বিজ্ঞাপন

‘সন্দেহ হলেই সরকারি চাকরিজীবীদের ডোপ টেস্ট’

October 18, 2023 | 6:31 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: শুধু চাকরিতে প্রবেশের সময় নয়, সন্দেহ হলে যে কোনো সময় সরকারি চাকরিজীবীদের মাদকাসক্ত শনাক্তকরণ পরীক্ষা (ডোপ টেস্ট) করা হবে। মাদকাসক্ত শনাক্তকরণের এই পরীক্ষার নামও বদলাতে যাচ্ছে সরকার। নতুন নামে এটিকে বলা হবে ‘ড্রাগ অ্যাবিউজ টেস্ট’।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (১৮ অক্টোবর) সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, আগে সিদ্ধান্ত ছিল চাকরিতে (প্রবেশের সময়) ডোপ টেস্ট হবে। তবে, একটা সমস্যা দেখা দিয়েছে, ৭২ ঘণ্টা পরে এটা পরীক্ষা করলে (মাদকাসক্ত কি-না) বোঝা যায় না। সেজন্য সিদ্ধান্ত হয়েছে চাকরিরত যারা আছেন, সন্দেহজনক হলে যে কোনো সময় ডোপ-টেস্ট করা হবে। টেস্টের নামটিও পরিবর্তন করা হচ্ছে। ড্রাগ অ্যাবিউজ টেস্ট নাম দেওয়া হবে। এজন্য নতুন নীতিমালা তৈরি করা হবে।

তিনি বলেন, মাদক আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক। এটা জাতির জন্য খুবই অ্যালার্মিং। বিশেষ করে যুব সমাজ, এদিকে ঝুঁকে পড়ছে। আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এটাকে দমন করতে এসব মাদক ও নেশার দ্রব্য যাতে দেশে প্রবেশ না করে সেজন্য আরও বেশি সচেতন ও তৎপর হতে হবে। এজন্য যেসব রুটে এসব আসে সে রুটগুলো বন্ধ করার জন্য কমিটি নির্দেশনা দিয়েছে। একইসঙ্গে অভিভাবকদের কাছে আবেদন থাকবে তাদের সন্তানরা কী করেন, সে ব্যাপারে তারা যেন সচেতন থাকেন। মসজিদ, মন্দিরসহ ধর্মীয় উপাসানলয় থেকেও যেন মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা যায়, সে ব্যাপারে তারাও কাজ করবেন, এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, পূজা আসন্ন, সে সময় আইনশৃঙ্খলা যাতে বিঘ্ন না হয়, নির্বিঘ্নে যাতে ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করতে পারেন, সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নজর রাখবে। সিসি ক্যামেরা স্থাপনের নির্দেশনা দিয়েছি। এটি নিশ্চিত করতে ডিসি ও ইউএনওদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, অবৈধ অস্ত্র, নাশকতামূলক কাজ, ধর্মীয় উসকানি ও আইনশৃঙ্খলার অবনতি করার জন্য প্রবণতা কিছু কিছু রাজনৈতিক দলের মধ্যে দেখা যাচ্ছে। সে ব্যাপারে যাতে সবসময় সতর্ক থাকা যায়, এ রকম কোনো অঘটন যাতে ঘটাতে না পারে, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যাতে সব সময় সচেতন থাকতে পারে, সেই বিষয়গুলো নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।

তিনি বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করার জন্য বিভিন্ন বাহিনীর মধ্যে সমন্বয়ে জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বাহিনীগুলোর এ সমস্ত কাজ তিনি সমন্বয় করবেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানরাও সেখানে থাকবেন। আইনশৃঙ্খলার অবনতি করার যদি প্রচেষ্টা থাকে, তবে বিভিন্ন বাহিনীর সঙ্গে বসে সেসব বিষয় পর্যালোচনা করে কি করা যায়, সে বিষয়ে সমন্বয় করবেন। মূল দায়িত্ব তো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ওপর আছেই। মন্ত্রীকে আরও সহযোগিতা করার জন্য।

বিজ্ঞাপন

রাজনৈতিক কর্মসূচিতে কোনো বাধা নেই জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আরও বলেন, রাজনৈতিক কাজে কোনো বাধা নেই। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। আন্ডারগ্রাউন্ড পার্টি ছাড়া প্রতিটি দলের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করবে, সরকার কারও কাজেই বাধা দেয় না, দেবেও না। যার যার দল কর্মসূচি নিয়ে সভা-সমিতি নির্বিঘ্নে করে যাচ্ছে। যদি জনজীবন অচল করার প্রচেষ্টা করে, সেক্ষেত্রে ভালোমতো চললে সেটা তো তার অধিকার। সরকারের পক্ষ থেকে কোনো দলের কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। বর্তমান রজনৈতিক পরিস্থিতিতে আমরা উদ্বিগ্ন না। গণতান্ত্রিক অধিকারের মতো যে যার কাজ করছে। সরকারের বাধা দেওয়ার কিছু নেই।

সারাবাংলা/জেআর/এনইউ

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন