বিজ্ঞাপন

‘প্রতি ছয় সেকেন্ডে মারা যাচ্ছে একজন স্ট্রোকের রোগী’

October 30, 2022 | 9:04 pm

সারাবাংলা ডেস্ক

চট্টগ্রাম ব্যুরো : অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের কারণে দেশে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ছে। তবে স্ট্রোকের লক্ষণ শুরুর তিন ঘণ্টার মধ্যে হাসপাতালে গেলে আসলে থ্রম্বোলাইটিক থেরাপির মাধ্যমে স্ট্রোক সম্পূর্ণ নিরাময় সম্ভব।

বিজ্ঞাপন

‘বিশ্ব স্ট্রোক দিবস’উপলক্ষে রোববার (৩০ অক্টোবর) সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে অনুষ্ঠিত এক বৈজ্ঞানিক সভায় এ তথ্য এসেছে। শাহআলম বীরউত্তর মিলনায়তনে চমেক হাসপাতালের নিউরোলজি বিভাগ এ সভার আয়োজন করে। সভার আগে শোভাযাত্রা বের হয়।

সভায় ‘স্ট্রোক ব্যবস্থাপনায় নতুনত্ব কী’ শীর্ষক মূল বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নিউরোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. হাসানুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘স্ট্রোক হলে দেরি না করে রোগীদের অবশ্যই হাসপাতালে নিতে হবে এবং চিকিৎসা নিতে হবে। কারণ স্ট্রোক পরবর্তী প্রতি মিনিটে ১ দশমিক ৯ মিলিয়ন মস্তিষ্কের কোষ মারা যায়। এতে মস্তিষ্কের স্থায়ী ক্ষতি হয়। পুরো বিশ্বে প্রতি দুই সেকেন্ডে একজন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় এবং প্রতি ছয় সেকেন্ডে একজন রোগী মারা যায়।’

‘সময়ের সাথে সাথে স্ট্রোকের রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের নিউরোলজি ওয়ার্ডে রোগী ভর্তির পরিসংখ্যানের দিকে তাকালেই সেটি স্পষ্ট হয়ে ওঠে। মূলত আমাদের জীবনযাপনের পরিবর্তন এবং অনিয়ন্ত্রিত ডায়বেটিস, উচ্চ রক্তচাপের কারণে স্ট্রোক বাড়ছে। স্ট্রোকের চিকিৎসা শতভাগ নিরাময়যোগ্য না হলেও নিয়মতান্ত্রিক চলাফেরা করে সুস্থ থাকা সম্ভব। দুই ধরনের স্ট্রোক রয়েছে। এর মধ্যে ৮৬ শতাংশই হলো ইস্কেমিক স্ট্রোক এবং ১৪ শতাংশ হলো হেমোরজিক স্ট্রোক।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘ইস্কেমিক স্ট্রোক তখন হয় যখন মস্তিষ্কের রক্তনালীতে জমাট বেঁধে রক্ত সঞ্চালন ব্যাহত হয়। আবার হেমোরজিক স্ট্রোক হলো- যখন মস্তিষ্কের রক্তনালী ফেটে গিয়ে রক্তক্ষরণ হয়। স্ট্রোক রোগীর পুনবার্সন প্রক্রিয়া নিয়েও আমাদের ভাবতে হবে। কারণ স্ট্রোকের চিকিৎসা খুবই দীর্ঘমেয়াদী। তবে বর্তমানে আমাদের নিউরোলজি ওয়ার্ডে আধুনিক চিকিৎসা শুরু করেছি। স্ট্রোকের লক্ষণ শুরু হওয়ার ৩ ঘণ্টার মধ্যে আমাদের ওয়ার্ডে আসলে থ্রম্বোলাইটিক থেরাপির মাধ্যমে স্ট্রোক সম্পূর্ণ নিরাময় করা সম্ভব। ইতোমধ্যে আমরা যতগুলো থেরাপি দিয়েছি, শতভাগ সফল হয়েছে। রোগীরা সুস্থ জীবন যাপন করছেন।’

চমেকের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. হাফিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে চমেকের নিউরোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. মুহিতুল ইসলাম, প্রদীপ কুমার কায়স্থগীর, শিউলি মজুমদার, পঞ্চানন দাশ, সহকারী অধ্যাপক মাহবুবুল আলম খন্দকার, মসিহুজ্জামান আলফা, তৌহিদুর রহমান, আনোয়ারুল কিবরিয়া, জামান আহম্মদ, একরামুল আজম শাহেদ, নিউরোলজি বিভাগের কনসালটেন্ট সীমান্ত ওয়াদ্দাদার এবং রেজিস্ট্রার পীযূষ মজুমদার বক্তব্য রাখেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আরডি/এনইউ

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন