বিজ্ঞাপন

ঢাকা ফাঁকা, মহাসড়কে ধীরে চলছে গাড়ি

April 21, 2023 | 7:00 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ঘন্টার পর ঘন্টা যে সড়কে যানজটে আটকে থাকতে হতো, সেই সড়কে এখন বহুদূর পর্যন্তও একটি গাড়ি চোখে পড়ে না। নেই মানুষের কোলাহল। এ যেন চিরচেনা ঢাকার এক ভিন্ন রূপ। রাজধানীর ব্যস্ততম মতিঝিল, কাঁকরাইল, শাহবাগ, ফার্মগেট, বিজয় স্মরণীর মতো গাড়িতে ঠেঁসে থাকা প্রধান সড়কগুলো এখন একেবারেই ফাঁকা।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (২১ এপ্রিল) বিকেল পর্যন্ত রাজধানীর প্রধান প্রধান সড়কে গাড়ি চলাচল একেবারেই কম দেখা গেছে।

এদিকে রাজধানীর সড়ক ফাঁকা দেখা গেলেও মহাসড়কে গাড়ির চাপ বেড়ে যাওয়ায় চাকা চলছে ধীরগতিতে। বিশেষ করে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়কের ৬ কিলোমিটার এলাকায় যানবাহনের ধীরগতি তৈরি হয়েছে।

এবার ঈদের তিনদিন আগে ছুটি শুরু হওয়ায় অনেক আগেই ঘরমুখো মানুষ বাড়ি চলে গেছেন। ফলে ঈদের আগের দিন ঢাকা প্রায় ফাঁকা হয়ে গেছে। শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মোহাম্মদপুর, আসাদগেট, শ্যামলী, কল্যানপুর, ধানমন্ডি, সায়েন্সল্যাব, কলাবাগান, মহাখালি, এয়ারপোর্ট, গুলশান, বনানী, কাকলী, বাড্ডা, বিশ্বরোড এলাকার সড়কে কিছু প্রাইভেট কার ও মোটরসাইল চলাচল ছাড়া প্রায় ফাঁকা দেখা গেছে। ছোট ছোট সড়কগুলোতে রিক্সার চলাচল দেখা গেলেও উপস্থিতি কম ছিল গণপরিবহনের।

বিজ্ঞাপন

বিকল্প পরিবহনের যাত্রী সুমন আহমেদ জানান, মিরপুর থেকে ২০ মিনিটে মতিঝিল চলে এসেছেন। আরেক যাত্রী শিপন মাহমুদ বলেন, অন্য সময়ে জ্যামের কারণে কত সময় নষ্ট করতে হয় রাস্তায়। এখন মাত্র ২০ মিনিটে চলে এসেছি। ভাবছি কতটুকু জায়গা মিরপুর থেকে মতিঝিল, অথচ আমরা দুই আড়াই ঘন্টায়ও পৌঁছাতে পারি না।

ঢাকা ছেড়ে নাড়ির টানে বাড়ি যাচ্ছেন কর্মজীবী মানুষেরা। শেষ মুহুর্তের ঈদযাত্রায় বাস, ট্রাক ও পিকআপসহ যারা যেভাবে পারছেন গন্তব্যে রওয়ানা করেছেন। ঈদযাত্রার শেষ মুহুর্তে উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার সিরাজগঞ্জের মহাসড়কে বরাবরের মতো এবারও ঘরমুখো মানুষ ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে বহুগুন।

বিজ্ঞাপন

জানা যায়, বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপাড়ে আটকে থাকা যানবাহনের চাপ পড়েছে সেতুর পশ্চিমে। ফলে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়কের ৬ কিলোমিটার এলাকায় যানবাহন চলাচলে ধীরগতি তৈরি হয়েছে। তবে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়নি। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক শুক্রবার ফাঁকা থাকার খবর জানা গেছে। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন ১৭ জেলার ২০ হাজারের বেশি যানবাহন চলাচল করে। ঈদ এলে যানবাহনের সংখ্যা কয়েকগুন বেড়ে যায়। কিন্তু এবারের ঈদে তেমন গাড়ির চাপ দেখা যায়নি এ মহাসড়কে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়নগঞ্জের মৌচাক, শিমরাইল মোড়, মদনপুরসহ বেশ কয়েকটি পয়েন্টের মহাসড়ক ফাঁকা ছিল।

রাজধানী রাস্তাঘাট ফাঁকা থাকলেও এখনও ভিড় দেখা গেছে রেলস্টেশন, বাস, লঞ্চ টার্মিনালে। শুক্রবারও (২১ এপ্রিল) প্রতিটি স্টেশনে ছিল ঘরমুখো যাত্রীদের উপচে ভিড়। বিশেষ করে রেলস্টেশনে সকাল থেকেই ভিড় ছিল। টিকিট কেটে যাত্রীদের পাশাপাশি টিকিটবিহিন যাত্রীদেরও ট্রেনে যাতায়াত করতে দেখা গেছে। বাসের ক্ষেত্রে টিকিটের চেয়েও এক থেকে দেড়গুন বাড়তি ভাড়া গুনতে হয়েছে যাত্রীদের।

যাত্রাবাড়ি সায়েদাবাদ বাস স্টেশনে ভিড় বেশি দেখা গেলেও গাবতলী বাস টার্মিনালে যাত্রীদের ভিড় ছিল কম। এ ছাড়া মহাখালী বাস স্ট্যান্টেও তেমন ভিড় ছিল না।

বিজ্ঞাপন

এদিকে বড় বড় শপিং মলগুলো চাঁদ রাতের কেনা-বেচার জন্য অপেক্ষা করছে। সেখানেও ক্রেতাদের ভিড় কম দেখা গেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বৃহস্পতিবারই বেচা-কেনা শেষ প্রায়। এখনও ক্রেতারা আসছেন, তবে সে সংখ্যা একেবারে কম।

উল্লেখ্য, শব-ই কদরের ছুটির সঙ্গে সরকারের নির্বাহী আদেশে একদিন বাড়তি ছুটি পাওয়ায় এবার ঈদের ছুটি টানা ছয়দিন। সে হিসাবে ১৯ এপ্রিল থেকে বন্ধ থাকছে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত।

সারাবাংলা/জেআর/ইআ

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন