বিজ্ঞাপন

ফুল-আরতিতে বিজয়া দশমী

October 5, 2022 | 1:19 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: পাঁচদিনব্যাপী আয়োজনের শেষদিন বিজয়া দশমীর আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে শেষ হচ্ছে এ বছরের শারদীয় দুর্গোৎসব। বুধবার (৫ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টায় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে দশমীর পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। ফুল ও আরতি দিয়ে পূজা দেওয়া হয় দেবী দুর্গাকে।

বিজ্ঞাপন

মন্দিরে দশমীর পূজা পরিচালনা করেন তিনজন পুরোহিত। এর মধ্যে প্রধান পুরোহিত হিসেবে ছিলেন প্রনাদ চক্রবর্তী। আর তার সঙ্গে ছিলেন প্রণব চক্রবর্তী ও বরুণ চক্রবর্তী। এ সময় মুদ্রাস্ফীতি ও অর্থনৈতিক চাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য প্রার্থনা করা হয়।

পুরোহিতদের পূজার পর ফুল ও বেলপাতা দিয়ে অঞ্জলি দেন আগত ভক্ত ও দর্শনার্থীরা। এ কার্যক্রম পরিচালনা করেন পুরোহিত, পূজা উদযাপন কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব প্রণব চক্রবর্তী। অঞ্জলির পর তর্পণ দেওয়া হয়। পরে সকাল সোয়া ১১টা নাগাদ ঘট বিসর্জনের পর সিঁদুর খেলা শুরু হয়।

ছবি: সারাবাংলা

ছবি: সারাবাংলা

এ বিষয়ে পুরোহিত প্রণব চক্রবর্তী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আজ বিজয়া দশমীর মাধ্যমে পাঁচদিনব্যাপী পূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষ হচ্ছে। সকালে দশমী পূজা শেষে দর্পণ বিসর্জন দেওয়া হয়। এই দর্পণ আঘাত প্রতিরোধক। সমাজে যত অশুভ, অশিষ্ট আর বৈষম্য আছে তার বিরুদ্ধে দেবীর সম্মিলিত শুভশক্তি দিয়ে প্রতিহত করতে এই দর্পণ বিসর্জন দেওয়া হয়। দর্পণ বিসর্জনের মাধ্যমে দেবী শুভ সময়, সমাজ ও সংসার সৌভাগ্য ও ঐশ্বর্যময় হয়ে ওঠার জন্য আশ্বস্ত করেন। আজ দেবী বিসর্জনের পর শিবের সঙ্গে অবস্থানের জন্য কৈলাশ ফিরে যাবেন।

বিজ্ঞাপন

বিজয়া দশমীর সকালে ঢাকেশ্বরী প্রাঙ্গণের মণ্ডপ ছাড়াও অনেককে আদি মন্দিরেও পূজা দিতে দেখা যায়। এখানে ফুল ও প্রসাদ দিয়ে পূজা দেওয়ার পর মোমবাতি ও ধূপ জ্বালিয়ে অর্ঘ্য প্রদানের মাধ্যমে অঞ্জলি দেন অনেকে।

ছবি: সারাবাংলা

ছবি: সারাবাংলা

আজ বিকাল ৫টায় প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হবে বলে নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কেন্দ্রীয় কমিটির দফতর সম্পাদক সুবল ঘোষ। আজই প্রতিমা বিসর্জন শেষ করার জন্য দেশের সকল পূজা কমিটির প্রতি আহ্বান জানান তিনি। ঢাকেশ্বরীর দেবী বিসর্জন হবে বরাবরের মতোই পুরান ঢাকার ওয়াইজঘাটে। বিসর্জনের পরে হবে অপরাজিতা পূজা।

মিরপুর থেকে সংজ্ঞা রাহা এসেছেন ছোটভাই অর্জুনকে নিয়ে। অন্যান্যবার গ্রামে গেলেও এবার ঢাকায় পূজা উদযাপন করছেন। দুর্গোৎসবের শেষদিন আজ ঢাকেশ্বরীতে এসেছেন তারা। কেমন লাগল জানতে চাইলে অর্জুন বলে, ‘সবগুলো মণ্ডপের চেয়ে এই মন্দিরের ঠাকুর সবচেয়ে সুন্দর। তাছাড়া এখানে পূজার মঞ্চ উঁচু হওয়ায় ঠাকুরকে ঠিকমতো দেখা যাচ্ছে।’

বিজ্ঞাপন
ছবি: সারাবাংলা

ছবি: সারাবাংলা

স্বামীবাগ থেকে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে সিঁদুর খেলতে এসেছেন শিখা ভট্টাচার্য। প্রতিবছরই বন্ধুদের সঙ্গে আসেন। সারাবাংলাকে তিনি বলেন, স্বামীর দীর্ঘায়ু কামনায় তারা হিন্দু বিবাহিত নারীরা সিঁদুর পরেন। সারাবছর বিজয়া দশমীর জন্য অপেক্ষায় থাকেন। এদিন দেবীর পায়ে সিঁদুর দিয়ে নিজেদের সিঁথিতে বা গালে সিঁদুর ছোঁয়ান তারা। বিবাহিত নারীরা সিঁথিতে সিঁদুর দিলেও অবিবাহিত মেয়েরা গালে দেন। এভাবেই বিজয়া দশমীর আনুষ্ঠানিকতা পালন করেন প্রতিবছর।

দুপুর দেড়টায় সিঁদুরখেলা শেষে পলাশী থেকে একটি শোভাযাত্রা যাবে ভাসানের উদ্দেশ্যে। ঢাকেশ্বরী মন্দিরের প্রতিমাটি স্থায়ী হওয়ায় এটি ভাসান  দেওয়া হবে না। আগেই ঢাকেশ্বরী প্রাঙ্গনের পুকুরে ঘট এবং দর্পন বিসর্জন দেওয়া হয়।

সারাবাংলা/আরএফ/এনএস

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন