বিজ্ঞাপন

‘যেভাবেই রিসিভ করুক, তারা যাবে’

September 6, 2022 | 4:38 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ভারতের পালাম বিমানবন্দরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর অভ্যর্থনা প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘যেভাবেই রিসিভ করুক, তারা যাবে।’

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার ( ৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর দুপুরে চন্দ্রিমা উদ্যানে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। স্বেচ্ছাসেবক দলের নতুন সভাপতি এসএম জিলানী ও সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসানের নেতৃত্বে জিয়াউর রহমান কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন এবং প্রয়াত নেতার আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন বিএনপির মহাসচিব।

ভারতের পালাম বিমানবন্দরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাতে একজন প্রতিমন্ত্রী ছিলেন—বিষয়টির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এটা নিয়ে আমি কথা বলতে চাই না। কারণ, এখানে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আগের যে বক্তব্যগুলো এবং এই সরকারের বেশির ভাগ মন্ত্রীর যে বক্তব্য, সেই বক্তব্য তো খুব স্পষ্ট যে, ওরা যেভাবেই রিসিভ করুক, তারা যাবে এবং সেটা নিয়ে তাদের খুব একটা বড় রকমের সমস্যা থাকবে না।’

‘আমি আগেই বলেছি যে, এই সরকার একেবারের নতজানু সরকার। বন্ধুদের সমর্থন ছাড়া তাদের টিকে থাকা কঠিন। সুতরাং তারা চাইবে নির্বাচনের আগে সেইটাকে যদি কোনো রকম আরও শক্তিশালী করা যায়। আমরা বিশ্বাস করি গোটা গণতান্ত্রিক বিশ্ব বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে তাদের ভূমিকা পালন করবে’- বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘আমরা বরাবরই বলে এসেছি যে, বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্রকামী মানুষ। বাংলাদেশের মানুষের কাছে গণতন্ত্র ছিল। এই আওয়ামী লীগ সরকার সেই গণতন্ত্র কেড়ে নিয়েছে এবং প্রতিদিন প্রতি মুহূর্তে এখানে গণতন্ত্রকে হত্যা, মানুষের অধিকারকে হত্যা করছে, তারা বিরোধী পক্ষকে হত্যা করছে। সেই সরকারের সমর্থনে কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র আসবে- এটা আমরা বিশ্বাস করি না। আমরা বিশ্বাস করি যে, সমস্ত গণতান্ত্রিক বিশ্ব জনগণের যে সংগ্রাম, মহান ঐতিহ্যবাহী যে সংগ্রাম গণতন্ত্রের পক্ষের যে সংগ্রাম তাকেই সমর্থন করবে।

মিয়ানমার প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘১৫ বছরের অভিজ্ঞতায় আমরা দেখেছি যে, এই সরকার যেহেতু জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সরকার নয়, যেহেতু জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে তারা সরকারে আসে নাই। সুতরাং তাদের পক্ষে বহির্বিশ্বে কোনো চুক্তি করা, বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের স্বার্থকে রক্ষা করা অত্যন্ত দূরহ কাজ। এটা আমরা লক্ষ্য করেছি মিয়ানমারের ক্ষেত্রে। এখন পর্যন্ত মিয়ানমারে এই সরকার কোনো ব্রেক থ্রো করতে পারে নাই।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আরও ভয়াবহ কাণ্ড হচ্ছে যে, মিয়ানমার বার বার বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে বিনষ্ট করে তারা মর্টার মারছে, গোলা মারছে। কিন্তু সরকারের নতজানু পররাষ্ট্র নীতির কারণে একটি প্রতিক্রিয়া ছাড়া কোনো কিছু করার সাধ্য তাদের নেই।’

বিজ্ঞাপন

বর্তমান নির্বাচন কমিশন (ইসি) সম্পর্কে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘এই নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে আমি কোনো কথা বলতে চাই না। কারণ এই নির্বাচন কমিশনকে আমরা মানি না। আমরা বলেছি যে, এই কমিশনটাও সম্পূর্ণ বেআইনি ও অনৈতিক। নির্বাচন কমিশন দিয়ে নির্বাচন হবে না। নির্বাচন করতে হলে এখানে একটা নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজন হবে। নির্বাচনকালীন যদি নির্দলীয় সরকার না হয়, তাহলে অতীতে যে সমস্ত নির্বাচন কমিশন কাজ করছে তাদের যে হাল হয়েছে এদের সেই একই হাল হবে। তারা কখনোই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে না। সেই কারণে এই নির্বাচন কমিশন কী বলল না বলল, তাতে আমাদের খুব একটা যায় আসে না।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য একটাই এই ফ্যাসিবাদী বেআইনি জবর দখলকারী সরকারকে সরিয়ে একটা নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর, সংসদ বিলোপ করা এবং নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের মধ্য দিয়ে একটি অবাধ, সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা।’

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিশেষ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, কেন্দ্রীয় নেতা নাজিম উদ্দিন আলম, কামরুজ্জামান রতন, আজিজুল বারী হেলাল, মীর সরফত আলী সপু, আমিরুল ইসলাম খান আলিম, আকরামুল হাসান, মহানগর বিএনপির আমিনুল হক, রফিকুল আলম মজনু, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, যুব দলের সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের নতুন কমিটির সহসভাপতি ইয়াছিন আলী, সংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান, সাবেক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এজেড/আইই

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন