বিজ্ঞাপন

সরকার পতনই বিএনপির একমাত্র লক্ষ্য: মির্জা ফখরুল

August 26, 2022 | 4:46 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: সরকার পতনই বিএনপির একমাত্র লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (২৬ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘নজরুলের রাজনীতি-বাংলাদেশের রাজনীতি’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক ফাউন্ডেশন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘একটা ভয়াবহ ফ্যাসিবাদী, দানবীয় সরকার আমাদের সব কিছুকে দুমড়ে-মুচড়ে ধ্বংস করে দিচ্ছে। তাকে প্রতিহত করা, তাকে পরাজিত করাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য এবং সেখানে কবি কাজী নজরুল ইসলাম সবচেয়ে বেশি প্রাসঙ্গিক। আসুন, আমরা আজ তাকে আবার নতুন করে স্মরণ করি।’

‘কাজী নজরুল ইসলামকে সার্বক্ষণিকভাবে স্মরণ করে, ধারণ করে এবং তাকে রেখে আমরা যেন এগিয়ে যেতে পারি- তার এই মৃত্যু দিনে এটাই হোক আমাদের শপথ’— বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘শোষিত নিপীড়িত নির্যাতিত মানুষকে জাগিয়ে তোলবার জন্য তার কবিতা সব সময় মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে, অত্যাচারের বিরুদ্ধে, নির্যাতনের বিরুদ্ধে, নিপীড়নের বিরুদ্ধে মানুষকে জাগিয়ে তোলার কাজটি কবিদের। কাজ নজরুল ইসলাম সেই কাজটি অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে করেছেন। আমার মনে হয় কাজী নজরুল ইসলামকে যদি এই সময়ে স্মরণ করি, তাহলে আমরা আরও বেশি অনুপ্রাণিত হব।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যখন ভোলাতে আমার ভাই নুরে আলমকে পয়েন্ট ব্যাংক রেইনজে গুলি করে হত্যা করা হয় অথবা ইলিয়াস আলীকে গুম করে দেওয়া হয় অথবা যখন আমাদের নেতাকর্মীর ওপর নির্যাতন করা হয়, যখন আমরা দেখি যে, আমাদের গণতন্ত্রের মাতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে বন্দি করে রাখা হয়, আমাদের নেতা তারেক রহমানকে বিদেশে নির্বাসিত করে রাখা হয়, তখন নজরুল ইসলাম আমার কাছে বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠেন, তাকে অনেক বেশি অনুসরণ করতে ইচ্ছা করে।’

তিনি বলেন, ‘আজকে নজরুল ইসলামকে ইগনোর করা হয়। তাকে বাদ দিয়েই বাংলা সাহিত্যের পাঠ্যক্রম সাজানো হয়। পাঠ্যক্রমে তার বই থাকে না, কবিতা থাকে না। আমি লক্ষ্য করেছি, ইলেক্ট্রনিক চ্যানেলগুলোতে নজরুল ইসলামের গান খুবই কম সম্প্রচার করা হয়। রেডিওতে কি হয় বলতে পারবো না।’

বিজ্ঞাপন

‘পত্র-পত্রিকাগুলোতে নজরুল ইসলামের জন্মদিন অথবা মৃত্যুবার্ষিকীতে যে ক্রোড়পত্র বের হতো সেটাও বোধহয় আজকাল বেশি হয় না, আমি দেখি না। এটা হচ্ছে চরম সংকীর্ণতা। এর পেছনের কারণটা হলো- বাংলাদেশের মানুষকে ভুল দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা, তাকে তার যে স্বকীয়তা আছে, তার স্বাতন্ত্র্য আছে সেই স্বাতন্ত্র্য থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা।’

আবদুল হাই শিকদারের সভাপতিত্বে ও ফাউন্ডেশনের মহাসচিব হুমায়ুন কবির ব্যাপারীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন- বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, মাহবুব হাসান, জসিম উদ্দিন, বাবুল আহমেদ, ইফতেখার আলম মাসউদ, ফাউন্ডেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মজিবর রহমানসহ অনেকে।

সারাবাংলা/এজেড/এমও

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন