বিজ্ঞাপন

চিনিকলে খরচ ও লোকসান বৃদ্ধি পেয়েছে: শিল্পমন্ত্রী

November 1, 2022 | 8:59 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ক্রমাগত ঋণের সুদ বৃদ্ধি পাওয়ায় চিনিকলে খরচ ও লোকসান বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, সরকারের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা না পাওয়ায় ব্যাংক থেকে উচ্চ সুদে ঋণ নিয়ে চিনিকলগুলো পরিচালিত হচ্ছে। যে কারণে চাহিদা থাকা সত্ত্বেও চিনিকলের লোকসান হচ্ছে।

মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে লিখিত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গা।

বিজ্ঞাপন

জবাবে মন্ত্রী আরও জানান, সরকারের কাছ থেকে আখ ও চিনির দাম নির্ধারণ করার কারণে অনেক সময় বাজারের চাহিদা ও ভোক্তাদের বিষয় বিবেচনা করে চিনির দাম কমানোর প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু আখের দাম স্থির থাকে। এতে লোকসান বেশি হয়।

তিনি জানান, ফসলের বহুমুখীকরণের কারণে আখ চাষ কমে যাচ্ছে। লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী আখ উৎপাদন না হওয়ায় চিনিকলগুলোর লোকসান বাড়ছে।

একই প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, উন্নত জাতের আখের জাত উদ্ভাবন না হওয়া, দক্ষ জনবলের অভাব এবং শ্রমনির্ভর কারখানা হওয়ায় চিনি আহরণের হার হ্রাস পেয়েছে। এ সময় চিনি শিল্পকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে উন্নীত করতে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেনি তিনি।

বিজ্ঞাপন

আওয়ামী লীগের নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন জানান, দেশে ইউরিয়া সারের মজুত (২০২২ সালের ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত) ৭ দশমিক ৩৩ লাখ মেট্রিক টন। ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত নিরাপত্তা মজুত ৮ লাখ টনসহ সারের প্রয়োজন ২৫ দশমিক ৯৬ মেট্রিক টন।

প্রয়োজনীয় ২৫ দশমিক ৯৬ মেট্রিক টন স্থানীয় কারখানার উৎপাদন ও বিদেশ থেকে আমদানি করে চাহিদা পূরণের পরিকল্পনা রয়েছে। সরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিদ্যুৎ বিল বকেয়া প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা/সরকার দলীয় সংসদ মোজাফফর হোসেনের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানান, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দফতরের কাছে বিদ্যুৎ বিভাগের পাওনা এক হাজার ৮৯৩ কোটি ৪২ লাখ টাকা।

এরমধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের কাছে পাওনা ৯০৫ কোটি ২১ লাখ টাকা এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের কাছে ৩৯৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। তিনি আরো জানান, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এবং তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন সরকারি বিভিন্ন দফতর ও সংস্থা নিয়মিতভাবে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করায় বিপুল অঙ্কের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া আছে। তবে তদারকি জোরদার করে মাঠপর্যায়ে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করায় গত কয়েক বছরে বিদ্যুৎ বিলের বকেয়ার পরিমাণ কমানো সম্ভব হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কাছে ৮৮ কোটি ৪৬ লাখ টাকা, জননিরাপত্তা বিভাগের কাছে ৬৪ কোটি ২২ লাখ, কৃষি মন্ত্রণালয়ের কাছে ৬৩ কোটি ৬১ লাখ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের কাছে ৪৩ কোটি ৫৬ লাখ এবং স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে ৩৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকা পাওনা বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের।

বিজ্ঞাপন

বিদ্যুৎ বিলের বকেয়া আদায়ে সরকার নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে জানিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, বিদ্যুৎ বিলের বকেয়া কমানোর জন্য পর্যায়ক্রমে সব গ্রাহককে প্রিপেইড/স্মার্ট মিটারের আওতায় আনা হচ্ছে। গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৫১ লাখ ৭ হাজার ৪৫২টি প্রি-পেইড/স্মার্ট মিটার স্থাপন করা হয়েছে। আগামী এক বছরের মধ্যে আরও ২০ লাখ প্রি-পেইড/স্মার্ট মিটার স্থাপন করা হবে।

সারাবাংলা/এ এইচ এইচ/এনইউ

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন