বিজ্ঞাপন

ফুটবলের জন্য, দেশের জন্য আজ বিশেষ খুশির দিন: সালাম মুর্শেদী

September 19, 2022 | 7:57 pm

স্পোর্টস ডেস্ক

দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিক নেপালকে ৩-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো সাফের শিরোপা ঘরে এনেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। এর আগের ২০১৬ সালে ফাইনালে খেললেও ভারতের কাছে হারতে হয়েছিল বাংলাদেশ। তবে এবার শিরোপা ঘরে তুলেছে বাঘিনীরা। আর এতেই আনন্দ উল্লাসে ভাসছে গোটা বাংলাদেশ। এর বাইরে নয় বাংলাদেশের ফুটবলের অন্যতম সংগঠক এবং জাতীয় দলের সাবেক খেলোয়াড় সালাম মুর্শেদী। মেয়েদের সাফ জয়ের আনন্দ অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছেন সারাবাংলার সঙ্গে।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সিনিয়র সহ সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী সাফের শিরোপা জয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন সকল খেলোয়াড় এবং দলের সঙ্গে থাকা সকল কোচিং স্টাফসহ সকলকে।

তিনি বলেন, ‘আমাদের অত্যন্ত গৌরবের, গর্বের আর এই জয়ের অনুভূতি বলে শেষ করা যাবে না। আমি একজন সাবেক খেলোয়াড় হিসেবে মনে করছি আজ আমাদের বিশেষ আনন্দের একটি দিন। মেয়েরা অসাধারণ খেলেছে। পুরো টুর্নামেন্টে নেপালের মাঠে অপরাজিত হয়ে চ্যাম্পিয়ন মেয়েরা। নেপালের স্টেডিয়ামে যখন বাংলাদেশের পতাকা পতপত করে উড়ছিল তখন আমার মুক্তিযুদ্ধের কথা মনে পড়ছিল। আমরা অনেকদিন ফুটবল নিয়ে আনন্দ করতে পারিনি। দেখা যাচ্ছে পুরো ৯০ মিনিট আমরা ভালো খেলেও শেষ মুহূর্তে এসে গোল খেয়ে যাচ্ছি, কোনো কারণে ভাগ্য আমাদের সঙ্গেই নেই।’

হিমালয় শিখরে বাংলাদেশের মেয়েরা

‘যাই হোক সবকিছু মিলিয়ে ফুটবলের জন্য আজকে আমার আবেগময় দিন ছিল। একজন খেলোয়াড় হিসেবে আমার মনে হয় যারা আজ অংশগ্রহণ করেছে তারা অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছে। আর টিমের সঙ্গে কোচিং স্টাফ ছিল যারা এই টিমকে দেখভাল করেছে এবং সুন্দরভাবে খেলিয়েছে তাদের অভিনন্দন। একজন সাবেক ফুটবলার হিসেবে এবং ফুটবল সংগঠক হিসেবে আমার জন্য আজ বিশেষ দিন। ফুটবলের জন্য এবং দেশের জন্য আজ বিশেষ একটি দিন। অভিনন্দন বিজয়ীদের।’—যোগ করেন আব্দুস সালাম মুর্শেদী।

বিজ্ঞাপন

নেপালের দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে প্রথমার্ধে ২-০ গোলের লিড নেয় বাংলাদেশ। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে গোল করে ব্যবধান কমায় নেপাল। আনিতার দারুণ এক শট জড়িয়ে যায় বাংলাদেশের জালে। এতেই আবারও ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দেয় নেপাল, জমিয়ে তোলে শিরোপার লড়াই। তবে নেপালকে বেশি সময় ম্যাচে থাকতে দেয়নি বাংলাদেশ।

মাত্র এক গোলের লিড নিরাপদ মনে হচ্ছিল না সে সময়। কেননা বেশ আক্রমণাত্মক খেলতে থাকা নেপাল দারুণ সব গোলের সুযোগ তৈরি করছিল। যে কারণে আরও একটি গোল আদায়ের লক্ষ্যে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে খেলতে থাকে তারা। খুব বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। ৭৭তম মিনিটেই গোল আদায় করে নেয় বাংলাদেশ। কৃষ্ণা রানী সরকারের দ্বিতীয় গোলে বাংলাদেশ এগিয়ে যায় ৩-১ গোলের ব্যবধানে। আর শেষ পর্যন্ত এই ব্যবধানই ইতিহাস গড়ে দেয় বাংলাদেশকে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসএস

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন