বিজ্ঞাপন

‘লন্ডনের ডান হাত ফখরুল নয় খসরু, আমরা সব জানি’

February 11, 2023 | 5:08 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বিএনপির উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কার পায়ের তলায় মাটি আছে? কার পায়ের তলায় নাই? এটা প্রমাণ করতে হবে নির্বাচনে। নির্বাচনে প্রমাণ হবে, জনগণ কাদের পক্ষে। জনগণের ইচ্ছাই আমাদের ইচ্ছা।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, আমির খসরু সাহেব আঁটঘাট বেঁধে নেমেছেন? লন্ডনের (তারেক রহমান) ডান হাত আপনি, ফখরুল নয়। আমরা জানি, সব গোপন খবর আপনি পান।

শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জুবিলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

জাতীয় নির্বাচন অবধি আওয়ামী লীগ মাঠে থাকবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পালিয়ে যাবে কারা?পালিয়েছে তো তারেক রহমান। আপনাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। কবে যে ভারমুক্ত হবে? ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লুকিয়ে আছে লন্ডনে।’

বিজ্ঞাপন

‘ওবায়দুল কাদের ওয়ান-ইলেভেনে পালায়নি জেলে গেছে। সাহস আছে আপনাদের। সাহস ছিল আপনাদের নেতার। পালিয়ে গেল কেন? ওখানে বসে বসে ফেসবুকে লাইভ দিয়ে হুংকার ছুঁড়ে? সৎসাহস থাকলে দেশে আসুন মোকাবিলা হবে রাজপথে।’

বিএনপির আন্দোলনের গতিকে ঘোড়ার ডিমের সঙ্গে তুলনা করে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘আমির খসরু সাহেব আঁটঘাট বেঁধে নেমেছেন জানি? লন্ডনের ডান হাত আপনি ফখরুল নয়। জানি আমরা সব গোপন খবর আপনি পান। জানিয়ে দিচ্ছি, আমরা কিন্তু মাঠে আছি। আমরা রাজপথে আছি। তলে তলে কি কৌশল করছেন জানি? ভোটে জিততে পারবেন না। সেই জন্য এখন চোরাগুপ্তা পথে আবারও আগুন সন্ত্রাস করবেন। প্রস্তুতি নিচ্ছেন জঙ্গিবাদকে আবারও মাঠে নামাবেন তার ইশারা আলামত আমরা বুঝতে পারছি।’

দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘এবার আগুন নিয়ে পোড়াতে আসলে ওই হাত আমরা পুড়িয়ে দেবেন। যে হাতে আগুন দেবে সেই আগুনে পুড়িয়ে দেব। যে হাতে ভাংচুর করবে, সেই হাত আমরা ভেঙ্গে দেব। আক্রমণে যাবেন না, আক্রমণ করলে পাল্টা আক্রমণ করতেই হবে।’

বিজ্ঞাপন

২০১৩ থেকে ২০১৪ সালে বিএনপির আগুন সন্ত্রাসের প্রসঙ্গ তুলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এবার যদি বিএনপি আগুন নিয়ে আসে এবার যদি সন্ত্রাস করতে আসে, সন্ত্রাসের কালো হাত আমরা গুড়িয়ে দেব।’

খেলা হবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘খালি মাঠে গোল দেব না। শক্ত খেলা চাই। বিএনপি শেষ পর্যন্ত পানি ঘোলা করে আসবে, শেষ বেলায় আসবেন। গতবারও আসবে না শেষ পর্যন্ত এলো। না এসে যাবে না কোথায়? একজন পালিয়েছে (তারেক রহমান) বাকিরাও পালাবার পথ খুঁজবে। আওয়ামী লীগ পালায় না।’

আওয়ামী লীগ ভয় পায় না দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তারাই এখন অভ্যুত্থান থেকে আহত গণআন্দোলন নিয়ে ভয়ে ভয়ে পদযাত্রায় নেমেছে। অতঃপর কি? ডিসেম্বরে ইলেকশন। কথায় কথায় বলেন, সরকারের পায়ের তলায় নাকি মাটি নেই। কার পায়ের তলায় মাটি আছে? কার পায়ের তলায় নাই? এটা প্রমাণ করতে হবে নির্বাচনে। নির্বাচনে প্রমাণ হবে, জনগণ কাদের পক্ষে। শেখ হাসিনার সৎসাহস আছে। তিনি বলেছেন, হেরে গেলে আমরা বিদায় নেব। জনগণের ম্যাজিস্ট্রেসির কাছে আমরা মাথা নত করি। জনগণের ইচ্ছাই আমাদের ইচ্ছা। আমরা মেনে নেব।’

জাতীয় নির্বাচনে ফাইনাল খেলায় জন্য দলের নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘ঠিকঠাক মতো পার্টিটা করেন। ক্ষয়ক্ষতি অনেক হয়েছে। অন্তর কলহের আগুন জ্বালাবেন না। দলকে এক রাখুন। আওয়ামী লীগ এক থাকলে এই দেশে কোন রাজনৈতিক শক্তি নেই আওয়ামী লীগকে হারাতে পারে। আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে হবে। মশারির মধ্যে মশারি খাটাবেন না।’

বিজ্ঞাপন

সম্মেলনে নূরুল হুদা মুকুটকে সভাপতি এবং নোমান বখত পলিনকে সাধারণ সম্পাদক করে সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। তারা দুইজনই গত কমিটিতে সহসভাপতি ছিলেন। একইসঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক সভাপতি মতিউর রহমানকে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য করা হয়েছে। এছাড়া সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এনামুল কবিরকে জাতীয় কমিটির সদস্য হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে।

সম্মেলনের উদ্বোধক ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে বক্তব্য দেন সভাপতিমন্ডলীর সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেছা হক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, উপ দফতর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় কার‌্যনির্বাহী সদস্য ডা. মুশফিক হোসেন, আজিজুস সামাদ আজাদ ডন। এছাড়া পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান, স্থানীয় সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, মুহিবুর রহমান মানিকসহ স্থানীয় নেতারাও বক্তব্য দেন।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমানের সভাপতিত্বে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলন পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক এনামুল কবির। সকালে জাতীয় সংগীতের সুরে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়।

সারাবাংলা/এনআর/ইআ

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন