বিজ্ঞাপন

শোক থেকে শক্তি: বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে বদলে যাওয়া বাংলাদেশ

August 8, 2023 | 1:35 pm

অরুণ কুমার গোস্বামী

আগস্ট মাস শোকের মাস। বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা নিজের ও বাঙালি জাতির এই শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করে বাংলাদেশকে মানবাধিকার ও উন্নয়নের পথে বিস্ময়করভাবে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নির্বাচিত সরকার প্রধান জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে মূলত গণতন্ত্রকেই হত্যা করেছিল খুনী খোন্দকার মোশতাক এবং জিয়াউর রহমানের অনুসারীরা। বঙ্গবন্ধুর সরকার যখন যুদ্ধবিধ্বস্ত স্বাধীন স্বদেশ বাংলাদেশকে পুনর্গঠন করার কাজ পূর্ণোদ্যমে করছিলেন এবং তা থেকে সুফলও আসছিল ঠিক সেই মূহুর্তে সমগ্র বাংলাদেশের পুনর্গঠন, মানবাধিকার ও উন্নয়ন প্রভৃতি সবকিছুই পিছিয়ে নেয়ার লক্ষ্য নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীরা সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল।

বিজ্ঞাপন

বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা তখন বিদেশে থাকার কারণে প্রাণে রক্ষা পেয়েছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর এমনকি বিদেশের মাটিতেও বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা নিরাপদ ছিলেন না। বিদেশ যাওয়ার সময় যাদেরকে জীবিত দেখে গিয়েছিলেন ১৯৭৫ সালে, ১৯৮১ সালে যখন বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ্য কন্যা শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন তখন তাদের কেউই আর জীবিত ছিলেন না। ঘাতকের নির্মম বুলেট তাদের প্রত্যেকের প্রাণহরণ করেছিল! বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ নাসের, বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মন্ত্রী আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শেখ ফজলুল হক মণি, বঙ্গবন্ধুর জেষ্ঠ্য পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, বঙ্গবন্ধুর আর এক পুত্র শেখ জামাল, শেখ কামালের নবপরিণীতা বধূ সুলতানা কামাল, শেখ জামালের নবপরিণীতা বধূ রোজি জামাল, বঙ্গবন্ধুর কণিষ্ঠ শিশু পুত্র শেখ রাসেল এমনি করে ১৮ জনকে খুনীরা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যা করেছিল। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর থেকে বাংলাদেশকে পাকিস্তানীকরণের নীল নকশা বাস্তবায়নের পথ ধরে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং উন্নয়ন চরমভাবে থমকে গিয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের পর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করার মাধ্যমে বাংলাদেশকে মানবাধিকার সংরক্ষণ ও উন্নয়নের পথে অপ্রতিহত গতিতে এগিয়ে নিচ্ছেন। বর্তমান লেখায় এবিষয়টির প্রতি সংক্ষেপে আলোকপাত করা হচ্ছে।

২০০৬-এর পর বিশেষত ২০০৮এর নির্বাচনে বিএনপি-জামাতের অপশাসন হতে মুক্ত হবার পর থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটের দিক দিয়ে ‘বদলে যাওয়া দৃশ্যপট’ বাংলাদেশ প্রত্যক্ষ করছে। আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটের দিক দিয়ে ‘বদলে যাওয়া দৃশ্যপট’ অনেকটা এমন-

২০০৬ বিএনপি-জামাত জোট আমলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৫.৪০ শতাংশ
২০২৩ আওয়ামী লীগ সরকার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৭.২৫ শতাংশ

বিজ্ঞাপন

মন্তব্য: করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে প্রবৃদ্ধি সাময়িক বাধাগ্রস্ত হয়েছে

২০০৬ বিএনপি-জামাত জোট আমলে মাথাপিছু আয়(নমিনাল) ৫৪৩ মার্কিন ডলার
২০২৩ আওয়ামী লীগ সরকার মাথাপিছু আয়(নমিনাল) ২৭৯৩ মার্কিন ডলার

মন্তব্য: ৫ গুণ বৃদ্ধি

বিজ্ঞাপন

২০০৬ বিএনপি-জামাত জোট আমলে মাথাপিছু আয়(পিপিপি) ১৭২৪ মার্কিন ডলার
২০২৩ আওয়ামী লীগ সরকার মাথাপিছু আয়(পিপিপি) ৮৭৭৯ মার্কিন ডলার

মন্তব্য: ৫ গুণ বৃদ্ধি

২০০৬ বিএনপি-জামাত জোট আমলে বাজেটের আকার ৬১ হাজার কোটি টাকা
২০২৩ আওয়ামী লীগ সরকার বাজেটের আকার ৭ লক্ষ ৬১ হাজার কোটি টাকা

মন্তব্য: ১২ গুণ বৃদ্ধি

বিজ্ঞাপন

২০০৬ বিএনপি-জামাত জোট আমলে জিডিপির আকার ৪ লক্ষ ১৫ হাজার ৭২ কোটি টাকা
২০২৩ আওয়ামী লীগ সরকার জিডিপির আকার ৫০.৩১ লক্ষ কোটি টাকা

মন্তব্য: ১২ গুণ বৃদ্ধি

২০০৬ বিএনপি-জামাত জোট আমলে জিডিপি বিবেচনায় বিশ্বে বাংলাদেশের অগ্রণী অবস্থান ৬৩তম বৃহৎ অর্থনীতি
২০২৩ আওয়ামী লীগ সরকার জিডিপি বিবেচনায় বিশ্বে বাংলাদেশের অগ্রণী অবস্থান ৩৫তম বৃহৎ অর্থনীতি

মন্তব্য: ২৯ ধাপ উন্নতি

২০০৬ বিএনপি-জামাত জোট আমলে মানুষের জীবনমান, দারিদ্র্য হার ৪১.৫১ শতাংশ
২০২৩ আওয়ামী লীগ সরকার মানুষের জীবনমান, দারিদ্র্য হার ১৮.৭ শতাংশ

মন্তব্য: প্রায় ৩ গুণ কমেছে

২০০৬ বিএনপি-জামাত জোট আমলে মানুষের গড় আয়ু ৫৯ বছর
২০২৩ আওয়ামী লীগ সরকার মানুষের গড় আয়ু ৭২.৮ বছর

২০০৬ বিএনপি-জামাত জোট আমলে মানবসম্পদ উন্নয়ন সূচক ১৫৪তম
২০২৩ আওয়ামী লীগ সরকার মানবসম্পদ উন্নয়ন সূচক ১২১তম

মন্তব্য: ২৫ ধাপ উন্নতি

২০০৬ বিএনপি-জামাত জোট আমলে স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ব্যবহার ৪৩.২৮%
২০২৩ আওয়ামী লীগ সরকার স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ব্যবহার ৯৭.৩২%

মন্তব্য: ৪৩.৭% বৃদ্ধি

২০০৬ বিএনপি-জামাত জোট আমলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাতে, বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষমতা ৩ হাজার ৭৮২ মেগাওয়াট
২০২৩ আওয়ামী লীগ সরকার বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাতে, বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষমতা ২৫ হাজার ২২৭ মেগাওয়াট

মন্তব্য: ৯ গুণ বৃদ্ধি

২০০৬ বিএনপি-জামাত জোট আমলে শিক্ষা, সাক্ষরতার হার ৪৫%
২০২৩ আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষা, সাক্ষরতার হার ৭৫.৬%

২০০৬ বিএনপি-জামাত জোট আমলে কৃষি, সামগ্রিক কৃষি উৎপাদন ২ কোটি ৬১ লক্ষ টন
২০২৩ আওয়ামী লীগ সরকার কৃষি, সামগ্রিক কৃষি উৎপাদন ৯ কোটি ৭৯ লক্ষ ১৮ হাজার ৮ শত মেট্রিকটন

মন্তব্য: প্রায় ৪ গুণ বৃদ্ধি

২০০৬ বিএনপি-জামাত জোট আমলে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে, ইন্টারনেট ব্যবহার ০.২৩ শতাংশ জনগোষ্ঠী
২০২৩ আওয়ামী লীগ সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে, ইন্টারনেট ব্যবহার ৭৩.৫৫ শতাংশ জনগোষ্ঠী

২০০৬ বিএনপি-জামাত জোট আমলে মোবাইল ফোন সিম চালু আছে ১৯ মিলিয়ন
২০২৩ আওয়ামী লীগ সরকার মোবাইল ফোন সিম চালু আছে ১৮৩.৫৩ মিলিয়ন

২০০৬ বিএনপি-জামাত জোট আমলে সামাজিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বরাদ্দ ২ হাজার ৫০৫ কোটি টাকা (মোট বাজেটের ৪.০১%)
২০২৩ আওয়ামী লীগ সরকার সামাজিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বরাদ্দ ১ লক্ষ ২৬ হাজার ১৭১ কোটি টাকা মোট বাজেটের ১৬.৫৮ %)

মন্তব্য: ৫০ গুণ বৃদ্ধি

২০০৬ বিএনপি-জামাত জোট আমলে নারী উন্নয়নে, শিক্ষা সমতায় বাংলাদেশের বৈশ্বিক অবস্থান ৯১তম
২০২৩ আওয়ামী লীগ সরকার নারী উন্নয়নে, শিক্ষা সমতায় বাংলাদেশের বৈশ্বিক অবস্থান ৫৯তম

মন্তব্য: ৩২ ধাপ অগ্রগতি

২০০৬ বিএনপি-জামাত জোট আমলে স্বাস্থ্য সেবা খাতে, হাসপাতালের সংখ্যা ৩৩,৫৭৯
২০২৩ আওয়ামী লীগ সরকার স্বাস্থ্য সেবা খাতে, হাসপাতালের সংখ্যা ৬৪,৫৪৬

মন্তব্য: প্রায় ২ গুণ বৃদ্ধি

২০০৬ বিএনপি-জামাত জোট আমলে যোগাযোগ অবকাঠামো, জেলা, আঞ্চলিক ও জাতীয় মহাসড়ক ১২,০১৮ কিলোমিটার
২০২৩ আওয়ামী লীগ সরকার যোগাযোগ অবকাঠামো, জেলা, আঞ্চলিক ও জাতীয় মহাসড়ক ৩২, ৬৭৮ কিলোমিটার

মন্তব্য: প্রায় ৩ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে

সূত্র : গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার

অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বিস্ময়কর প্রবৃদ্ধি অর্জন, মাথাপিছু আয়(নমিনাল) লক্ষণীয় বৃদ্ধি, মাথাপিছু আয়(ক্রয় ক্ষমতার সমতা/পিপিপি) লক্ষণীয় বৃদ্ধি, বাজেটের আকার লক্ষণীয়ভাবে বৃদ্ধি, জিডিপির আকার লক্ষণীয় বৃদ্ধি, জিডিপি বিবেচনায় বিশ্বে বাংলাদেশের অগ্রণী অবস্থান; মানুষের জীবনমান বৃদ্ধি; বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাতে অভাবনীয় অগ্রগতি; শিক্ষা ও কৃষি খাতে বিস্ময়কর অগ্রগতি; ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে এগিয়ে যাওয়া; সামাজিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে অভাবনীয় সফলতা; নারী উন্নয়নে বিস্ময়কর অগ্রগতি; স্বাস্থ্য সেবা খাতে লক্ষণীয় উন্নতি; যোগাযোগ অবকাঠামো খাতে বিস্ময়কর অগ্রগতি; ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্তরাষ্ট্র নির্মাণের পথে তাৎপর্যপূর্ণ অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক ১৯৯৭ সাল হতে ২০২৩ সাল পর্যন্ত মোট ৮ লক্ষ ৩২ হাজার ৭১২ টি পরিবারকে অর্থাৎ ৪১ লক্ষ ৬৩ হাজার ৫৬০ জন মানুষকে গৃহ প্রদানের মাধ্যমে পুনর্বাসন করা হয়েছে।

এছাড়া কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ২০০৬ সালে বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আমলে ছিল ৬ কোটি ৭৮ লক্ষ জন। আওয়ামী লীগ সরকারের গৃহীত স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও জীবনমান বৃদ্ধির কারণে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী প্রায় ২ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৩ সালে দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৩৩ লক্ষ জনে। বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আমলে ২০০৬ সালে বেকারত্বের হার ছিল ৬.৭৭%। ২০২৩ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তা হ্রাস পেয়ে ৩.৬% হয়েছে। বার্ষিক বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আমলে ২০০৬ সালে ৭ লক্ষ ১ হাজার ৮৮ জন। ২০২৩ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তা বৃদ্ধি পেয়ে ১১ লক্ষ ৩৫ হাজার ৮৭৭ জন হয়েছে। বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আমলে ২০০৬ সালে ৪ কোটি ৩ লক্ষ জন ছিল দেশে মোট কর্মসংস্থান। ২০২৩ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তা প্রায় ২ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ৭ কোটি ৭৩ লক্ষ জন হয়েছে। বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আমলে ২০০৬ সালে বাংলাদেশ রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ এলাকা বেপজা) এর আওতাধীন চালুকৃত শিল্প প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ২১৬টি। ২০২৩ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৪৫২ টি হয়েছে।

বিশ্বব্যাংকের মতে, বর্তমান বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী দ্রুততম বর্ধনশীল অর্থনীতির মধ্যে একটি। বাংলাদেশের জনসংখ্যাগত লাভ(ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট), শক্তিশালী তৈরি পোশাক (আরএমজি) রপ্তানি এবং স্থিতিশীল সামষ্টিক অর্থনৈতিক অবস্থার দ্বারা সমর্থিত। কিন্তু সবচেয়ে যেটি অপরিহার্য তা হচ্ছে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা। যা দেশটির উন্নয়নকে টেকসই আকারে এগিয়ে নিচ্ছে।

গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত বঙ্গবন্ধুর সরকার ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সালের মধ্য আগস্ট পর্যন্ত মাত্র সাড়ে তিন বছর ক্ষমতায় থাকা কালে গণতন্ত্র ও সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের পুনর্গঠন তথা উন্নয়নের জন্য বিস্ময়করভাবে গুরুত্বপূর্ণ সফলতা অর্জন করেছিলেন। নির্বাচিত সরকার প্রধান বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও উন্নয়ন তথা মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই সংগ্রাম করে নির্বাচিত হয়ে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ এবং ২০০৯ থেকে অদ্যাবধি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বের মুক্তিযুদ্ধ সরকারের অভূতপূর্ব সফলতা বাংলাদেশকে ‘উন্নয়নের রোল মডেল’-এ পরিণত করেছে। এর সম্পূর্ণ বিপরীতে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শবিরোধী অগণতান্ত্রিক পন্থায় বল প্রয়োগের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলকারী পরপর দুই জন সামরিক স্বৈরশাসক জেনারেল জিয়াউর রহমান, জেনারেল এরশাদ এবং নব্বইয়ের পরে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বের বেসামরিক সরকারের সাম্প্রদায়িকতা ও পশ্চাতপদতার শাসনামলগুলো ছিল মানবাধিকার লঙ্ঘনের মহিরূহ, অগণতান্ত্রিক এবং “উন্নয়ন হারানো”র শাসনামল। এর বিপরীতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় মানবাধিকার সংরক্ষণ ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের বিস্ময়কর অগ্রগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশ্বব্যাংকের মতে, বাংলাদেশ এখন বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল অর্থনীতির মধ্যে অন্যতম। এসবই বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ধারাবহিকতার ফসল। একারণে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অপরিহার্য। তবেই কেবল গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতার সাথে উন্নয়নের ধারাবাহিকতাও অব্যাহত থাকবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী বাংলাদেশের সচেতন দেশপ্রেমিক জনগণ বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডের ধারাবাহিকতা মনে প্রাণে আশা করে।

লেখক: পরিচালক, সেন্টার ফর সাউথ এশিয়ান স্টাডিজ; সাবেক ডিন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, সাবেক চেয়ারম্যান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক, বঙ্গবন্ধু পরিষদ

সারাবাংলা/এসবিডিই

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন