বিজ্ঞাপন

সরকার এখন শুধু রুটিন কাজ করবে: আইনমন্ত্রী

November 16, 2023 | 3:22 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার পর থেকে শুরু হয়েছে ক্ষণগণনা। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনকালীন সময়ে সরকার শুধুমাত্র রুটিন কাজ করবে। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, এই সময়ে সরকার শুধুমাত্র রুটিন কাজ করবে। কোনো নীতি নির্ধারনী সিদ্ধান্ত নেবে না। অর্থাৎ গণতান্ত্রিক উপায়ে তফশিল ঘোষণার পর যেভাবে সরকার পরিচালিত হয় সেভাবেই হবে।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘যেহেতু তফশিল ঘোষণা করা হয়েছে। এরপর থেকে নির্বাচনের কাজ নির্বাচন কমিশন দায়িত্বশীলভাবে করবে। যে সকল বিভাগ, সংস্থা তাদের প্রয়োজন সেসব প্রতিষ্ঠানকে তারা কাজে লাগাতে পারবে। প্রধানমন্ত্রীর সরকার এখন থেকে রুটিন কাজ করে যাবে। পলিসি ডিসিশন হবে না।’

নির্বাচনকালীন সরকারের কার্যক্রম প্রসঙ্গে আনিসুল হক বলেন, ‘এটা একটা স্বাধীন দেশ। বিশেষ প্রয়োজনে অধ্যাদেশ দিয়ে আইন জারি করতে হবে। এ সময় উন্নয়ন কাজ চলমান থাকবে, নতুন করে কোনো কাজ শুরু হবে না ও প্রকল্প নেওয়া হবে না। যা নির্বাচনকে একটা দলের পক্ষে প্রভাবিত করে, সে কাজ করা যাবে না। যদি পুলিশের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য থাকে, সেটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে কমিশন জানাবে। সেটা যৌক্তিক হলে মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নেবে এবং তা আইনের আওতায় বলতে হবে সবকিছু। এ সময় বদলি ও নিয়োগের এখতিয়ারও নির্বাচন কমিশনের।’

তিনি আরও বলেন, ‘১৯৭২ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু গণপরিষদের মাধ্যমে ৪ নভেম্বর একটি সংবিধান উপহার দেন এবং ১৬ নভেম্বর সংবিধান কার্যকর করে। এর একটা প্রেক্ষিত কিন্তু আছে। সে প্রেক্ষিত হলো, আমরা যে রাষ্ট্রের অধীনে ছিলাম সেখানে আর্মি অ্যাক্টের প্রাকটিস ছিল। সেজন্য সংবিধান অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সেই সংবিধান অনুযায়ী আমরা চলি, চলব। কারণ জনগণ সে ম্যান্ডেড দেয়নি।’

বিজ্ঞাপন

২০০৬ সালে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর আওয়ামী লীগের আন্দোলন সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এই সংবিধান নিয়ে ফুটবল খেলে ওনাদের ইচ্ছা মতো। একজন বিচারপতির বয়স বাড়িয়ে দেন তিনি যেন প্রধান উপদেষ্টা (তত্ত্বাবধায়ক সরকার) হতে পারেন, সে ব্যবস্থা করা হয়েছিল তা জনগণ মানেনি। ফলে একটা তত্ত্বাবধায়ক সরকার এসেছিল। সংবিধানে যদিও তিন মাস থাকার কথা ছিল, কিন্তু তারা দুই বছর ছিল।’

বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণ যদি ভোট দেয় সেটা মূল বিষয়। কোন রাজনৈতিক দল আসল কে না আসল সেটা বিষয় নয়। কারণ জনগণ যদি ভোট দেয় সেটা গ্রহণযোগ্য। কারণ জনগণ সকল ক্ষমতার উৎস।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেআর/এনএস

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন