বিজ্ঞাপন

‘দুর্নীতি করতে আসিনি, জনগণের ভাগ্য গড়তে এসেছি’

January 1, 2023 | 2:26 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা দুর্নীতি করতে আসিনি; দেশের মানুষের ভাগ্য গড়তে এসেছি। বাবা-মা পরিবার হারিয়ে এদেশে দুর্নীতি করতে ফিরে আসিনি। সব হারিয়ে দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে এসেছি।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর পূর্বাচলে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০২৩ উদ্বোধনকালে তিনি একথা বলেন।

মেলা উদ্বোধনকালে পাটজাত পণ্যকে ২০২৩ সালের বর্ষপণ্য বা প্রোডাক্ট অব দ্য ইয়ার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে মেলার কয়েকটি স্টল ঘুরে দেখেন তিনি।

মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৭তম আসরের পর্দা উঠেছে আজ। নতুন বছরের ১ জানুয়ারি পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে (বিবিসিএফইসি) প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত হয়ে এ মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

বিজ্ঞাপন

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) যৌথ আয়োজনে মেলার অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সভাপতিত্ব করেন।

রূপগঞ্জ উপ‌জেলা আওয়ামী লীগের সভাপ‌তি এবং বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীরপ্রতীক) ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান এএইচএম আহসান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) মো. জসিম উদ্দিন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর যৌথ উদ্যোগে ১৯৯৫ সাল থেকে এই মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। দ্বিতীয়বারের মতো স্থায়ী মেলা কমপ্লেক্সে মেলার আয়োজন করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে ধারাবাহিকভাবে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থেকে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ অবকাঠামোগত উন্নয়নের পরিকল্পনা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার নানা দিক তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ব্যবসায়ীসহ সকলকে কাজ করার আহ্বান জানান।

ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ আর গ্যাস যদি একেবারে নিরবিচ্ছিন্নভাবে চান তাহলে এগুলো ক্রয় করতে বা উৎপাদন করতে যে খরচ হবে সে খরচের দামটা তো দিতে হবে। কত আর ভর্তুকি দেওয়া যাবে? আর জনগণের টাকায় এতো বেশি ভর্তুকি তো দেওয়া যায় না। কাজেই এ বিষয়ে ব্যবসায়ী বা ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট যারা আছেন তাদের নজর দিতে হবে।

পূর্বাচলে দৃষ্টিনন্দন সুন্দর পরিবেশে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার প্রসঙ্গও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। করোনা মহামারির কারণে গত বছর মেলায় সরাসরি উপস্থিত না হওয়ার আক্ষেপ প্রকাশ করেন তিনি। এ বছর মেলায় সরাসরি উপস্থিত হয়ে উদ্বোধন করার ইচ্ছা ছিল বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

এসময় পর্যটক আকর্ষণে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বালুকাময় সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারের কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, আমাদের দেশটাকে আমরা গড়ে তুলতে চাই। ২০০৭ সালে যখন জেলে ছিলাম তখন ওখানে বসেই লিখে রেখেছিলাম ২০২১ এর মধ্যে বাংলাদেশকে কিভাবে উন্নত করব। আর তার সব কিন্তু ২০০৮ এর নির্বাচনী ইশতেহারে সংযুক্ত করে আরও উন্নত মানের করে আমরা সেই লক্ষ্য অর্জন করেছি। এখন লক্ষ্য ২০৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নত দেশ হবে। ২০৪১ সালে বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ।

করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সব মিলিয়ে বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে উন্নত দেশগুলো অর্থনৈতিক মন্দা ঘোষণা করলেও বাংলাদেশ সে পথে যায়নি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

অবকাঠামোগত উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়নের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল খরস্রোতা নদী পদ্মার উপর ব্রিজ করা। এটা নিয়ে একটা বিরাট ষড়যন্ত্র হয়েছিল। দুর্নীতির অভিযোগ এনেছিল। আল্লাহর রহমতে সেই দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। আমরা এখানে দুর্নীতি করে নিজের ভাগ্য গড়তে আসিনি; এসেছি জনগণের ভাগ্য গড়তে। বাবা-মা পরিবার হারিয়ে শোকব্যাথা নিয়ে সব হারিয়ে দেশের জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে এসেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে তিন বছরে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ে তোলার কাজ শুরু করেন। একটি টাকাও রিজার্ভ ছিল না সেই সময়, কোনো কারেন্সি ছিল না। সেই অবস্থা থেকে তিনি দেশকে গড়ে তুলে স্বল্পোন্নত দেশে পরিণত করেছিলেন। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে এখন আমরা উন্নয়নশীল দেশ গড়তে পেরেছি, এটাই আমাদের অর্জন।

সারাবাংলা/এনআর/আইই

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন