বিজ্ঞাপন

জাতিসংঘের সভায় বাংলাদেশের মানবাধিকার পর্যালোচনা

November 13, 2023 | 7:34 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় বাংলাদেশের মানবাধিকার প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। পরে জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলো বাংলাদেশের প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছে। দেশগুলো বাংলাদেশের প্রশংসাও করে।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (১৩ নভেম্বর) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টায় চতুর্থবারের মতো বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

জাতিসংঘের পর্যালোচনা সভায় দেশগুলো বাংলাদেশকে যেসব জায়গায় উন্নতির সুপারিশ করেছে তা হলো— বলপূর্বক গুমের বিরুদ্ধে সব ব্যক্তিকে সুরক্ষা, মৃত্যুদণ্ডের ওপর স্থগিতাদেশ দেওয়া ও পরে তা বাতিল করা এবং সমকামী সম্পর্ককে অপরাধ হিসেবে বিবেচনা না করা।

এ ছাড়া দেশগুলোর পক্ষ থেকে বিনামূল্যে মানসম্পন্ন শিক্ষার অধিকার সম্প্রসারণ, বাল্য বিবাহ ও শিশুশ্রম বন্ধ করা, মানব পাচারের বিরুদ্ধে লড়াই, প্রতিবন্ধীদের অধিকার বৃদ্ধি, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কমানোর প্রচেষ্টা বাড়ানোর পরামর্শও এসেছে।

বিজ্ঞাপন

পর্যালোচনা সভায় যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে যেসব পরামর্শ দিয়েছে তা হলো— মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য নিরাপত্তা সংস্থাগুলোকে দায়বদ্ধ রাখা, মানবাধিকার নেতা ও শ্রমিক নেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং সব নাগরিকের জন্য সুষ্ঠু ও বিনামূল্যে বিচার নিশ্চিত করা।

যুক্তরাজ্যের পরামর্শগুলো হলো— বিধিনিষেধ ছাড়া মত প্রকাশ ও সমাবেশের স্বাধীনতা, বিচার বিভাগের পূর্ণ স্বাধীনতা, নারী ও মেয়েদের অধিকার সুরক্ষা এবং লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা থেকে মুক্ত জীবন নিশ্চিত করা।

দেশগুলো বাংলাদেশের চরম দারিদ্র্য হ্রাস, সবার জন্য মানসম্পন্ন শিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণ, স্বাস্থ্যসেবাপ্রাপ্তির উন্নতি, সামাজিক নিরাপত্তা নীতি বৃদ্ধি, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব হ্রাস এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রচেষ্টার ভূয়সী প্রশংসা করেছে।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশের প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি প্রতিবেদনে জাতিসংঘের মানবাধিকার কৌশলে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্টতা তুলে ধরেন। বাংলাদেশের সংসদ, বিচার ব্যবস্থা, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা, আইন কমিশনের কাঠামো ও কর্মপ্রণালী বিস্তারিত আলোচনা করেন আইনমন্ত্রী।

২০১৮ থেকে ২০২২ সালে মানবাধিকার রক্ষা ও প্রচারের জন্য প্রণীত আইনগুলো সভায় তুলে ধরেন মন্ত্রী। এ ছাড়া অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ভিত্তি আরও শক্তিশালী করার জন্য গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ আরও শক্তিশালী করতে সংশোধন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

২০১৮ থেকে ২০২২ সময়কালে মানবাধিকার সমুন্নত রাখার জন্য সরকারি পরিকল্পনা ও কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য নেওয়া নীতিগুলোও জাতিসংঘের সভায় তুলে ধরে বাংলাদেশ। এ ছাড়া শ্রমিক, ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের অধিকার, নারী অধিকার, প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর অধিকার, তৃতীয় লিঙ্গ জনগোষ্ঠীর অধিকার নিশ্চিতে বাংলাদেশের প্রচেষ্টা ও সাফল্য তুলে ধরা হয়েছে প্রতিবেদনে। সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা, রোহিঙ্গা ইস্যু, মাদক চোরাকারবারিসহ নানা প্রসঙ্গে বাংলাদেশের প্রতিবেদনে বিস্তারিত উঠে এসেছে।

জাতিসংঘের সভায় বাংলাদেশকে পর্যালোচনার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত তিন প্রতিনিধি (‘ট্রয়কা’) দেশ ছিল কিউবা, পাকিস্তান ও রোমানিয়া।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আইই/টিআর

Tags: , , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন