বিজ্ঞাপন

‘বৈদেশিক ঋণের পাইপলাইনে ৪৮.৫৪ বিলিয়ন ডলার’

September 18, 2022 | 3:24 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: দেশে বৈদেশিক ঋণের পাইপলাইন বাড়ছে। এখন পর্যন্ত জমা আছে উন্নয়ন সহযোগীদের প্রতিশ্রুত ৪৮.৫৪ বিলিয়ন ডলার। যা স্থানীয় মুদ্রায় প্রায় ৪ লাখ ৮৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) এক সেমিনারে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) সুশাসন নিশ্চিতকরণে বৈদেশিক ঋণ ব্যবস্থাপনা শীর্ষক সেমিনারের সঞ্চালনা করেন ইআরডি সচিব শরিফা খান।

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। বক্তব্য দেন পরিকল্পনা সচিব মামুন-আল-রশীদ। বৈদেশিক ঋণের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে তুলে ধরেন ইআরডি’র অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজুর রহমান।

সেমিনারে জানানো হয়, বৈদেশিক ঋণ গ্রহণ বাড়ছে বাংলাদেশের। তবে তা এখনও গ্রহণ সীমার মধ্যেই আছে। মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৪০ শতাংশ পর্যন্ত আমরা ঋণ নিতে পারি। আমরা এখন ঋণ নিচ্ছি জিডিপির ১২.৯৪ শতাংশ।

বিজ্ঞাপন

এছাড়া রেমিটেন্সের হিসেবে ঋণ নিতে পারি ১৮০ শতাংশ। সেখানে ৮৫.৫৭ শতাংশ। এদিক থেকে আমাদের সক্ষমতার অনেক কম বৈদেশিক ঋণ নিচ্ছি। তবে গত কয়েক বছরে ঋণ গ্রহণ বেড়েছে। এই ঋণ পরিশোধেরও চাপ বাড়বে আগামীতে।

এসময় আরও জানানো হয়, ১৯৭২-৭৩ অর্থবছর থেকে শুরু করে ২০২১-২২ অর্থবছর পর্যন্ত আমাদের দেশে বৈদেশিক ঋণের প্রতিশ্রুতি এসেছে ১৬৯.৪৯ বিলিয়ন ডলার। এর বিপরীতে অর্থ ছাড় হয়েছে ১১১.৩৮ বিলিয়ন ডলার। এখনও পাইপলাইনে পড়ে আছে ৪৮.৫৪ বিলিয়ন ডলার। এখনও স্বল্প সুদের ঋণ বেশি পাচ্ছে বাংলাদেশ। মোট ঋণের ৭৬.৯৫ শতাংশ হলো ফিক্সড রেটের বা স্বল্প সুদের ঋণ।

এছাড়া ফ্লটিং রেট বা কিছুটা অনমনীয় ঋণ ২৩.০৫ শতাংশ। এগুলোর গড় সুদের হার ১.৫ শতাংশ। গড়ে ২৮ বছরে এসব ঋণ পরিশোধ করতে হবে। গড় রেয়াতকাল ৭.৬ শতাংশ। সেই সঙ্গে মোট বৈদেশিক ঋণের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক ঋণ মাত্র ৪০ শতাংশ আর বহুপাক্ষিক ঋণ ৬০ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি ঋণ নেওয়া হচ্ছে বিশ্বব্যাংক থেকে ৩২ শতাংশ, এডিবি থেকে ২৪ শতাংশ, জাপান থেকে ১৮ শতাংশ, চীনের ৮ শতাংশ, রাশিয়ার ৫ শতাংশ, ভারতে ২ শতাংশ, আইডিবি ও এআই্আইবির ১ শতাংশ এবং অন্যান্য উৎস থেকে নেওয়া হয়েছে ৫ শতাংশ ঋণ।

বিজ্ঞাপন

সেমিনারে আরও জানানো হয়, মোট নেওয়া ঋণের মধ্যে এসডিআরে নেওয়া হয়েছে সবচেয়ে বেশি ৪১ শতাংশ ঋণ। এরপরই রয়েছে মার্কিন ডলারে ৩২ শতাংশ, জাপানি ইয়েনে ১৮ শতাংশ, ইউরোয় ৩ শতাংশ এবং অন্যান্য মুদ্রায় ৬ শতাংশ।

সারাবাংলা/জেজে/এমও

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন