বিজ্ঞাপন

ভোরের আলো উঁকি দিতেই আ.লীগের জনসভাস্থলে নেতাকর্মীদের ঢল

December 4, 2022 | 11:13 am

সারাবাংলা টিম

পলোগ্রাউন্ড থেকে: জনসভা দুপুরে, কিন্তু ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথেই চট্টগ্রাম নগরীর পলোগ্রাউন্ড ময়দানে জনসভাস্থলে আসতে শুরু করেছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। নগরীর বিভিন্ন এলাকার পাশাপাশি উপজেলা থেকেও মিছিল নিয়ে আসছেন দলটির নেতাকর্মীরা।

বিজ্ঞাপন

রোববার (৪ ডিসেম্বর) পলোগ্রাউন্ড মাঠে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এই জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন দলের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে ব্যানার, ফেস্টুন, প্লেকার্ড নিয়ে ভোর থেকেই আসতে শুরু করেন নেতাকর্মীরা। স্লোগোনে-স্লোগানে মুখর জনসভাস্থল ও রাজপথ।

এদিন, সকাল ৮টার পর খুলে দেওয়া হয় জনসভাস্থলের জমায়েতের স্থান। সকাল ৯টার দিকে পলোগ্রাউন্ড মাঠে প্রবেশের মূল গেইটে হাজার হাজার নেতাকর্মীর জটলা। একেক নেতার অনুসারীরা নিজেদের পরিচয় জানান দিতে পরিধান করেছেন নানা রঙের টি-শার্ট, গেঞ্জি, টুপি। সবার মুখে স্লোগান, ঢাকঢোলে পুরো জনসভাস্থলে সৃষ্টি হয়েছে উৎসবের আমেজ।

বিজ্ঞাপন

হাজারো নেতাকর্মীর জনসভাস্থলে প্রবেশ নিয়ে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

ভোরের আগেই মিছিল নিয়ে জনসভাস্থলে উপস্থিত নগর যুবলীগের সভাপতি পদপ্রত্যাশী এম আর আজিম সারাবাংলাকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চট্টগ্রামের জনসভা সফল করতে কেন্দ্রীয় যুবলীগ থেকে নির্দেশনা পেয়ে আমরা ৫ হাজার নেতাকর্মী ভোর থেকেই অপেক্ষা করছি জনসভাস্থলে ঢোকার জন্য।’

বিজ্ঞাপন

আজিমের অনুসারীদের হাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান নওফেলের ছবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।

চট্টগ্রামে শেখ হাসিনা, বিকেলে ভাষণ দেবেন জনসভায়

জনসভায় যোগ দিতে হাজারো নেতাকর্মী নিয়ে সকাল ৯টার দিকে জনসভাস্থলে আসেন চট্টগ্রাম ১২ (পটিয়া) আসনের সাংসদ হুইপ শামশুল হক চৌধুরী। ১৫ মিনিট পরে আসেন চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনের সংসদ সদস্য দিদারুল ইসলাম দিদার। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাউজানের এমপি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী নেতাকর্মীদের জমায়েত নিয়ে হাজির হন জনসভাস্থলে। তার অনুসারীদের দাবি, রাউজান থেকে ৫০ হাজার নেতাকর্মী এসেছে।

জানতে চাইলে হুইপ শামসুল হক চৌধুরী সারাবাংলাকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর আগমনে বীর চট্টলা উৎসবের নগরীতে পরিণিত হয়েছে। সকাল থেকেই নেতাকর্মীরা গাড়িতে, পায়ে হেঁটে সমাবেশস্থলে আসছেন। চট্টলাবাসী প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগতে জানানোর অপেক্ষায় আছেন।’

পটিয়া থেকে ২০ হাজার নেতাকর্মী নিয়ে সমাবেশস্থলে এসেছেন বলে দাবি সাংসদ শামসুলের।

বিজ্ঞাপন

এদিকে সকালে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের ব্যানারে হাজারো নেতাকর্মী নিয়ে জনসভাস্থলে আসেন।

পটিয়া থেকে জনসভায় আসা আব্দুল কাদের বলেন, ‘ভোর ৫টায় আমরা রওয়ানা দিয়ে জনসভাস্থলে এসেছি। সাংগঠনিকভাবে আমি সক্রিয় নয়। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর আদর্শে দীক্ষিত। তাই নিজ দায়িত্বে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জনসভায় এসেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের চট্টগ্রামের জন্য যা করছেন, তার ঋণ কোনোভাবেই শোধ করা যাবে না।’

এদিকে জনসভাকে কেন্দ্র করে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করা হয়েছে। পুলিশ, র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। জনসভাস্থলসহ পুরো চার কিলোমিটার এলাকা সিসিটিভির আওতায় আনা হয়েছে। বসানো হয়েছে বড় পর্দার মনিটর। তিন শতাধিক মাইকে প্রচার হচ্ছে জনসভার কার্যক্রম।

(পলোগ্রাউন্ডে সারাবাংলা টিমে আছেন- শ্যামল নন্দী, ফটোকরেসপন্ডেন্ট, ইমরান চৌধুরী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ও চলন্ত চাকমা, চবি করেসপন্ডেন্ট)

সারাবাংলা/আরডি/এমও

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন