বিজ্ঞাপন

রিভিউ খারিজ: কনকর্ডের ১৮তলা ভবন এতিমখানার

June 9, 2022 | 3:51 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: রাজধানীর আজিমপুরে স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানার জায়গায় কনকর্ডের তৈরি ১৮তলা ভবন হস্তান্তরে আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে কনকর্ডের রিভিউ আবেদন খারিজ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এর ফলে, কনকর্ডের তৈরি ১৮তলা ভবন এতিমখানাকেই দিতে হবে। বৃহস্পতিবার (৯ জুন) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন।

বিজ্ঞাপন

আদালতে রিভিউ আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ ওয়াই মসিউজ্জামান ও আখতার ইমাম। রিটের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।

এর আগে, ২০১৮ সালের ১২ মার্চ রাজধানীর আজিমপুরে স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানার জায়গায় আবাসন প্রতিষ্ঠান কনকর্ডের তৈরি ১৮তলা ভবন এতিমখানাকে বুঝিয়ে দিতে হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছিল আপিল বিভাগ।

২০১৫ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর এ বিষয়ে জারি করা এক রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজিমপুরে স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানার জায়গায় আবাসন প্রতিষ্ঠান কনকর্ডের তৈরি ১৮তলা ভবন এতিমখানাকে হস্তান্তরের আদেশ দেন। একইসঙ্গে চার দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেন হাইকোর্ট।

বিজ্ঞাপন

সেগুলো হলো-

ক. আজিমপুর এতিমখানার সম্পত্তি সংরক্ষণ করতে হবে।
খ. এতিমখানার সম্পত্তি হস্তান্তর সম্পর্কে ২০১৩ সালের ২২ জুলাইয়ের দলিল এবং ২০১৪ সালের ১৩ এপ্রিলের আমমোক্তার নামা দলিল বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে, কারণ সেগুলো শুরু থেকেই বাতিল।
গ. এতিমখানার জায়গায় কনকর্ডের তৈরি ১৮তলা ভবন এতিমখানার পক্ষে বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে
ঘ. কনকর্ডকে ৩০ দিনের মধ্যে স্থাপনা ও সম্পত্তি এতিমখানাকে বুঝিয়ে দিতে বলা হয়েছে। ব্যর্থতায় সরকারকে সম্পত্তি বুঝিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

পরে এই আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে আবাসন প্রতিষ্ঠান কনকর্ড।

বিজ্ঞাপন

রিটকারী আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, ১৯০৯ সালে ঢাকার নবাব ‘সলিমুল্লাহ এতিমখানা’ স্থাপন করেন এবং পরে সরকারের কাছ থেকে আজিমপুর সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানা সম্প্রসারণের জন্য বিভিন্ন সময় জমি লিজ নিয়ে পরিচালনা করে আসছে। ২০০৩ সালের ২২ জুলাই এতিমখানার সভাপতি শামসুন্নাহার ও সেক্রেটারি আইনজীবী জি এ খান আহসান উল্লাহ এতিমখানার ২ বিঘা জমি ডেভলপার কোম্পানি কনকর্ডের কাছে হস্তান্তর করেন। এতিমখানার সম্পত্তি অবৈধ হস্তান্তর সংক্রান্ত প্রতিবেদন দেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশ পায়।

পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পর তা সংযুক্ত করে চার জন ছাত্রের পক্ষে রিট পিটিশন দায়ের করেন মনজিল মোরসেদ। পরে ওই রিট পিটিশনে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) পক্ষভুক্ত হয়।

সারাবাংলা/কেআইএফ/একেএম

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন