বিজ্ঞাপন

‘ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত ও মৃত্যুহার বেশি পার্বত্য চট্টগ্রামে’

June 15, 2023 | 10:49 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: দেশে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত ও মৃত্যুহার সবচেয়ে বেশি পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলা রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে। এছাড়া আরও ৭২টি উপজেলায় ম্যালেরিয়ার প্রকোপ রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) হোটেল শেরাটনে বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস-২০২৩ উপলক্ষে আলোচনা সভায় এ কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

জাহিদ মালেক বলেন, ‘২০০৮ থেকে ২০২২ সালে দেশে ম্যালেরিয়া রোগীর সংখ্যা ও ম্যালেরিয়ায় মৃত্যু হ্রাসের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। ২০০৮ সালের তুলনায় ২০২২ সালে ম্যালেরিয়াজনিত অসুস্থতা শতকরা ৭৯ ভাগ এবং মৃত্যু শতকরা ৯১ ভাগ কমেছে।’

তিনি বলেন, ‘২০২২ সালে দেশে মোট ম্যালেরিয়া রোগী ছিল ১৮ হাজার ১৯৫ জন ও এ রোগে মারা গেছে ১৪ জন। উচ্চ ম্যালেরিয়া প্রবণ তিন পার্বত্য জেলায় ( রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান) মোট ম্যালেরিয়া রোগীর ৯৫ শতাংশ পাওয়া গেছে। ২০২২ সালে ম্যালেরিয়া নির্মূলের আওতাধীন ময়মনসিংহ ও সিলেট অঞ্চলের ৮টি জেলায় মোট ম্যালেরিয়া রোগীর সংখ্যা ছিল মাত্র ১৫ জন। আশা করা যাচ্ছে, এই জেলাগুলোতে ম্যালেরিয়া নির্মূলের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।’

বিজ্ঞাপন

ম্যালেরিয়া প্রবণ অঞ্চলে বসবাসরত জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় ম্যালেরিয়া সেবা বিনামূল্যে প্রদান করা হচ্ছে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

জাহিদ মালেক বলেন, ‘ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিনামূল্যে দীর্ঘমেয়াদী কীটনাশকযুক্ত মশারি প্রদান করা হচ্ছে । জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল কর্মসূচির পক্ষ থেকে ২০০৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১৫ দশমিক ৭ মিলিয়নের দীর্ঘমেয়াদী কীটনাশকযুক্ত মশারি বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘কোভিড-১৯ পরিস্থিতির মাঝেও দেশে ম্যালেরিয়া প্রবণ অঞ্চলে আবশ্যিক ম্যালেরিয়া সেবা প্রদান অব্যাহত ছিল। সব সরকারি হাসপাতাল ও ব্র্যাকসহ সহযোগী এনজিও সংস্থাগুলোর সকল ল্যাবরেটরি ম্যালেরিয়া সনাক্ত ও চিকিৎসা প্রদানের জন্য সব সময় খোলা ছিল।’

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘মাঠ পর্যায়ে সকল সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্যকর্মী / স্বাস্থ্যসেবিকা, সিএইচসিপিগণ ম্যালেরিয়া সেবা প্রদান অব্যাহত রেখেছিল। এনজিওকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ম্যালেরিয়ার সাথে কোভিড-১৯ বিষয়েও জনসচেতনতামূলক বার্তা প্রচার করা অব্যাহত ছিলো। এসব কার্যক্রম ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।’

জাহিদ মালেক বলেন, ‘ম্যালেরিয়া নির্মূলের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সীমান্তবর্তী দেশগুলোতে যাতায়াতকারীদের মধ্যে (Imported) ম্যালেরিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়া। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সীমান্তবর্তী দেশগুলোর সমন্বয় ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কর্মকৌশল নির্ধারণ করা হচ্ছে। এছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহায়তায় ভারতে অঞ্চলের প্রাদেশিক পর্যায়ের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক চলমান রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আন্তঃসীমান্ত চলাচল চিহ্নিত করে তাদের ম্যালেরিয়া বিষয়ে সচেতন করা হচ্ছে। অধিকতর ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর (জুম চাষি, কাঠুরিয় রোহিঙ্গা শরণার্থী, ইত্যাদি) তথ্য সংগ্রহ করে কর্মসূচির আওতায় বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। বাহক নিয়ন্ত্রণ এবং কীটতাত্ত্বিক নিরীক্ষণ কার্যক্রমকে জোরদার করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসবি/একে

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন