বিজ্ঞাপন

১৪ বছরে মাথাপিছু আয় বেড়েছে ৪ গুণ— সংসদে প্রধানমন্ত্রী

September 13, 2023 | 6:51 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিগত ১৪ বছরে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপেরে কারণে মাথাপিছু আয় ৬৮৬ মার্কিন ডলার থেকে চার গুণ বেড়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ২ হাজার ৭৬৫ মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদে নোয়াখালী ৩ আসনের সংসদ সদস্য মো. মামুনুর রশীদ কিরনের এক প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ তথ্য জানান।

গত ১৪ বছরে বাংলাদেশে ৬ দশমিক ৭ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘কোভিডকালীন বাংলাদেশ ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করে। কিন্তু অতি অল্প সময়ের মধ্যে অর্থাৎ পরবর্তী বছরেই উচ্চ প্রবৃদ্ধিতে ফিরে আসে। ২০২০-২১ ও ২০২১-২২ অর্থবছরে যথাক্রমে ৬ দশমকি ৯৪ ও ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়।’

তিনি জানান, জিডিপির আকার অনুযায়ী ২০০৮-০৯ অর্থবছরে বাংলাদেশ ছিল বিশ্বের ৬০তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। ১৪ বছরের ব্যবধানে ৩৫তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছে। যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর ইকোনোমিকস অ্যান্ড বিজনেস রিসার্সের ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসের প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশ ২০৩৭ সালে ২০তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে।’

বিজ্ঞাপন

শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি বিশ্বব্যাংকের মানদণ্ড অনুযায়ী বাংলাদেশ নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। ২০২১ সালে বাংলাদেশ জাতিসংঘের মানদণ্ড অনুযায়ী স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের জন্য চূড়ান্ত স্বীকৃতি লাভ করেছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৭ সালের জরিপে দেশে মোট কর্মসংস্থান ছিল ৪ কোটি ৭৩ লাখ। গত দেড় দশকে আমাদের সরকার নতুন ২ কোটি ৩৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। ২০২৩ সালের জরিপ অনুযায়ী, দেশে এখন মোট কর্মসংস্থান দাঁড়িয়েছে ৭ কোটি ১১ লাখ। বেকারত্বের হার ২০১০ সালের ৪ দশমিক ৫ শতাংশ হতে ২০২২ সালে ৩ দশমিক ২ শতাংশে নেমে এসেছে। কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ ২০১৬ সালে ৩৬ দশমিক শূন্য শতাংশ হতে ২০২২ সালে ৪২ দশমিক ৭ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। পণ্য ও সেবা রফতানি আয় ২০০৭-০৮ অর্থবছরের ১৪ দশমিক ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে প্রায় চার গুণের বেশি বেড়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৫৫ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে।’

সরকার প্রধান বলেন, ‘২০০৭-০৮ অর্থবছরে দেশে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১২ দশমিক ৩ শতাংশ। গত ১৪ বছরে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা, খাদ্য ও জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি, করোনা মহামারি ইত্যাদির পরও সরকার ধারাবাহিকভাবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছে। এ সময়ে বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশের মধ্যে সীমিত ছিল। ২০২১-২২ অর্থবছরেও গড় মূল্যস্ফীতি ছিল ৬ দশমিক ১৫ শতাংশ।’

বিজ্ঞাপন

শেখ হাসিনা বলেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে চলতি অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি বাড়লেও সরকার এটির নিয়ন্ত্রণ ও জনগণের ওপর এর প্রভাব প্রশমনে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। দারিদ্র্যের হার ২০০৫ সালের ৪০ শতাংশ হতে অর্ধেকেরও বেশি কমে ২০২২ শালে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে নেমে এসেছে। একই সময়ে অতি দারিদ্র্যের হার ২৫ দশমিক ১ শতাংশ থেকে তিন-চতুর্থাংশ কমে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ হয়েছে।’

সারাবাংলা/এএইচএইচ/পিটিএম

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন