক করে। তাদের কাছ থেকে ১০টি মোবাইল ফোন ও ৬১ হাজার জব্দ করা হয়। পকেটমারিতে ব্যবহার করে দুটি মাইক্রোবাসকেও জব্দ করে পুলিশ।

আটককৃতরা হলেন— খুলনা সদরের হাফেজ উদ্দীনের ছেলে বাদল হাওলাদার (৫০), লাল মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন (৪০), চান্দু সরদারের ছেলে ইসমাইল সরদার (৫০), রূপসা থানার জজ আলী শেখের ছেলে ইসহাক শেখ (৫০), মজিদ গাজীর ছেলে মনির গাজী (৪৪), ফুলতলার আব্দুল গফুর মোল্লার ছেলে ওমর ফারুক মোল্লা (২৫), বটিয়াঘাটার আব্দুর রহমানের ছেলে বিল্লাল হোসেন (৩২), নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার দুলাল চন্দ্র দে’র ছেলে রতন চন্দ্র দে (৩৭), আবুল কালামের ছেলে রাসেল (২৪), সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলার মুধু মিয়ার ছেলে শাহিন (২৫), নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার নিজাম উদ্দনের ছেলে রুবেল খা (২২), সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার আব্দুল শহিদের ছেলে গুলজার আহম্মেদ (২৬), কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার আবুল হোনের ছেলে আব্দুল হালিম (৫৫), শরীয়তপুরের গোসাইর হাট উপজেলার আব্দুল সামাদ আলীর ছেলে শওকত আলী (৫০), বাগেরহাট সদরের আব্বাস শেখের ছেলে জুয়েল শেখ (২৮) এবং মকলেস শেখের ছেলে মুরাদ শেখ (২৬)।

ঝিনাইদহ শেষে ওই মাইক্রোবাসে করে মাদারীপুরে শম্ভুমেলায় যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল পকেটমার চক্রের।

বিজ্ঞাপন

পকেটমার চক্রটি দেশের বিভিন্ন স্থানে সভা-সমাবেশ টার্গেট করে অপরাধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল। তাদের বিরুদ্ধে মামলার দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার সাঈদ।

সারাবাংলা/এনএস/একে

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন