বিজ্ঞাপন

তাক লাগানো অ্যাভেঞ্জার্স: ইনফিনিটি ওয়ার

April 26, 2018 | 3:55 pm

এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক ।।

বিজ্ঞাপন

‘অ্যাভেঞ্জার্স: ইনফিনিটি ওয়ার’। কেমন হবে এই সিনেমা? এত সুপারহিরো একসঙ্গে! নিশ্চই হবে মারদাঙ্গা ছবি। ট্রেইলার, পোস্টারে এটা নিশ্চিত, মারমার-কাটকাট অ্যাকশন তো থাকবেই। যা হয়ত সুপারহিরোদের আগের সব সিনেমাকে হার মানিয়ে দেবে।

কিন্তু অন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো রহস্য রাখছে তাদের কথায়। অধিকাংশ সমালোচকেরা ‘অ্যাভেঞ্জার্স: ইনফিনিটি ওয়ার’ সিনেমাকে বলছে বিনোদনের রাজ্য। আন্তর্জাতিক এক সামলোচক বলছেন, ‘সর্বাধিক আনন্দ ও বিনোদনের প্রদর্শনী হলো অ্যাভেঞ্জার্স: ইনফিনিটি ওয়ার।’

বিজ্ঞাপন

স্বনামধন্য আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ‘দ্যা গার্ডিয়ান’-এ প্রকাশিত রিভিউতে বলা হয়েছে ‘কমিক বইয়ের যে চরিত্রগুলো খুব আত্মবিশ্বাসী, অ্যাভেঞ্জার্স: ইনফিনিটি ওয়ার সেই চরিত্রগুলোর চিত্র মিশ্রন।’

মারভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্সের সব চরিত্রই আছেন সিনেমায়। ক্যাপ্টেন আমেরিকা, আয়রনম্যান, হাল্ক, থর, ডক্টর স্ট্রেঞ্জ, স্পাইডার ম্যান, ব্ল্যাক উইডো, উইন্টার সোলজার, গার্ডিয়ানস অব দ্য গ্যালাক্সি বাহিনী। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সম্প্রতি পর্দায় আসা সুপারহিরো ব্ল্যাক প্যান্থার। সবাইমিলে রহস্য উদঘাটন করবেন অজানা হুমকির। মোকাবেলাও করতে হবে মহাপরাক্রমশালী ক্ষমতার।

বিজ্ঞাপন

যুক্তরাজ্যে প্রকাশিত ম্যাগাজিন ভ্যারাইটি সিনেমাটি সম্পর্কে লিখেছে ‘অ্যাভেঞ্জার্স: ইনফিনিটি ওয়ার ছবিটি চমৎকার মজার’।

অন্যদিকে সমালোচকেরা এও বলছেন যে, ‘অ্যাভেঞ্জার্স: ইনফিনিটি ওয়ার একটি জনবহুল সুপারহিরোদের সিনেমা। এটা থেকে বোঝা যায় যে সুপারহিরোরা কম গুরুত্বপূর্ণ।’

এইসব সুপারহিরোর প্রতিদ্বন্দ্বীর নাম থানোস। কম্পিউটারে পরিচালিত একজন ভিলেন। যে পৃথিবীতে থাকা ছয়টি ইনফিনিটি স্টোন খুঁজতে আসে। এই ছয়টি ইনফিনিটি স্টোন তৈরি করবে সময়, স্থান ও বাস্তবতার অধিক ক্ষমতা।

বিজ্ঞাপন

লন্ডনে বুধবার হয়েছে ছবিটির এক বিশেষ প্রদর্শনী। সিনেমার প্লট, কাহিনী বা গুরুত্বপূর্ণ কোনো কিছুই প্রকাশ পায়নি সেখান থেকে। দর্শকরা খুব সচেতেনভাবে বিষয়গুলো আড়াল করেছেন।

‘অন্যদের কাছে সিনেমার কাহিনী আগেই বলে দিওনা।’ সিনেমার যৌথ পরিচালক অ্যান্থনি এবং জিও রুশো এই আবেদন করেছেন দর্শকদের কাছে। সামলোচকেরাও এই আবেদনে সাড়া দিয়েছেন। তারও বলছেন না অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

এর মধ্যেই ডেইলি মিরর এর সাংবাদিক ক্রিস হানিসেট লিখে ফেলেন সিনেমা সম্পর্কিত অনেক কথাই। কিন্তু পরিচালকের আবেদনের সাড়া দিয়ে সেই লেখাগুলো ছাপেনি বিবিসি।

ক্রিস হানিসেট তার সমালোচনায় লিখেছেন, ‘দর্শকরা হতবাক হয়েছেন। পরিচালকের মুন্সিয়ানায় মুগ্ধ তারা।’

স্ক্রিন ডেইলি বলছে, ‘সিনেমাটার প্রচন্ড দম্ভ। যেখানে রয়েছে অ্যাকশন, অন্ধকারাচ্ছন্ন ভবিষ্যৎ একই সঙ্গে মানবিক বিষয়সমূহ।’

টোটাল ফিল্মের বক্তব্য, ‘ছবিটা দর্শকদের জন্য একটা মানসিক আক্রমণ। এই আক্রমণে রয়েছে অ্যাকশন, থ্রিল, ঠাট্টা এমনকী মুমূর্ষুতার গল্প।’

দ্য টেলিগ্রাফ লিখেছে, ‘ওয়ারক্র্যাফ্ট-এর বিশ্ব থেকে এটা একটা টুং-টাং শব্দ।’

‘থানোস তোমার নিরবতা কেড়ে নেবে’ লন্ডনে প্রদর্শনের পর একজন সামলোচক এই মন্তব্য করেন।

এটাও অনেক অবাক করার মতো যে, দর্শকরা কেউ সিনেমার গল্প বা এর গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো অন্তর্জালে প্রকাশ করছে না।

তাই সমালোচকদের মন্তব্য, ‘এটা বললে মোটেও সর্বনাশ হবে না যে, অ্যাভেঞ্জার্স: ইনফিনিটি ওয়ার ছবিটি নিখুঁত, চিন্তার এবং আনন্দ দেবে দর্শকদের।’

২৭ এপ্রিল আন্তর্জাতিকভাবে মুক্তি পাবে ছবিটি। বাংলাদেশের দর্শকরাও দেখতে পাবেন এই সিনেমা। রাজধানীর স্টার সিনেপ্লেক্সে প্রদর্শিত হবে অ্যাভেঞ্জার্স: ইনফিনিটি ওয়ার।

তথ্যসূত্র: বিবিসি

সারাবাংলা/পিএ/টিএস

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন