বিজ্ঞাপন

ডিভোর্স লেটার পাঠানোয় স্বামীর অফিসে এসে স্ত্রীর আত্মহত্যা

December 31, 2022 | 10:36 am

স্টাফ  করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: রাজধানীর গুলশানের নিকেতনের ‘ডোপ প্রোডাকশনস’ নামের একটি অফিসে এসে ভাঙা কাচের বোতল দিয়ে পেটে আঘাত করে মাহিমা খানম মুলান (২০) নামে এক তরুণীর আত্মহত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই অফিসে তার স্বামী জুবায়ের হোসেন কাজ করেন বলে জানা গেছে।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) রাত সারে ১১টার দিকে মুমূর্ষু অবস্থায় ওই তরুণীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসা মৃত ঘোষণা করেন।

মাহিমা মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার মো. মোজাফফল হোসেনের মেয়ে।

নিহতের স্বামী জুবায়ের হোসেন জানান, গত মে মাসে প্রেমের সম্পর্কে বিয়ে করেছিলেন তারা। মাহিমা গৃহিণী ছিলেন। উত্তর বাড্ডা পূর্বাচল রোডে তাদের নিজেদের ফ্ল্যাট রয়েছে। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন কারণে পারিবারিক কলহ চলছিল। এর জেরে গত এক মাস আগে পূর্বাচলের বাসা থেকে জুবায়ের চলে যায়। এরপর থেকে মাহিমা ওই বাসায় একাই ছিল।

বিজ্ঞাপন

জুবায়ের আরও জানান, পারিবারিক কলোহের কারণে গত ২৬ ডিসেম্বর মাহিমাকে ডিভোর্স লেটার পাঠান। এরপর মাহিমা তার সঙ্গে দেখা করার জন্য বারবার চেষ্টা করছিলেন। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মাহিমা গুলশান-১ নিকেতনের দুই নম্বর রোডে ‘ডোপ প্রোডাকশনস’ নামে তার অফিসে যান। ওই প্রোডাকশন হাউজের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর জুবায়ের।

তিনি বলেন, ‘আমি অফিসে না থাকায় মাহিমা ফোন করে আমাকে অফিসে আসতে বলে। অফিসে যাবো না বলে জানালে তখন মাহিমা অফিসের ভেতরে ভাঙা কাঁচের বোতল দিয়ে নিজের পেটে আঘাত করে। পরে অফিসে থাকা সহকর্মীরা ফোনে বিষয়টি জানান। দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’

জুবায়ের দাবি করেন, তিন দিন আগেও মাহিমা ২১টি ঘুমের ট্যাবলেট সেবন করেছিলেন। এছাড়াও ব্লেড দিয়ে নিজের হাত কেটেছিল। ওইদিনও তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, রক্তাক্ত অবস্থায় ওই তরুণীকে জুবায়ের নামে এক যুবক হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। স্বামী পরিচয় দেওয়া জুবায়ের দাবি করেছেন, মাহিমা নিজের পেটে ভাঙা কাঁচের বোতল ঢুকিয়ে দিয়েছে। তাকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। ঘটনাটি গুলশান থানা পুলিশ তদন্ত করছে।

সারাবাংলা/এসএসআর/এমও

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন