বিজ্ঞাপন

নিখোঁজ ফায়ার ফাইটার রবিউলের ফিরে আসার অপেক্ষায় মা

June 6, 2022 | 4:49 pm

আব্দুর রউফ পাভেল, নওগাঁ প্রতিনিধি

নওগাঁ: শহরের চকপাথুরিয়া ফকিরপাড়া মহল্লার বাসিন্দা রবিউল ইসলাম। তিনি সীতাকুণ্ড ফায়ার স্টেশনে ফায়ার ফাইটার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আগুন নেভানোর কাজে তিনিও অংশ নিয়েছিলেন। এরপর থেকে নিখোঁজ রয়েছেন রবিউল। ছেলের শোকে কাতর মা ফাইমা খাতুন অপেক্ষা করছেন ছেলের ফিরে আসার।

বিজ্ঞাপন

ফাইমা খাতুন কাঁদতে কাঁদতে বলেন, শনিবার (৪ জুন) রাত সাড়ে ৮টার রবিউল আমার ফোনে ফোন দিয়ে বললো মা সীতাকুণ্ডে একটা কারখানায় আগুন লাগছে। আমি ডিউটিতে যাচ্ছি। দোয়া কইরো। এইটাই শেষ কথা। শনিবার রাতে শহরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে ছিলাম। রাতে ছেলের সঙ্গে কথা হয়নি। ভোর ৫টার দিকে ছেলেকে ফোন দিলে ফায়ার স্টেশন অফিসে যে ডিউটিতে ছিল সে রিসিভ করে। ওই লোক বলেন, রবিউল ডিউটিতে গেছে তার জন্য দোয়া করেন। পরদিন (৫ জুন) সকাল ৯টার দিকে বাসায় এসে টেলিভিশন চালু করে দেখি আগুনের সংবাদ। অনেক লোক মারা গেছে।

রোববার সকালে টেলিভিশনে সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণে হতাহতের খবর দেখে রবিউলের এক বন্ধু মুঠোফোনে রবিউলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। পরে ফোনে তাকে না পেয়ে তার বাবা খাদেমুল ইসলামকে ফোন দেন। ছেলের বন্ধুর কাছ থেকে অগ্নিকাণ্ডের ভয়াবহতার খবর শুনে খাদেমুল ইসলাম ছেলের মুঠোফোনে ফোন দিলে সীতাকুণ্ড ফায়ার স্টেশনের এক সহকর্মী সেই ফোন রিসিভ করে জানান, রাতে আগুন নেভানোর সময় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ওই বিস্ফোরণের পর থেকে রবিউলকে আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।

রবিউল ইসলামের চাচা নাজিম উদ্দিন বলেন, ছেলের খোঁজ নিতে রোববার দুপুরে চট্রগ্রামের সীতাকুণ্ডে উদ্দশ্যে ছোট ছেলে রনি ও সাইদুর রহমান নামে এক প্রতিবেশিকে নিয়ে রওনা দেন খাদেমুল। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে পুড়ে যাওয়া ৪টি লাশ রয়েছে। কিন্তু লাশগুলো বীভৎসভাবে পুড়ে যাওয়ায় শনাক্ত করা যাচ্ছে না। লাশ শনাক্তের জন্য রবিউলের বাবার শরীর থেকে হাসপাতালের লোকজন নমুনা নিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসএসএ

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন