বিজ্ঞাপন

বগুড়ায় ইউএনওকে বর্জনের ঘোষণা উপজেলা পরিষদের

September 26, 2022 | 5:24 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

বগুড়া: বগুড়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সমর কুমার পালকে বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে উপজেলা পরিষদ। ইউএনওকে প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত তার কোন সভায় যোগদান করবেন না পরিষদের সদস্যগণ।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বগুড়া সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু সুফিয়ান শফিক এই তথ্য জানিয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সমর কুমার পালের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তদন্ত করে তাকে প্রত্যাহারের জন্য সোমবার জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার বরাবর অভিযোগ পাঠানো হয়েছে।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও ১১জন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান স্বাক্ষরিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, সমর কুমার পাল বগুড়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করার পর থেকেই পরিষদের সকল কর্মকর্তা কর্মচারী ছাড়াও ইউপি চেয়ারম্যানদের সাথে স্বেচ্ছাচারিতা মূলক আচরণ করে আসছেন। তিনি সময়মত অফিসে বসেন না এবং সরকারি সিদ্ধান্ত অমান্য করে গভীর রাত পর্যন্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিসে থাকতে বাধ্য করেন। তিনি বিনা প্রয়োজনে ইউপি চেয়ারম্যানদের যখন তখন অফিসে ডাকেন এবং ফাইল দিনের পর দিন আটকে রেখে অনৈতিক সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করেন। ইউএনও-এর স্বেচ্ছাচারিতামূলক আচরণ পরিবর্তনের জন্য ইউপি চেয়ারম্যানদের সাথে নিয়ে ইউএনও’র সাথে একাধিকবার আলোচনা করেও কোন পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়নি।

বিজ্ঞাপন

এছাড়া গত ২২ সেপ্টেম্বর রাতে উপজেলা প্রকৌশল অফিসের নৈশ প্রহরী আলমগীর শেখকে ইউএনও তার অফিসে ডেকে নিয়ে বেদম মারধর করে গুরুতর আহত করেন। যা বিভিন্ন মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হয়। এ ঘটনার পর ইউএনও তার অফিসিয়াল ফেসবুকে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য পোস্ট করেন এতে করে উপজেলা পরিষদের মর্যাদাও সুনাম ক্ষুন্ন করা হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

ইউএনও সমর কুমার পাল বলেন, ‘উপজেলা চেয়ারম্যান ডিসি অফিসে গেছেন শুনেছি। তবে কেন গেছেন তা আমার জানা নেই।’

অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আলমগীরের বিষয়টি যেহেতু তদন্তাধীন তাই সে বিষয়ে কিছু বলা উচিৎ হবে না। অন্য যে অভিযোগ তারা করেছেন তার কোন ভিত্তি বা সত্যতা নেই।’

বিজ্ঞাপন

বগুড়া সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান শফিক ইউএনওকে ঘুষখোর, বদমেজাজি ও স্বেচ্ছাচারী উল্লেখ করে বলেন, ‘এই ইউএনও যতদিন পর্যন্ত বদলী না হবেন ততোদিন পরিষদের সদস্যরা কোন কর্মসূচিতে অংশ নিবেন না। আমরা আশা করছি পরিষদের কর্মকান্ড স্বাভাবিক রাখতে দ্রুত তাকে প্রত্যাহার করা হবে।’

সারাবাংলা/ইআ

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন